Original Writer Address : Go There(For More Release)
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
Tuesday, 2 July 2013
আমার নুনু ছোট্ট নুনু
Original Writer Address : Go There(For More Release)
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
রাজবংশের পাঁচালী
Original Writer Address : Go There(For More Release)
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
ইতি মৌ
Original Writer Address : Go There(For More Release)
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
ধুপের গন্ধ আর সংসারের তিনজন
Original Writer Address : Go There(For More Release)
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.উত্তর ২৪ পরগনার কোন একটা বাড়ি। বাড়ীতে চারটি প্রাণী। বাবা, মা, ছেলে আর ছেলের বউ। বাবা বিজন, মা কমলা, ছেলে সুজন আর ছেলের বউ রুবি। ছেলে সুজনের কোন যোগদান নেই এই গল্পে, শুধুমাত্র অস্তিত্ব জানানো ছাড়া। আরেক চরিত্র ধুপ বিক্রি করা একটি ছেলে, নাম কালী। বাবা এখনো কর্মরত, মা ঘরেই থাকেন বউয়ের সাথে, সুজন কর্মসূত্রে বাইরে, বউ রুবি শ্বাশুরী আর শ্বশুরের সাথে থাকে। এদের নিয়েই গল্প।
বেলা একটায় চৈত্র মাসের দুপুরে ঘরের ছাদে লাগানো ফ্যানের হাওয়া যেন গায়ে ফোস্কা ফেলছে। এখনি এত গরম, পুরো গ্রীষ্মকাল পড়ে রয়েছে। পরে কি হবে ভাবতেই রুবির গা ঘেমে উঠলো। গলা বেয়ে ঘামের ফোঁটাগুলো এক হয়ে জলধারার মত বয়ে নেমে গেল রুবির বক্ষবন্ধনীহীন গোলাপি দুই স্তনের গভীর খাঁজ বেয়ে। রুবি হাত না দিয়েও বুঝতে পারলো তার শিরদাঁড়া বেয়ে ঘামের ধারা এক এক করে হারিয়ে চলেছে তার বিশাল অববাহিকার অন্তরালে।
বাড়ীতে এইসময় কেউ থাকে না। রুবি আর তার শ্বাশুরী ছাড়া। দুজনে একসাথে দুপুরের খাওয়া শেষ করে যে যার ঘরে। রুবি স্নান করতে যাবার আগে ঘরের পর্দাগুলো জলে ভিজিয়ে রাখে। এতে দুপুরের গরমের জ্বুলুনি থেকে অনেক বাঁচা যায়। শ্বাশুরীর ঘরে এসি লাগানো আছে। তার বহু বলা সত্ত্বেও রুবি অনুরোধ এড়িয়ে গেছে ওনার ঘরে শুতে। শরীরে ব্যথা হবার ভয়ে। যেটা এখন ওর শ্বাশুরী ভোগ করে। দোতালার সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠতে তার বেশ কষ্ট হয়। একটা ম্যাগাজিন নিয়ে রুবি মেঝের উপর উপুর হয়ে শুয়ে পড়লো, পড়তে পড়তে একটু পরে ঘুম এসে যাবে।
কমলা মানে রুবির শ্বাশুড়ী ভাবতে থাকে এসির ঠাণ্ডা হাওয়া নিতে নিতে, বাপরে, এই গরমে বউটা থাকে কি করে? একদম কথা শুনতে চায় না। কতবার বলেছি, বউ ওই গরমে তুমি শুতে পারবে না। আমার ঘরে এসির ঠাণ্ডায় শুতে পারো। না তো না। একবার সেই যে না বলেছে তাকে আর হ্যাঁ করার কোন উপায় নেই। কি হয় এই ঘরে এসে শুলে? একটু আধটু তো আমার চুলে বিলি কেটে দিতে পারে? হয় বই নাহয় পেপার মুখে করে শুয়ে থাকবে গরমে ওই ঘরে। হুঁ, বাপের জন্মে তো আর এসি দেখেনি, তার মাহাত্ব্য বুঝবে কি করে? সিঁড়ি ভাঙতে গেলে পায়ে ব্যাথার কথা বললেই বলবে, মা, তুমি তো এসিতে শোও, তাই ওই ব্যাথা। আমি শুই না বলে আমার হয় না। আরে বাবা, আমার মত তোর বয়স হোক, তখন দেখব ব্যাথা হয় কিনা। হুম, যত্ত সব। যাকগে, ওইসব চিন্তা না করে এখন একটু ঠাণ্ডায় ঘুম দেওয়া যাক। কমলা রিমোট টিপে টিভিতে একটা বাংলা সিনেমা লাগিয়ে খাটে গা এলিয়ে দিলো।
বাড়ীতে প্রাণী মাত্র তিনজন। রুবি, আর তার শ্বশুর আর শ্বাশুড়ী। শ্বশুর এখনো কাজ করেন। দশটা পাঁচটা ডিউটি। রুবির স্বামী, সুজন মানে বিজন আর কমলার একমাত্র ছেলে কাজের জন্য বাইরে থাকে। এখন আছে দিল্লীতে। রুবির সাথে বিয়ের পর মাত্র একমাস এই ঘরে ছিল। কাজের চাপে চলে যেতে হয়েছে দিল্লীতে। অনেক চেষ্টা করেও ছুটি বাড়াতে পারে নি। নতুন বউয়ের জন্য মনের আর দেহের ক্ষুদা চেপে রেখেই চলে যেতে হয়েছে। ফোনেই দুজনের যা কথা হয়। রুবির মা বাবা অনেকবার বলেছেন ঘরে চলে আসতে, কিন্তু রুবির মন মানে নি। তার কাছে বিয়ে করার পর নিজের ঘর মানে স্বামীর ঘর। শ্বশুর মানে বিজন এতে যথেষ্ট খুশি। নিজের ফাইফরমাশ সব প্রায় রুবিই করে দেয়। শ্বাশুরী এটা খুব একটা ভাল চোখে নেয় নি। মনে মনে গজগজ করতে থাকে, ঠিক শ্বশুরকে হাত করার চেষ্টা। আবার বলেও মনে মনে, আমি বেঁচে থাকতে সেটা হবার নয়। রুবি আর বিজন ব্যাপারটা বুঝতে পারেন কমলার আপত্তি, কিন্তু ওরা বেশ উপভোগ করেন সেটা। মুখোমুখি হলেই হাসেন।
রুবির বয়স প্রায় উনত্রিশ। ফর্সা, সুন্দর স্বাস্থ্য। স্তনযুগল বেশ ভরাট আর উন্নত। কোমর একটু ভারী হলেও তার ভরাট নিতম্বের সাথে বেশ মানানসই। সুজনকে না পাওয়ার খিদেটা মাঝে মাঝেই চনমন করে ওঠে নিজের মনে। এটা খুব অনুভুত হয় যখন দুপুরে রুবি একা শুয়ে থাকে তার ঘরে। দু পায়ের মাঝে পাশবালিশটা নিয়ে মাঝে মাঝেই চেপে ধরে দেহের ক্ষুদাকে চেপে রাখতে। নিজেকে সুখ দেবার ব্যাপারটা সে জানে না। তাই দেহের ক্ষুদা মনে চেপেই দিন কাটে তার। মাঝে মাঝে মনে পরে সুজনের সাথে তার শৃঙ্গারের কথা। ছবির মত মনের মধ্যে ভেসে ওঠে। সবচেয়ে মনে পরে সুজনের মুখ দিয়ে তাকে সুখের চরমসীমায় নিয়ে যাবার কথা। মনে পরলেই রুবির দু পায়ের মাঝখানে কেমন শিহরন ওঠে। তখন ও পাশবালিশটাকে আর জোরে চেপে ধরে দুপায়ের মাঝখানে। ওদের প্রথম বাসর রাতে সেক্স, রুবি সেভাবে উপভোগ করে উঠতে পারে নি। শরীরে শিহরন তো ছিল, কিন্তু সুজনের উত্তেজনা ছিল আর বেশি। রুবির বুঝে উঠতে উঠতেই সব শেষ। সুজন ওর বুকের উপর এলিয়ে পরেছিল। তার পরের রাতে সুজন অনেক ধির স্থির হয়ে রুবিকে একাত্ম করে নিয়েছিল যৌনতার খেলায়। শরীরের সুখের পরিধিকে আর বেশি বিস্তার করে দিয়েছিল সুজন রুবির মধ্যে, যখন ও রুবির দু পায়ের মাঝে মুখ ডুবিয়ে দিয়েছিল, ধীরে ধীরে রুবিকে পৌঁছে দিয়েছিল স্বর্গসুখে।
কমলার বয়স হলেও শরীর স্বাস্থ্য এখনো বেশ টানটান। স্তন ভারী হলেও এখন বেশ উঁচু হয়েই থাকে। ত্বক এখন বেশ টানটান। শুধু অসুবিধে ওই পায়ের ব্যাথা। দোতালার ঘরে আসতে গেলেই মনে ভয় হতে থাকে। এইরে আবার সিঁড়ি ভাঙতে হবে। কমলার মনে হয় যদি কেউ পায়ে বা কোমরে একটু মালিশ করে দিত। কিন্তু বলবে কাকে? বিজন কাজের মধ্যে থাকেন, দুপুরে থাকেন না। ওঁকে বলার তো কোন সুযোগ নেই। থাকে ঘরে ওই বউ। কিন্তু ওকে বলা? ঘরেই আসতে চায় না তো কোমর মালিশ দূর অস্ত। তাই নিজের ব্যাথা নিজের মধ্যে নিয়েই থাকে কমলা।
“ধুপ নেবেন?”
কমলার ঘুম ভেঙ্গে গেল চিৎকারে। ধুত, এই ভরদুপুরে কে আবার এলো। আর গলা শোন, মরা মানুষও জেগে উঠবে। বেশ ঘুমটা লেগে এসেছিল, ভেঙ্গে গেল এই বদখৎ গলায়। মনে হয় ভিক্ষে চাইতে এসেছে। মড়াগুলোর সময়জ্ঞান পর্যন্ত নেই। যত্তসব অপয়ার দল। এই কাঠফাটা রোদে কুকুরগুলো পর্যন্ত ছায়া খুঁজে শুয়ে আছে, আর এইসব ভিখারিগুলোর রোদ মোদের কোন বালাই নেই। ঘরের দরজার সামনে এসে গলা ছুঁড়ে দিলেই হল। কি অলুক্ষুনে কাণ্ড দেখ দেখি। আমি তো আর উঠছি না এই বিছানা ছেড়ে, বউটা যদি ওঠে তো উঠুক। পরে জেনে নেওয়া যাবেখন। কিন্তু পিয়ন তো হতে পারে। কে জানে বাবা, কার আবার চিঠি এলো। এতসব ভেবে নিজের আর কৌতূহল চেপে রাখতে পারলো না কমলা। ঠাণ্ডা ছুঁড়ে ফেলে খাট থেকে নেমে হাঁটুর আর কোমরের ব্যাথা নিয়ে নিচে নেমে এলো কোনরকমে। সদর দরজার দিকে যেতে যেতে নজর ছুঁড়ে দিলো বউয়ের ঘরের দিকে। দরজাটা অল্প ভেজানো, তারমানে বউ ঠিকই করে নিয়েছে যে ও উঠবে না। দরজা খুলে ফাঁক করতেই রোদের ঝামটা মুখে চোখে মারল কমলার। মুখটা যেন ঝলসে গেল। বউটাকে মনে মনে গালাগালি দিয়ে দিল, যা শয়তান বউটা বলতও না যে কে এসেছিল।
এদিকে কান খাড়া করে উপুর হয়ে শুয়ে রইল রুবি ওর ঘরে। যাবার ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। এই ঘরে সব কিছু ওর শ্বাশুরীর কথাতেই চলে। এই দেড় বছরে রুবি সেটা বেশ ভালভাবে বুঝে গিয়েছে। যদি আগে যায় তাহলে নিশ্চিৎভাবে তাকে শুনতে হবে, কেন তোমার আবার দরজা খোলার কি হোল। সোমত্ত মেয়ে, খেয়াল নেই? আমি তো আছি নাকি?
রুবি কান খাঁড়া করে শুনতে পেল শ্বাশুরীর নেমে আসার আওয়াজ। রুবির প্রয়োজন হলে শ্বাশুরী ওকে না ডেকে পারবে না। যদি পিয়ন হয়ে থাকে তাহলে তো ডাকতেই হবে, কারন পোস্ট অফিসে রুবির নামে অথোরাইজেশন দেওয়া আছে। মাসের প্রথমে সুজনের ডিডি আসে আর সেটা রুবিই হাতে নেয়। উঠে পাখা বন্ধ করতে শনশন শব্দটা বন্ধ হোল। যাক, বাইরে কথা হলে শোনা যাবে। রুবি কমলার আওয়াজ পেল গলার, কি চাই? এটা কি বাড়ির লোককে ডাকার সময়? তোমাদের জ্বালায় কি একটু শান্তিতে শোবার উপায় নেই? যাও তো এখন, বিরক্ত কর না। একটুও সময়জ্ঞান নেই। এখন ভিক্ষে ফিক্ষে হবে না। পথ দেখ তো এখন। রুবি শুনতে পেল ধরাম করে দরজা বন্ধ করার আওয়াজ। তারপরেই শুনল কমলার গজগজ করতে করতে উঠে যাবার আওয়াজ দোতলায়।
ওদিকে বাইরে ক্ষীণগলায় আওয়াজ শোনা গেল, না না মাসীমা ভিক্ষে নয়, ভিক্ষে নয়।... যদি, যদি একটু খাবার জল পাওয়া যেত। গলাটা থেমে গিয়ে আবার শোনা গেল, অনুরোধ করছি মাসীমা একটু যদি জল দেন, গলাটা একদম শুকিয়ে গেছে এই রোদে ঘুরে ঘুরে।
রুবি কাতর হয়ে উঠলো ছেলেটার আর্তি শুনে। গলার কাছটা শুকিয়ে উঠলো। ধরফর করে উঠে টেবিলের উপর রাখা জলের বোতল নিয়ে সন্তর্পণে বেরিয়ে এলো দরজা খুলে, খুব আস্তে যাতে করে শ্বাশুরী না শুনতে পায়। ধীরে দরজা খুলে দেখল বছর বাইশের ছেলে করুন মুখ করে দরজার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাঁধে একটা ঝোলা ব্যাগ, ভারী বলেই মনে হয়। রুবি বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল, এই নাও। ঠাণ্ডা জল। একটু সাবধানে খেয়, বিষম না লাগে আবার। রুবির কানে এসে শ্বাশুরীর ঝনঝনানি লাগলো, যতসব অলক্ষ্মী এসে আমার কপালেই জোটে।
জলের বোতলটা নিয়ে ছেলেটা গলায় ঢালতে শুরু করতে রুবি ভাল করে ছেলেটাকে দেখল। গায়ের রঙ ফর্সা হলেও মুখটা রোদে একদম পুরে গেছে। জামা প্যান্ট যা পরে আছে তাতে মনে হয় ভদ্রঘরের ছেলে। কিন্তু কি বিক্রি করছে ছেলেটা? ছেলেটা জল খাওয়া শেষ করে রুবিকে বলল, অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি। জলটা না পেলে বোধহয় অসুস্থ হয়ে পরতাম। এই জল থেকে একটু চোখে মুখে জল দেব?
রুবি ঘাড় কাত করে সায় দিল। ছেলেটা কাঁধের থেকে ব্যাগ নামিয়ে সামনের বারান্দায় রেখে চোখে মুখে ভাল করে জল দিল, জলের বোতলটা রুবিকে ফেরত দিয়ে পকেট থেকে রুমাল বার করে মুখটা মুছতেই রুবি জিজ্ঞেস করল, তোমার ব্যাগে কি আছে, খুব ভারী মনে হচ্ছে?
ছেলেটা বলল, হ্যাঁ বৌদি, ব্যাগে ধুপের প্যাকেট রয়েছে। একটু ভারী।
রুবি প্রশ্ন করল, ও তুমি বাড়ি বাড়ি ধুপ বেচো?
ছেলেটা বলল, হ্যাঁ বৌদি, এটাই আমার একমাত্র রুজি রোজগার। নেবেন একটা প্যাকেট? মাত্র দশ টাকা। আপনাদের তো ধুপ লাগে? আপনি নিলে আমার একটু উপকার হবে।
রুবি এক লহমা থেমে বলল, একটু দাঁড়াও তুমি। বলে ভিতরে ঢুকে ব্যাগের থেকে দশ টাকা নিয়ে এসে বলল, এই নাও, দাও একটা প্যাকেট। ছেলেটার মুখ খুশিতে ঝলমল করে উঠলো, যাক শেষ পর্যন্ত বিক্রি হোল তাহলে। মনটা ভাল হয়ে গেল এইভেবে যে আজকে ভালই বিক্রি হয়েছে। সম্বিত ফিরল রুবির ডাকে, রুবি ওকে বলছে, তুমি একটু দাঁড়াও, আমি আসছি। ভিতরে ঢুকে ফ্রিজ খুলে একটা ঠাণ্ডা জলের বোতল বার করে তার সাথে সাধারন জল মিশিয়ে বোতলটা নিয়ে বাইরে এসে ছেলেটাকে বলল, এই নাও। এটা রাখো। যা রোদ, তোমার কাজে লাগবে।
ছেলেটা মুখে কৃতজ্ঞতার ভাব ফুটিয়ে বলল, ‘বৌদি আপনি খুব ভাল। এইভাবে আমার সাথে কেউ ব্যবহার করে না।
রুবি হেসে জিজ্ঞেস করল, তাই? নাম কি গো তোমার?
ছেলেটা উত্তর দিল, কালী। আমার নাম কালী। রুবি একটু মজা করল ওর সাথে, কিন্তু তোমার রঙ তো ফর্সা, কালী রাখল কেন তোমার নাম? বলে মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলল রুবি। ছেলেটা লজ্জা পেয়ে বলল, তাই না বৌদি? আমি ঠিক জানি না আমার নাম কেন কালী রেখেছিল মা বাবা। ছেলেটা চলে যেতে উদ্যত হতেই রুবি বলল, এখানে আবার এলে ঘুরে যেও। কথা দিলাম ধুপ তোমার কাছ থেকেই নেব। ছেলেটা একটু নত হয়ে দুহাত জোর করে প্রনাম করল তারপর ব্যাগ কাঁধে বেরিয়ে পড়লো আবার বিক্রির উদ্দেশ্যে।
সন্ধ্যেবেলা ঘরে ধুপ জ্বালানোর কাজটা রুবিই করে। সেইদিন সে একসাথে চারটে ধুপ জ্বালাল, হুম ধূপগুলো সত্যিই খুব ভাল, ভারী সুন্দর গন্ধ। সবকটা ঘরে ধুপের গন্ধ ছড়িয়ে দিলো সে। সারা বাড়ি ধুপের গন্ধে ম ম করছে। শ্বশুরমশায় চায়ের টেবিলে বসতে বসতে বললেন, বাহ, ভারী সুন্দর গন্ধ তো। এই ধুপ তো আগে জ্বালাও নি মা। বলে রুবির দিকে প্রশ্নের চোখ তুলে দেখলেন। রুবি বলল, হ্যাঁ বাবা, আজ একটা ছেলে এসেছিল, তার কাছ থেকে ধুপটা নিয়েছি। দাম কত জানো? মাত্র দশটাকা।
বিরক্তিভরা গলায় কমলা বলে উঠলো, ও হরি, তাহলে ওই ছেলেটা ধুপ বিক্রি করে? আমি ভাবলাম একটা ভিখারি। রুবিকে লক্ষ্য করে বলল, তা তোমার দয়ার শরীর, রেখেছ ভালই করেছ। আমার তো দেখেই মনে হোল অপয়া।
রুবি হেসে বলে উঠলো, না মা ওর নাম অপয়া নয়, ওর নাম কালী। শ্বশুর আর রুবি দুজনেই হো হো করে হেসে উঠলেন। কমলা মুখ ভেটকে রান্নাঘরে ঢুকে গেলেন।
আজ প্রায় আট মাস হয়ে গেল, কালী নিয়মিত এই বাড়ীতে ধুপ দিয়ে যায়। শ্বাশুরীর অমত থাকলেও বিজনের জন্য কিছু বলতে পারেন না। কালী আসলেই কমলা উপর থেকে বুঝতে পারে। আজকাল আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
কমলা বুঝতে পারে কালী এলে বউটা ওকে মোড়া বার করে বসতে দেয় আর বসিয়ে রাখে ততক্ষন যতক্ষণ না বৃষ্টি ধরে আসে। এটাও বুঝতে পারে দুজনের মধ্যে বেশ হাসাহাসি হয়, আবার চাপা গলায় গল্পও চলে। সারা শরীর কমলার রাগে চিড়বিড় করে কিন্তু কিছু বলতে পারে না। শুধু মাঝে মাঝে দুজনের উদ্দেশ্যে বলে ওঠে, অপয়া কোথাকার।
রুবির সাথে কালী অনেক সহজ হয়ে গেছে, রুবিও তাই। একটা সাথী পাওয়া যায় কালী যখন আসে, বেশ সময় কাটে কথা বলে। রুবি জেনে নিয়েছে কালীর বয়স ২২ আর কালীর মা ছোটবেলায় মারা গেছে। বাপের রোজগার নেই বললেই চলে। ছেলে যা আয় করে তাই দিয়ে ছেলে আর বাপের খাওয়া চলে যায়। দুরের কোন বস্তিতে কালীদের বাড়ি। বাপ মাঝে মধ্যে মদ খায় তাও ছেলের টাকায়। পড়াশুনার ইচ্ছে থাকলেও পয়সার অভাবে কালীর করে ওঠা হয় নি। রুবির কালীর জন্য মনটা খুব খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় যদি ওর জন্য রুবি কিছু করতে পারত। এছাড়া রুবি আর কালীর মধ্যে এখন বেশ রসিকতাও চলে। রুবি কালীকে জিজ্ঞেস করে, বাড়ীতে ধুপ বিক্রি করতে গিয়ে কোন মেয়ের সাথে দেখা হয় কিনা। কালী লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকে, ধীরে ধীরে মাথা নাড়ে। করুন স্বরে বলে, আমার সাথে কে কথা বলবে বৌদি? সবাই তো খেদিয়ে বিদেয় করে দেয় প্রায়। এই একমাত্র তুমি আমাকে এত আদরযত্ন করো। হ্যাঁ ওরা এখন তুমি তুমি করেই কথা বলে।
কদিন বাবা আর মা বাবার ভাইয়ের বাড়ি বেড়াতে গেছেন। আসবেন প্রায় সাতদিন পরে। বিজন আপত্তি করেছিলেন রুবিকে একা ঘরে রেখে যেতে। কিন্তু রুবির জেদে যেতে হোল শেষে। রুবি বলেছিল, বাবা, আমি আর ছোটটি নেই যে নিজেকে দেখে রাখতে পারবো না। আপনারা নিশ্চিন্তে যান, কোন চিন্তা করবেন না। তাছাড়া ফোন তো রইলই।
ওনাদের যাবার পর দুদিন হয়ে গেছে। রুবির হাতে এখন অফুরন্ত সময়। কাগজ, বই পড়েও সময় কাটতে চায় না। কেমন যেন রুবির মনে হতে থাকে যদি এই সময় কালী আসতো, দু দণ্ড কথা বলে সময় কাটাতে পারতাম। আজ গরমও পরেছে তেমনি। কাল সারা রাত বৃষ্টি হোল কিন্তু গরম কমলো না। দ্যাখো, কেমন সারা গা ঘামে চপচপ করছে। ইস বগলগুলো কি বিশ্রি ভেজা। ব্লাউসটা গায়ের সাথে চেপে বসে আছে ঘামে। গরমের চোটে মাথার রগ দুটো কেমন দপদপ করছে আর চোখের মনি দুটো ব্যাথায় টনটন করছে। এখনও সময় আছে স্নান করতে যাবার জন্য। রান্না সে কবেই হয়ে গেছে। তবুও নিজের ঘরে কিছু গোছানোর আছে কিনা ভেবে ঘরের দিকে পা বাড়াতেই দরজার ওপার থেকে কালীর গলার আওয়াজ পাওয়া গেল, বৌদি?
রুবি আশ্চর্য হোল এই সময়ে কালীর আওয়াজ পেয়ে। কালী এখন কেন? ওর তো আসার সময় দুপুরে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে বেলা এগারোটা। তাহলে ওর কি কিছু হোল নাকি? দুরুদুরু বুকে ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দেখে কালী ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রুবি ওর দিকে তাকিয়ে বলল, কি হোল আজ এই সময়ে? তুমি তো দুপুরের দিকে আসো? কালী ওর দিকে চেয়ে একগাল হেসে বলল, নাগো বৌদি, আজ এইদিক দিয়ে শুরু করলাম। তাই আগে এলাম।
রুবি একপাশে সরে দাঁড়িয়ে বলল, এসো ভিতরে এসো। হাতে সময় আছে তো? খেয়ে বেড়ও নি নিশ্চয়। ঠিক আছে আমার এখানে দুটো খেয়ে বেড়িও। আমি এখন একা। বাড়ীতে আর কেউ নেই। তাই হাতে অফুরন্ত সময়। গল্প করা যাবে জমিয়ে। তোমার আপত্তি নেই তো?
কালী একমুখ হাসি ফুটিয়ে বলল, নাগো না। আমার হাতে প্রচুর সময়। যদি বল আমি সন্ধ্যে পর্যন্ত তোমাকে সময় দিতে পারি।
রুবি হেসে বলল, না না তোমাকে অতক্ষন আটকাবো না। তুমি বসো ভিতরে এসে। তোমাকে একটু শরবৎ বানিয়ে দিই।
রুবি ভিতরে কালীকে বসতে দিয়ে রান্নাঘরে গিয়ে ওর জন্য একগ্লাস লেবুর জল নুন চিনি দিয়ে বানিয়ে এনে দিল। কালী ঢকঢক করে এক নিশ্বাসে পান করে মুখ দিয়ে একটা আরামের ‘আহহহ’ শব্দ বার করে রুবির হাতে গ্লাসটা ফেরত দিয়ে কৃতজ্ঞতার একটা হাসি উপহার দিল। রুবি বলল, দাঁড়াও আমি গ্লাসটা রেখে আসি। কালীর কাছে রুবি খুব সহজ। পোশাকের দিকে অত নজর দেয় না, কারন ও কালীর নজর লক্ষ্য করেছে। কালী কথা বললে সোজা ওর মুখের দিকে তাকিয়ে। কোন সময় নজর অন্য কোন দিকে বইতে দেয় না। তাই রুবি খুব সহজ হয়ে গেছে অন্তত এটা বুঝে যে ছেলেটার মনে কোন পাপ নেই।
ফিরে আসাতে কালী জিজ্ঞেস করল, ‘বৌদি মাসীমা কোথায় গেছে? রুবি উত্তর করল, বাবা আর মা সাতদিনের জন্য শ্বশুরের ভাইয়ের বাড়ীতে ঘুরতে গেছে। কালী অবাক হয়ে বলল, আরি ব্বাস, তারমানে এই বাড়ীতে তুমি একা? ভয় করে না?
রুবি হেসে উঠে জবাব দিল, কেন? ভয় করবে কেন? কে আছে এখানে চোর না ডাকাত? নাগো, এই পাড়ায় আমার কোন ভয় নেই। কালী মুখ নামিয়ে বলে, আমি হলে থাকতে পারতাম না। আমার আবার রাতের বেলায় ভুতের খুব ভয়।
রুবি হো হো করে হাসতে থাকে ওর কথা শুনে। আরও কিছু কথা বলতে বলতে রুবির মাথাটা আবার দপদপ করে ওঠে, চোখের মনি দুটোতে অসম্ভব ব্যাথা হতে শুরু করে। রুবি কপাল চেপে চোখের মনিদুটোকে দু আঙ্গুল দিয়ে টিপে ধরে মাথা নিচু করে বসে যায়, মুখ দিয়ে আওয়াজ বেড়িয়ে আসে, উফ মাগো।
কালী ওপার থেকে চট করে উঠে এসে রুবির পাশে দাঁড়িয়ে বলে, কি হোল বৌদি? এরকম করছ কেন?
রুবি মাথা চেপে ধরে মুখ নিচু করেই বলে, ‘দ্যাখো না সেই সকাল থেকে মাথাটা ব্যাথা শুরু হয়েছে। কম হয়েছিল তুমি আসার আগে আবার শুরু হয়েছে। দারুন যন্ত্রণা করছে।
কালী বলে ওঠে, আমি কি ডাক্তার ডেকে আনবো বৌদি?
রুবি ওর হাত ধরে বলে, না না, ডাক্তার ডাকতে হবে না। এমনি এমনি সেরে যাবে। দ্যাখো না গরমটা কি পরেছে। তুমি বস, অহেতুক চিন্তা করো না।
কালী তবু দাঁড়িয়ে থেকে বলে, তাহলে একটা কাজ করি। তুমি এই চেয়ারে মাথা হেলান দিয়ে বস। আমি বরং তোমার মাথাটা একটু টিপে দিই, আরাম লাগবে।
রুবির যেন মনে হোল সেটা যদি কালী করে তাহলে ভালই হবে। কিন্তু কেমন বাঁধো বাঁধো ঠেকল মনে। বেচারা এসেছে। কোথায় ও ওর দিকে খেয়াল করবে না কালী ওর দিকে খেয়াল করছে। ও বলল, না না, কোন দরকার নেই। তুমি এত দূর থেকে এসেছ। তুমি আবার কি মাথা টিপবে? বস তো ওখানে।
কালী নাছোড়বান্দার মত রুবিকে বলল, না না, আমার কোন প্রব্লেম নেই। তুমি বস আমি টিপে দিই। একপ্রকার জোর করেই রুবির মাথা চেয়ারে ঠেকিয়ে কালী রুবির মাথা টিপতে লাগলো। রুবির চোখে যেন ঘুম নেমে এলো, এত আরাম করে কালী মাথা টিপতে লাগলো। বেশ কিছু সময় পরে কালী বলল, বৌদি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে টিপতে পা ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে। তুমি যদি কিছু না মনে করো তাহলে তোমার পাশে বসে টিপবো। রুবির যেন লজ্জায় মাথা কাটা গেল। সত্যি এটা ও খেয়ালই করে নি। ও কালীর হাত ধরে ওর পাশে বসিয়ে দিয়ে বলল, সরি আমারই বলা উচিত ছিল।
কালী রুবির পাশে বসে মাথা টিপে যাচ্ছে, রুবির যেন হঠাৎ মনে হোল ওর সারা শরীরে ব্যাথাটা সংক্রামকের মতো ছড়িয়ে পরেছে। এটাও খেয়াল করল কালীর একটা হাত রুবির ভরাট স্তনের উপরে চাপা রয়েছে। চাপ ধীরে ধীরে বেরে চলেছে। রুবির গোলাপি ব্লাউস ঘামে ভিজে চপচপ করছে, আঁচল সরে গিয়ে একপাশের স্তন বেড়িয়ে আছে, ঘামে রুবির স্তনাগ্র আর তার চারপাশের বাদামি বলয় ফুটে উঠে আছে। রুবি মুখে কিছু বলল না আর এটাও সাহসে কুলালো না যে কালীকে লক্ষ্য করে দেখে যে এটা ওর ইচ্ছে করে করা কিনা।
তারপরের ঘটনার উপর দুজনের কোন রাশ ছিল না। দুজনে জানেও না কোন প্ররোচনায় দুজনে আদিম ক্রীড়ায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল। রুবির তখন খেয়াল ছিল না ওর সাথে কালী আছে, রুবির মনে সুজনের সোহাগ ফিরে এসেছিল। সুজন যেমন করে ওকে মুখ দিয়ে সুখ দিয়েছিল কালী ঠিক সেইভাবেই রুবিকে সুখ দিয়েছিল রুবির দুপায়ের মাঝের গোপনীয়তাকে উমুক্ত করে। আদিম মানব মানবীর মতো ওরা নগ্ন হয়ে দুজনে দুজনকে জড়িয়ে ধরেছিল। দুজনের মনের ভিতরই একটা নেশা সংক্রামকের মতো ছড়িয়ে পরেছিল। কালীর ঠোঁট গ্রাস করেছিল রুবির উন্মুক্ত স্তন, হাত দিয়ে আবিস্কার করেছিল রবির দু পায়ের মাঝের গভীরতাকে। রুবিও থেমে থাকে নি। ওর হাত কালীর নগ্ন পুরুষসিংহকে চেপে ধরেছিল। একসময় কালী রুবির মনে সুজন হয়ে রুবির দেহের অন্তিম লজ্জাকে গ্রাস করেছিল নিজের পুরুষসিংহ দিয়ে আর সুজনের মতই ওকে গ্রহন করেছিল। কালীর পুরুষসিংহের আঘাতে আঘাতে রুবির সারা দেহ কেঁপে উঠেছিলো। সেই সময় রুবি আর কালী একাত্ম হয়ে গেছিল, হারিয়ে গেছিল উন্মত্ত যৌনতায়। দুজনের সম্বিত ফেরার পর দুজনেই সামলে নিয়েছিল কিন্তু ততক্ষনে কালীর চোখের সামনে রুবির সবকিছু প্রকাশ পেয়ে গিয়েছিল যেমন কালিও প্রকাশিত হয়ে গেছিল রুবির সামনে। কালী বিদায় নেবার সময় এক লহমা দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়েছিল যেন এটাই বলতে যেটা হয়েছে সেটা শুধু আমি আর তুমিই জানি।
আরও দেড়মাস কেটে গেছে। কালী ঠিকই আগের মতই ধুপ বিক্রি করতে আসে এই বাড়ীতে। এখন শুধু ধুপ বিক্রির পর্যায়ে সম্পর্ক চলে গেছে রুবি আর কালীর মধ্যে।
কমলার কোমরের যন্ত্রণা আগের চেয়ে বেশি এখন। দুদিন ধরে বউটা বাড়ি নেই। বাপের বাড়ি গেছে। আসবে দুদিন পরে। কোনরকমে একটা তেল নিয়ে কোমরে ডলছিল আর মুখ দিয়ে ‘উহ’ ‘আহ’ আওয়াজ করছিল। বাড়ির ঠিকে ঝিকে বলেছিল, ওতে ঝিয়ের কাছ থেকে যা মুখ ঝামটা খেয়েছিল অনেকদিন সেটা মনে থাকবে ওর। তাই অগত্যা মধুসুদন, নিজের সেবা নিজেই করছিল।
সেদিন কালী এসেছিল ধুপ বিক্রি করতে। সাবধানে ডেকেছিল। বৌদি, বৌদি। মাসীমা দরজা খুলে বলেছিল একরাশ বিরক্তি মুখে নিয়ে, তোমার বৌদি ঘরে নেই। উফ বাবা, কি যন্ত্রণা। নিজের কোমরটা চেপে ধরল সে।
কালী চমকে ব্যাগ নামিয়ে কমলার পাশে এসে বলল, ওকি মাসীমা, এরকম করছেন কেন? কি হয়েছে?
কমলা কঁকিয়ে বলল, আর বোলো কেন, কোমরের ব্যাথায় মরে যাচ্ছি। কেউ নেই যে একটু টিপে দেবে।
কালী বলে উঠলো, মাসীমা, আপনি একটু আমায় সময় দিন। আমি যাবো আর আসবো। আপনি ঘরের ভিতর গিয়ে বসুন। আমার ব্যাগটা রইল। বলে কমলাকে কথা বলার কোন সুযোগ না দিয়ে দৌড়ে বেড়িয়ে গেল। কমলা ওর যাওয়ার পথের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে ঘরে এসে বসে রইল। প্রায় পনের মিনিট বাদে কালীর গলা শোনা গেল, মাসীমা, ও মাসীমা।
কমলা দেখা দিতেই পকেট থেকে তিনটে ট্যাবলেট বার করে কমলার হাতে দিয়ে বলল, এখন একটা খেয়ে নিন। পরে বিকেলে একটা আর শোবার সময় একটা খেয়ে নেবেন। আপনার ব্যাথা সেরে যাবে দেখবেন।
কমলার তখন যা অবস্থা কেউ যদি ওকে ব্যাথা কমানোর জন্য কেরোসিন খেতে বলতো হয়ত খেয়ে নিত তাই। জল দিয়ে একটা ট্যাবলেট খেয়ে নিল কমলা। কালী পাশেই ছিল, বলল, মিনিট পনের বসে থাকুন। তারপরে দেখবেন।
মিনিট পনের পরে কালী উঠতে বলায় ভয়ে ভয়ে কমলা উঠে দাঁড়ালো। ওমা একি? ব্যাথাটা তো একদম নেই। কোথায় গায়েব হয়ে গেছে। সেদিন কমলা খুশি মনে কালীর কাছ থেকে দু প্যাকেট ধুপ কিনে নিল।
সেদিন সন্ধ্যেবেলা ধুপ জ্বালিয়ে সারা বাড়ীতে খুশি মনে কমলা ধুপের গন্ধ ছড়িয়ে দিল। বিজন চায়ে মুখ দিয়ে বললেন, কি ব্যাপার, বউমা তো ঘরে নেই। তুমি এই ধুপ পেলে কোথা থেকে?
কমলা রহস্য করে হেসে বিজনকে উত্তর দিল, আজ কালী এসেছিল যে। কমলা না তাকিয়েও বুঝতে পারলো যে বিজন তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন। মুখ ঘোরাতেই বিজন জিজ্ঞেস করলেন, কে বললে? কে এসেছিল?
কমলা জবাব দিলো না, শুধুমাত্র তাকিয়ে বিজনকে দেখে একটা তির্যক দৃষ্টি ছড়িয়ে দিলো, ভাবটা কমলার এমন যেন বলতে চাইল ন্যাকা ভাব করো না, জানো না বুঝি এই গন্ধময় ধুপ কার কাছ থেকে কেনা হয়?
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.উত্তর ২৪ পরগনার কোন একটা বাড়ি। বাড়ীতে চারটি প্রাণী। বাবা, মা, ছেলে আর ছেলের বউ। বাবা বিজন, মা কমলা, ছেলে সুজন আর ছেলের বউ রুবি। ছেলে সুজনের কোন যোগদান নেই এই গল্পে, শুধুমাত্র অস্তিত্ব জানানো ছাড়া। আরেক চরিত্র ধুপ বিক্রি করা একটি ছেলে, নাম কালী। বাবা এখনো কর্মরত, মা ঘরেই থাকেন বউয়ের সাথে, সুজন কর্মসূত্রে বাইরে, বউ রুবি শ্বাশুরী আর শ্বশুরের সাথে থাকে। এদের নিয়েই গল্প।
বেলা একটায় চৈত্র মাসের দুপুরে ঘরের ছাদে লাগানো ফ্যানের হাওয়া যেন গায়ে ফোস্কা ফেলছে। এখনি এত গরম, পুরো গ্রীষ্মকাল পড়ে রয়েছে। পরে কি হবে ভাবতেই রুবির গা ঘেমে উঠলো। গলা বেয়ে ঘামের ফোঁটাগুলো এক হয়ে জলধারার মত বয়ে নেমে গেল রুবির বক্ষবন্ধনীহীন গোলাপি দুই স্তনের গভীর খাঁজ বেয়ে। রুবি হাত না দিয়েও বুঝতে পারলো তার শিরদাঁড়া বেয়ে ঘামের ধারা এক এক করে হারিয়ে চলেছে তার বিশাল অববাহিকার অন্তরালে।
বাড়ীতে এইসময় কেউ থাকে না। রুবি আর তার শ্বাশুরী ছাড়া। দুজনে একসাথে দুপুরের খাওয়া শেষ করে যে যার ঘরে। রুবি স্নান করতে যাবার আগে ঘরের পর্দাগুলো জলে ভিজিয়ে রাখে। এতে দুপুরের গরমের জ্বুলুনি থেকে অনেক বাঁচা যায়। শ্বাশুরীর ঘরে এসি লাগানো আছে। তার বহু বলা সত্ত্বেও রুবি অনুরোধ এড়িয়ে গেছে ওনার ঘরে শুতে। শরীরে ব্যথা হবার ভয়ে। যেটা এখন ওর শ্বাশুরী ভোগ করে। দোতালার সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠতে তার বেশ কষ্ট হয়। একটা ম্যাগাজিন নিয়ে রুবি মেঝের উপর উপুর হয়ে শুয়ে পড়লো, পড়তে পড়তে একটু পরে ঘুম এসে যাবে।
কমলা মানে রুবির শ্বাশুড়ী ভাবতে থাকে এসির ঠাণ্ডা হাওয়া নিতে নিতে, বাপরে, এই গরমে বউটা থাকে কি করে? একদম কথা শুনতে চায় না। কতবার বলেছি, বউ ওই গরমে তুমি শুতে পারবে না। আমার ঘরে এসির ঠাণ্ডায় শুতে পারো। না তো না। একবার সেই যে না বলেছে তাকে আর হ্যাঁ করার কোন উপায় নেই। কি হয় এই ঘরে এসে শুলে? একটু আধটু তো আমার চুলে বিলি কেটে দিতে পারে? হয় বই নাহয় পেপার মুখে করে শুয়ে থাকবে গরমে ওই ঘরে। হুঁ, বাপের জন্মে তো আর এসি দেখেনি, তার মাহাত্ব্য বুঝবে কি করে? সিঁড়ি ভাঙতে গেলে পায়ে ব্যাথার কথা বললেই বলবে, মা, তুমি তো এসিতে শোও, তাই ওই ব্যাথা। আমি শুই না বলে আমার হয় না। আরে বাবা, আমার মত তোর বয়স হোক, তখন দেখব ব্যাথা হয় কিনা। হুম, যত্ত সব। যাকগে, ওইসব চিন্তা না করে এখন একটু ঠাণ্ডায় ঘুম দেওয়া যাক। কমলা রিমোট টিপে টিভিতে একটা বাংলা সিনেমা লাগিয়ে খাটে গা এলিয়ে দিলো।
বাড়ীতে প্রাণী মাত্র তিনজন। রুবি, আর তার শ্বশুর আর শ্বাশুড়ী। শ্বশুর এখনো কাজ করেন। দশটা পাঁচটা ডিউটি। রুবির স্বামী, সুজন মানে বিজন আর কমলার একমাত্র ছেলে কাজের জন্য বাইরে থাকে। এখন আছে দিল্লীতে। রুবির সাথে বিয়ের পর মাত্র একমাস এই ঘরে ছিল। কাজের চাপে চলে যেতে হয়েছে দিল্লীতে। অনেক চেষ্টা করেও ছুটি বাড়াতে পারে নি। নতুন বউয়ের জন্য মনের আর দেহের ক্ষুদা চেপে রেখেই চলে যেতে হয়েছে। ফোনেই দুজনের যা কথা হয়। রুবির মা বাবা অনেকবার বলেছেন ঘরে চলে আসতে, কিন্তু রুবির মন মানে নি। তার কাছে বিয়ে করার পর নিজের ঘর মানে স্বামীর ঘর। শ্বশুর মানে বিজন এতে যথেষ্ট খুশি। নিজের ফাইফরমাশ সব প্রায় রুবিই করে দেয়। শ্বাশুরী এটা খুব একটা ভাল চোখে নেয় নি। মনে মনে গজগজ করতে থাকে, ঠিক শ্বশুরকে হাত করার চেষ্টা। আবার বলেও মনে মনে, আমি বেঁচে থাকতে সেটা হবার নয়। রুবি আর বিজন ব্যাপারটা বুঝতে পারেন কমলার আপত্তি, কিন্তু ওরা বেশ উপভোগ করেন সেটা। মুখোমুখি হলেই হাসেন।
রুবির বয়স প্রায় উনত্রিশ। ফর্সা, সুন্দর স্বাস্থ্য। স্তনযুগল বেশ ভরাট আর উন্নত। কোমর একটু ভারী হলেও তার ভরাট নিতম্বের সাথে বেশ মানানসই। সুজনকে না পাওয়ার খিদেটা মাঝে মাঝেই চনমন করে ওঠে নিজের মনে। এটা খুব অনুভুত হয় যখন দুপুরে রুবি একা শুয়ে থাকে তার ঘরে। দু পায়ের মাঝে পাশবালিশটা নিয়ে মাঝে মাঝেই চেপে ধরে দেহের ক্ষুদাকে চেপে রাখতে। নিজেকে সুখ দেবার ব্যাপারটা সে জানে না। তাই দেহের ক্ষুদা মনে চেপেই দিন কাটে তার। মাঝে মাঝে মনে পরে সুজনের সাথে তার শৃঙ্গারের কথা। ছবির মত মনের মধ্যে ভেসে ওঠে। সবচেয়ে মনে পরে সুজনের মুখ দিয়ে তাকে সুখের চরমসীমায় নিয়ে যাবার কথা। মনে পরলেই রুবির দু পায়ের মাঝখানে কেমন শিহরন ওঠে। তখন ও পাশবালিশটাকে আর জোরে চেপে ধরে দুপায়ের মাঝখানে। ওদের প্রথম বাসর রাতে সেক্স, রুবি সেভাবে উপভোগ করে উঠতে পারে নি। শরীরে শিহরন তো ছিল, কিন্তু সুজনের উত্তেজনা ছিল আর বেশি। রুবির বুঝে উঠতে উঠতেই সব শেষ। সুজন ওর বুকের উপর এলিয়ে পরেছিল। তার পরের রাতে সুজন অনেক ধির স্থির হয়ে রুবিকে একাত্ম করে নিয়েছিল যৌনতার খেলায়। শরীরের সুখের পরিধিকে আর বেশি বিস্তার করে দিয়েছিল সুজন রুবির মধ্যে, যখন ও রুবির দু পায়ের মাঝে মুখ ডুবিয়ে দিয়েছিল, ধীরে ধীরে রুবিকে পৌঁছে দিয়েছিল স্বর্গসুখে।
কমলার বয়স হলেও শরীর স্বাস্থ্য এখনো বেশ টানটান। স্তন ভারী হলেও এখন বেশ উঁচু হয়েই থাকে। ত্বক এখন বেশ টানটান। শুধু অসুবিধে ওই পায়ের ব্যাথা। দোতালার ঘরে আসতে গেলেই মনে ভয় হতে থাকে। এইরে আবার সিঁড়ি ভাঙতে হবে। কমলার মনে হয় যদি কেউ পায়ে বা কোমরে একটু মালিশ করে দিত। কিন্তু বলবে কাকে? বিজন কাজের মধ্যে থাকেন, দুপুরে থাকেন না। ওঁকে বলার তো কোন সুযোগ নেই। থাকে ঘরে ওই বউ। কিন্তু ওকে বলা? ঘরেই আসতে চায় না তো কোমর মালিশ দূর অস্ত। তাই নিজের ব্যাথা নিজের মধ্যে নিয়েই থাকে কমলা।
“ধুপ নেবেন?”
কমলার ঘুম ভেঙ্গে গেল চিৎকারে। ধুত, এই ভরদুপুরে কে আবার এলো। আর গলা শোন, মরা মানুষও জেগে উঠবে। বেশ ঘুমটা লেগে এসেছিল, ভেঙ্গে গেল এই বদখৎ গলায়। মনে হয় ভিক্ষে চাইতে এসেছে। মড়াগুলোর সময়জ্ঞান পর্যন্ত নেই। যত্তসব অপয়ার দল। এই কাঠফাটা রোদে কুকুরগুলো পর্যন্ত ছায়া খুঁজে শুয়ে আছে, আর এইসব ভিখারিগুলোর রোদ মোদের কোন বালাই নেই। ঘরের দরজার সামনে এসে গলা ছুঁড়ে দিলেই হল। কি অলুক্ষুনে কাণ্ড দেখ দেখি। আমি তো আর উঠছি না এই বিছানা ছেড়ে, বউটা যদি ওঠে তো উঠুক। পরে জেনে নেওয়া যাবেখন। কিন্তু পিয়ন তো হতে পারে। কে জানে বাবা, কার আবার চিঠি এলো। এতসব ভেবে নিজের আর কৌতূহল চেপে রাখতে পারলো না কমলা। ঠাণ্ডা ছুঁড়ে ফেলে খাট থেকে নেমে হাঁটুর আর কোমরের ব্যাথা নিয়ে নিচে নেমে এলো কোনরকমে। সদর দরজার দিকে যেতে যেতে নজর ছুঁড়ে দিলো বউয়ের ঘরের দিকে। দরজাটা অল্প ভেজানো, তারমানে বউ ঠিকই করে নিয়েছে যে ও উঠবে না। দরজা খুলে ফাঁক করতেই রোদের ঝামটা মুখে চোখে মারল কমলার। মুখটা যেন ঝলসে গেল। বউটাকে মনে মনে গালাগালি দিয়ে দিল, যা শয়তান বউটা বলতও না যে কে এসেছিল।
এদিকে কান খাড়া করে উপুর হয়ে শুয়ে রইল রুবি ওর ঘরে। যাবার ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। এই ঘরে সব কিছু ওর শ্বাশুরীর কথাতেই চলে। এই দেড় বছরে রুবি সেটা বেশ ভালভাবে বুঝে গিয়েছে। যদি আগে যায় তাহলে নিশ্চিৎভাবে তাকে শুনতে হবে, কেন তোমার আবার দরজা খোলার কি হোল। সোমত্ত মেয়ে, খেয়াল নেই? আমি তো আছি নাকি?
রুবি কান খাঁড়া করে শুনতে পেল শ্বাশুরীর নেমে আসার আওয়াজ। রুবির প্রয়োজন হলে শ্বাশুরী ওকে না ডেকে পারবে না। যদি পিয়ন হয়ে থাকে তাহলে তো ডাকতেই হবে, কারন পোস্ট অফিসে রুবির নামে অথোরাইজেশন দেওয়া আছে। মাসের প্রথমে সুজনের ডিডি আসে আর সেটা রুবিই হাতে নেয়। উঠে পাখা বন্ধ করতে শনশন শব্দটা বন্ধ হোল। যাক, বাইরে কথা হলে শোনা যাবে। রুবি কমলার আওয়াজ পেল গলার, কি চাই? এটা কি বাড়ির লোককে ডাকার সময়? তোমাদের জ্বালায় কি একটু শান্তিতে শোবার উপায় নেই? যাও তো এখন, বিরক্ত কর না। একটুও সময়জ্ঞান নেই। এখন ভিক্ষে ফিক্ষে হবে না। পথ দেখ তো এখন। রুবি শুনতে পেল ধরাম করে দরজা বন্ধ করার আওয়াজ। তারপরেই শুনল কমলার গজগজ করতে করতে উঠে যাবার আওয়াজ দোতলায়।
ওদিকে বাইরে ক্ষীণগলায় আওয়াজ শোনা গেল, না না মাসীমা ভিক্ষে নয়, ভিক্ষে নয়।... যদি, যদি একটু খাবার জল পাওয়া যেত। গলাটা থেমে গিয়ে আবার শোনা গেল, অনুরোধ করছি মাসীমা একটু যদি জল দেন, গলাটা একদম শুকিয়ে গেছে এই রোদে ঘুরে ঘুরে।
রুবি কাতর হয়ে উঠলো ছেলেটার আর্তি শুনে। গলার কাছটা শুকিয়ে উঠলো। ধরফর করে উঠে টেবিলের উপর রাখা জলের বোতল নিয়ে সন্তর্পণে বেরিয়ে এলো দরজা খুলে, খুব আস্তে যাতে করে শ্বাশুরী না শুনতে পায়। ধীরে দরজা খুলে দেখল বছর বাইশের ছেলে করুন মুখ করে দরজার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাঁধে একটা ঝোলা ব্যাগ, ভারী বলেই মনে হয়। রুবি বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল, এই নাও। ঠাণ্ডা জল। একটু সাবধানে খেয়, বিষম না লাগে আবার। রুবির কানে এসে শ্বাশুরীর ঝনঝনানি লাগলো, যতসব অলক্ষ্মী এসে আমার কপালেই জোটে।
জলের বোতলটা নিয়ে ছেলেটা গলায় ঢালতে শুরু করতে রুবি ভাল করে ছেলেটাকে দেখল। গায়ের রঙ ফর্সা হলেও মুখটা রোদে একদম পুরে গেছে। জামা প্যান্ট যা পরে আছে তাতে মনে হয় ভদ্রঘরের ছেলে। কিন্তু কি বিক্রি করছে ছেলেটা? ছেলেটা জল খাওয়া শেষ করে রুবিকে বলল, অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি। জলটা না পেলে বোধহয় অসুস্থ হয়ে পরতাম। এই জল থেকে একটু চোখে মুখে জল দেব?
রুবি ঘাড় কাত করে সায় দিল। ছেলেটা কাঁধের থেকে ব্যাগ নামিয়ে সামনের বারান্দায় রেখে চোখে মুখে ভাল করে জল দিল, জলের বোতলটা রুবিকে ফেরত দিয়ে পকেট থেকে রুমাল বার করে মুখটা মুছতেই রুবি জিজ্ঞেস করল, তোমার ব্যাগে কি আছে, খুব ভারী মনে হচ্ছে?
ছেলেটা বলল, হ্যাঁ বৌদি, ব্যাগে ধুপের প্যাকেট রয়েছে। একটু ভারী।
রুবি প্রশ্ন করল, ও তুমি বাড়ি বাড়ি ধুপ বেচো?
ছেলেটা বলল, হ্যাঁ বৌদি, এটাই আমার একমাত্র রুজি রোজগার। নেবেন একটা প্যাকেট? মাত্র দশ টাকা। আপনাদের তো ধুপ লাগে? আপনি নিলে আমার একটু উপকার হবে।
রুবি এক লহমা থেমে বলল, একটু দাঁড়াও তুমি। বলে ভিতরে ঢুকে ব্যাগের থেকে দশ টাকা নিয়ে এসে বলল, এই নাও, দাও একটা প্যাকেট। ছেলেটার মুখ খুশিতে ঝলমল করে উঠলো, যাক শেষ পর্যন্ত বিক্রি হোল তাহলে। মনটা ভাল হয়ে গেল এইভেবে যে আজকে ভালই বিক্রি হয়েছে। সম্বিত ফিরল রুবির ডাকে, রুবি ওকে বলছে, তুমি একটু দাঁড়াও, আমি আসছি। ভিতরে ঢুকে ফ্রিজ খুলে একটা ঠাণ্ডা জলের বোতল বার করে তার সাথে সাধারন জল মিশিয়ে বোতলটা নিয়ে বাইরে এসে ছেলেটাকে বলল, এই নাও। এটা রাখো। যা রোদ, তোমার কাজে লাগবে।
ছেলেটা মুখে কৃতজ্ঞতার ভাব ফুটিয়ে বলল, ‘বৌদি আপনি খুব ভাল। এইভাবে আমার সাথে কেউ ব্যবহার করে না।
রুবি হেসে জিজ্ঞেস করল, তাই? নাম কি গো তোমার?
ছেলেটা উত্তর দিল, কালী। আমার নাম কালী। রুবি একটু মজা করল ওর সাথে, কিন্তু তোমার রঙ তো ফর্সা, কালী রাখল কেন তোমার নাম? বলে মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলল রুবি। ছেলেটা লজ্জা পেয়ে বলল, তাই না বৌদি? আমি ঠিক জানি না আমার নাম কেন কালী রেখেছিল মা বাবা। ছেলেটা চলে যেতে উদ্যত হতেই রুবি বলল, এখানে আবার এলে ঘুরে যেও। কথা দিলাম ধুপ তোমার কাছ থেকেই নেব। ছেলেটা একটু নত হয়ে দুহাত জোর করে প্রনাম করল তারপর ব্যাগ কাঁধে বেরিয়ে পড়লো আবার বিক্রির উদ্দেশ্যে।
সন্ধ্যেবেলা ঘরে ধুপ জ্বালানোর কাজটা রুবিই করে। সেইদিন সে একসাথে চারটে ধুপ জ্বালাল, হুম ধূপগুলো সত্যিই খুব ভাল, ভারী সুন্দর গন্ধ। সবকটা ঘরে ধুপের গন্ধ ছড়িয়ে দিলো সে। সারা বাড়ি ধুপের গন্ধে ম ম করছে। শ্বশুরমশায় চায়ের টেবিলে বসতে বসতে বললেন, বাহ, ভারী সুন্দর গন্ধ তো। এই ধুপ তো আগে জ্বালাও নি মা। বলে রুবির দিকে প্রশ্নের চোখ তুলে দেখলেন। রুবি বলল, হ্যাঁ বাবা, আজ একটা ছেলে এসেছিল, তার কাছ থেকে ধুপটা নিয়েছি। দাম কত জানো? মাত্র দশটাকা।
বিরক্তিভরা গলায় কমলা বলে উঠলো, ও হরি, তাহলে ওই ছেলেটা ধুপ বিক্রি করে? আমি ভাবলাম একটা ভিখারি। রুবিকে লক্ষ্য করে বলল, তা তোমার দয়ার শরীর, রেখেছ ভালই করেছ। আমার তো দেখেই মনে হোল অপয়া।
রুবি হেসে বলে উঠলো, না মা ওর নাম অপয়া নয়, ওর নাম কালী। শ্বশুর আর রুবি দুজনেই হো হো করে হেসে উঠলেন। কমলা মুখ ভেটকে রান্নাঘরে ঢুকে গেলেন।
আজ প্রায় আট মাস হয়ে গেল, কালী নিয়মিত এই বাড়ীতে ধুপ দিয়ে যায়। শ্বাশুরীর অমত থাকলেও বিজনের জন্য কিছু বলতে পারেন না। কালী আসলেই কমলা উপর থেকে বুঝতে পারে। আজকাল আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
কমলা বুঝতে পারে কালী এলে বউটা ওকে মোড়া বার করে বসতে দেয় আর বসিয়ে রাখে ততক্ষন যতক্ষণ না বৃষ্টি ধরে আসে। এটাও বুঝতে পারে দুজনের মধ্যে বেশ হাসাহাসি হয়, আবার চাপা গলায় গল্পও চলে। সারা শরীর কমলার রাগে চিড়বিড় করে কিন্তু কিছু বলতে পারে না। শুধু মাঝে মাঝে দুজনের উদ্দেশ্যে বলে ওঠে, অপয়া কোথাকার।
রুবির সাথে কালী অনেক সহজ হয়ে গেছে, রুবিও তাই। একটা সাথী পাওয়া যায় কালী যখন আসে, বেশ সময় কাটে কথা বলে। রুবি জেনে নিয়েছে কালীর বয়স ২২ আর কালীর মা ছোটবেলায় মারা গেছে। বাপের রোজগার নেই বললেই চলে। ছেলে যা আয় করে তাই দিয়ে ছেলে আর বাপের খাওয়া চলে যায়। দুরের কোন বস্তিতে কালীদের বাড়ি। বাপ মাঝে মধ্যে মদ খায় তাও ছেলের টাকায়। পড়াশুনার ইচ্ছে থাকলেও পয়সার অভাবে কালীর করে ওঠা হয় নি। রুবির কালীর জন্য মনটা খুব খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় যদি ওর জন্য রুবি কিছু করতে পারত। এছাড়া রুবি আর কালীর মধ্যে এখন বেশ রসিকতাও চলে। রুবি কালীকে জিজ্ঞেস করে, বাড়ীতে ধুপ বিক্রি করতে গিয়ে কোন মেয়ের সাথে দেখা হয় কিনা। কালী লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকে, ধীরে ধীরে মাথা নাড়ে। করুন স্বরে বলে, আমার সাথে কে কথা বলবে বৌদি? সবাই তো খেদিয়ে বিদেয় করে দেয় প্রায়। এই একমাত্র তুমি আমাকে এত আদরযত্ন করো। হ্যাঁ ওরা এখন তুমি তুমি করেই কথা বলে।
কদিন বাবা আর মা বাবার ভাইয়ের বাড়ি বেড়াতে গেছেন। আসবেন প্রায় সাতদিন পরে। বিজন আপত্তি করেছিলেন রুবিকে একা ঘরে রেখে যেতে। কিন্তু রুবির জেদে যেতে হোল শেষে। রুবি বলেছিল, বাবা, আমি আর ছোটটি নেই যে নিজেকে দেখে রাখতে পারবো না। আপনারা নিশ্চিন্তে যান, কোন চিন্তা করবেন না। তাছাড়া ফোন তো রইলই।
ওনাদের যাবার পর দুদিন হয়ে গেছে। রুবির হাতে এখন অফুরন্ত সময়। কাগজ, বই পড়েও সময় কাটতে চায় না। কেমন যেন রুবির মনে হতে থাকে যদি এই সময় কালী আসতো, দু দণ্ড কথা বলে সময় কাটাতে পারতাম। আজ গরমও পরেছে তেমনি। কাল সারা রাত বৃষ্টি হোল কিন্তু গরম কমলো না। দ্যাখো, কেমন সারা গা ঘামে চপচপ করছে। ইস বগলগুলো কি বিশ্রি ভেজা। ব্লাউসটা গায়ের সাথে চেপে বসে আছে ঘামে। গরমের চোটে মাথার রগ দুটো কেমন দপদপ করছে আর চোখের মনি দুটো ব্যাথায় টনটন করছে। এখনও সময় আছে স্নান করতে যাবার জন্য। রান্না সে কবেই হয়ে গেছে। তবুও নিজের ঘরে কিছু গোছানোর আছে কিনা ভেবে ঘরের দিকে পা বাড়াতেই দরজার ওপার থেকে কালীর গলার আওয়াজ পাওয়া গেল, বৌদি?
রুবি আশ্চর্য হোল এই সময়ে কালীর আওয়াজ পেয়ে। কালী এখন কেন? ওর তো আসার সময় দুপুরে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে বেলা এগারোটা। তাহলে ওর কি কিছু হোল নাকি? দুরুদুরু বুকে ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দেখে কালী ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রুবি ওর দিকে তাকিয়ে বলল, কি হোল আজ এই সময়ে? তুমি তো দুপুরের দিকে আসো? কালী ওর দিকে চেয়ে একগাল হেসে বলল, নাগো বৌদি, আজ এইদিক দিয়ে শুরু করলাম। তাই আগে এলাম।
রুবি একপাশে সরে দাঁড়িয়ে বলল, এসো ভিতরে এসো। হাতে সময় আছে তো? খেয়ে বেড়ও নি নিশ্চয়। ঠিক আছে আমার এখানে দুটো খেয়ে বেড়িও। আমি এখন একা। বাড়ীতে আর কেউ নেই। তাই হাতে অফুরন্ত সময়। গল্প করা যাবে জমিয়ে। তোমার আপত্তি নেই তো?
কালী একমুখ হাসি ফুটিয়ে বলল, নাগো না। আমার হাতে প্রচুর সময়। যদি বল আমি সন্ধ্যে পর্যন্ত তোমাকে সময় দিতে পারি।
রুবি হেসে বলল, না না তোমাকে অতক্ষন আটকাবো না। তুমি বসো ভিতরে এসে। তোমাকে একটু শরবৎ বানিয়ে দিই।
রুবি ভিতরে কালীকে বসতে দিয়ে রান্নাঘরে গিয়ে ওর জন্য একগ্লাস লেবুর জল নুন চিনি দিয়ে বানিয়ে এনে দিল। কালী ঢকঢক করে এক নিশ্বাসে পান করে মুখ দিয়ে একটা আরামের ‘আহহহ’ শব্দ বার করে রুবির হাতে গ্লাসটা ফেরত দিয়ে কৃতজ্ঞতার একটা হাসি উপহার দিল। রুবি বলল, দাঁড়াও আমি গ্লাসটা রেখে আসি। কালীর কাছে রুবি খুব সহজ। পোশাকের দিকে অত নজর দেয় না, কারন ও কালীর নজর লক্ষ্য করেছে। কালী কথা বললে সোজা ওর মুখের দিকে তাকিয়ে। কোন সময় নজর অন্য কোন দিকে বইতে দেয় না। তাই রুবি খুব সহজ হয়ে গেছে অন্তত এটা বুঝে যে ছেলেটার মনে কোন পাপ নেই।
ফিরে আসাতে কালী জিজ্ঞেস করল, ‘বৌদি মাসীমা কোথায় গেছে? রুবি উত্তর করল, বাবা আর মা সাতদিনের জন্য শ্বশুরের ভাইয়ের বাড়ীতে ঘুরতে গেছে। কালী অবাক হয়ে বলল, আরি ব্বাস, তারমানে এই বাড়ীতে তুমি একা? ভয় করে না?
রুবি হেসে উঠে জবাব দিল, কেন? ভয় করবে কেন? কে আছে এখানে চোর না ডাকাত? নাগো, এই পাড়ায় আমার কোন ভয় নেই। কালী মুখ নামিয়ে বলে, আমি হলে থাকতে পারতাম না। আমার আবার রাতের বেলায় ভুতের খুব ভয়।
রুবি হো হো করে হাসতে থাকে ওর কথা শুনে। আরও কিছু কথা বলতে বলতে রুবির মাথাটা আবার দপদপ করে ওঠে, চোখের মনি দুটোতে অসম্ভব ব্যাথা হতে শুরু করে। রুবি কপাল চেপে চোখের মনিদুটোকে দু আঙ্গুল দিয়ে টিপে ধরে মাথা নিচু করে বসে যায়, মুখ দিয়ে আওয়াজ বেড়িয়ে আসে, উফ মাগো।
কালী ওপার থেকে চট করে উঠে এসে রুবির পাশে দাঁড়িয়ে বলে, কি হোল বৌদি? এরকম করছ কেন?
রুবি মাথা চেপে ধরে মুখ নিচু করেই বলে, ‘দ্যাখো না সেই সকাল থেকে মাথাটা ব্যাথা শুরু হয়েছে। কম হয়েছিল তুমি আসার আগে আবার শুরু হয়েছে। দারুন যন্ত্রণা করছে।
কালী বলে ওঠে, আমি কি ডাক্তার ডেকে আনবো বৌদি?
রুবি ওর হাত ধরে বলে, না না, ডাক্তার ডাকতে হবে না। এমনি এমনি সেরে যাবে। দ্যাখো না গরমটা কি পরেছে। তুমি বস, অহেতুক চিন্তা করো না।
কালী তবু দাঁড়িয়ে থেকে বলে, তাহলে একটা কাজ করি। তুমি এই চেয়ারে মাথা হেলান দিয়ে বস। আমি বরং তোমার মাথাটা একটু টিপে দিই, আরাম লাগবে।
রুবির যেন মনে হোল সেটা যদি কালী করে তাহলে ভালই হবে। কিন্তু কেমন বাঁধো বাঁধো ঠেকল মনে। বেচারা এসেছে। কোথায় ও ওর দিকে খেয়াল করবে না কালী ওর দিকে খেয়াল করছে। ও বলল, না না, কোন দরকার নেই। তুমি এত দূর থেকে এসেছ। তুমি আবার কি মাথা টিপবে? বস তো ওখানে।
কালী নাছোড়বান্দার মত রুবিকে বলল, না না, আমার কোন প্রব্লেম নেই। তুমি বস আমি টিপে দিই। একপ্রকার জোর করেই রুবির মাথা চেয়ারে ঠেকিয়ে কালী রুবির মাথা টিপতে লাগলো। রুবির চোখে যেন ঘুম নেমে এলো, এত আরাম করে কালী মাথা টিপতে লাগলো। বেশ কিছু সময় পরে কালী বলল, বৌদি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে টিপতে পা ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে। তুমি যদি কিছু না মনে করো তাহলে তোমার পাশে বসে টিপবো। রুবির যেন লজ্জায় মাথা কাটা গেল। সত্যি এটা ও খেয়ালই করে নি। ও কালীর হাত ধরে ওর পাশে বসিয়ে দিয়ে বলল, সরি আমারই বলা উচিত ছিল।
কালী রুবির পাশে বসে মাথা টিপে যাচ্ছে, রুবির যেন হঠাৎ মনে হোল ওর সারা শরীরে ব্যাথাটা সংক্রামকের মতো ছড়িয়ে পরেছে। এটাও খেয়াল করল কালীর একটা হাত রুবির ভরাট স্তনের উপরে চাপা রয়েছে। চাপ ধীরে ধীরে বেরে চলেছে। রুবির গোলাপি ব্লাউস ঘামে ভিজে চপচপ করছে, আঁচল সরে গিয়ে একপাশের স্তন বেড়িয়ে আছে, ঘামে রুবির স্তনাগ্র আর তার চারপাশের বাদামি বলয় ফুটে উঠে আছে। রুবি মুখে কিছু বলল না আর এটাও সাহসে কুলালো না যে কালীকে লক্ষ্য করে দেখে যে এটা ওর ইচ্ছে করে করা কিনা।
তারপরের ঘটনার উপর দুজনের কোন রাশ ছিল না। দুজনে জানেও না কোন প্ররোচনায় দুজনে আদিম ক্রীড়ায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল। রুবির তখন খেয়াল ছিল না ওর সাথে কালী আছে, রুবির মনে সুজনের সোহাগ ফিরে এসেছিল। সুজন যেমন করে ওকে মুখ দিয়ে সুখ দিয়েছিল কালী ঠিক সেইভাবেই রুবিকে সুখ দিয়েছিল রুবির দুপায়ের মাঝের গোপনীয়তাকে উমুক্ত করে। আদিম মানব মানবীর মতো ওরা নগ্ন হয়ে দুজনে দুজনকে জড়িয়ে ধরেছিল। দুজনের মনের ভিতরই একটা নেশা সংক্রামকের মতো ছড়িয়ে পরেছিল। কালীর ঠোঁট গ্রাস করেছিল রুবির উন্মুক্ত স্তন, হাত দিয়ে আবিস্কার করেছিল রবির দু পায়ের মাঝের গভীরতাকে। রুবিও থেমে থাকে নি। ওর হাত কালীর নগ্ন পুরুষসিংহকে চেপে ধরেছিল। একসময় কালী রুবির মনে সুজন হয়ে রুবির দেহের অন্তিম লজ্জাকে গ্রাস করেছিল নিজের পুরুষসিংহ দিয়ে আর সুজনের মতই ওকে গ্রহন করেছিল। কালীর পুরুষসিংহের আঘাতে আঘাতে রুবির সারা দেহ কেঁপে উঠেছিলো। সেই সময় রুবি আর কালী একাত্ম হয়ে গেছিল, হারিয়ে গেছিল উন্মত্ত যৌনতায়। দুজনের সম্বিত ফেরার পর দুজনেই সামলে নিয়েছিল কিন্তু ততক্ষনে কালীর চোখের সামনে রুবির সবকিছু প্রকাশ পেয়ে গিয়েছিল যেমন কালিও প্রকাশিত হয়ে গেছিল রুবির সামনে। কালী বিদায় নেবার সময় এক লহমা দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়েছিল যেন এটাই বলতে যেটা হয়েছে সেটা শুধু আমি আর তুমিই জানি।
আরও দেড়মাস কেটে গেছে। কালী ঠিকই আগের মতই ধুপ বিক্রি করতে আসে এই বাড়ীতে। এখন শুধু ধুপ বিক্রির পর্যায়ে সম্পর্ক চলে গেছে রুবি আর কালীর মধ্যে।
কমলার কোমরের যন্ত্রণা আগের চেয়ে বেশি এখন। দুদিন ধরে বউটা বাড়ি নেই। বাপের বাড়ি গেছে। আসবে দুদিন পরে। কোনরকমে একটা তেল নিয়ে কোমরে ডলছিল আর মুখ দিয়ে ‘উহ’ ‘আহ’ আওয়াজ করছিল। বাড়ির ঠিকে ঝিকে বলেছিল, ওতে ঝিয়ের কাছ থেকে যা মুখ ঝামটা খেয়েছিল অনেকদিন সেটা মনে থাকবে ওর। তাই অগত্যা মধুসুদন, নিজের সেবা নিজেই করছিল।
সেদিন কালী এসেছিল ধুপ বিক্রি করতে। সাবধানে ডেকেছিল। বৌদি, বৌদি। মাসীমা দরজা খুলে বলেছিল একরাশ বিরক্তি মুখে নিয়ে, তোমার বৌদি ঘরে নেই। উফ বাবা, কি যন্ত্রণা। নিজের কোমরটা চেপে ধরল সে।
কালী চমকে ব্যাগ নামিয়ে কমলার পাশে এসে বলল, ওকি মাসীমা, এরকম করছেন কেন? কি হয়েছে?
কমলা কঁকিয়ে বলল, আর বোলো কেন, কোমরের ব্যাথায় মরে যাচ্ছি। কেউ নেই যে একটু টিপে দেবে।
কালী বলে উঠলো, মাসীমা, আপনি একটু আমায় সময় দিন। আমি যাবো আর আসবো। আপনি ঘরের ভিতর গিয়ে বসুন। আমার ব্যাগটা রইল। বলে কমলাকে কথা বলার কোন সুযোগ না দিয়ে দৌড়ে বেড়িয়ে গেল। কমলা ওর যাওয়ার পথের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে ঘরে এসে বসে রইল। প্রায় পনের মিনিট বাদে কালীর গলা শোনা গেল, মাসীমা, ও মাসীমা।
কমলা দেখা দিতেই পকেট থেকে তিনটে ট্যাবলেট বার করে কমলার হাতে দিয়ে বলল, এখন একটা খেয়ে নিন। পরে বিকেলে একটা আর শোবার সময় একটা খেয়ে নেবেন। আপনার ব্যাথা সেরে যাবে দেখবেন।
কমলার তখন যা অবস্থা কেউ যদি ওকে ব্যাথা কমানোর জন্য কেরোসিন খেতে বলতো হয়ত খেয়ে নিত তাই। জল দিয়ে একটা ট্যাবলেট খেয়ে নিল কমলা। কালী পাশেই ছিল, বলল, মিনিট পনের বসে থাকুন। তারপরে দেখবেন।
মিনিট পনের পরে কালী উঠতে বলায় ভয়ে ভয়ে কমলা উঠে দাঁড়ালো। ওমা একি? ব্যাথাটা তো একদম নেই। কোথায় গায়েব হয়ে গেছে। সেদিন কমলা খুশি মনে কালীর কাছ থেকে দু প্যাকেট ধুপ কিনে নিল।
সেদিন সন্ধ্যেবেলা ধুপ জ্বালিয়ে সারা বাড়ীতে খুশি মনে কমলা ধুপের গন্ধ ছড়িয়ে দিল। বিজন চায়ে মুখ দিয়ে বললেন, কি ব্যাপার, বউমা তো ঘরে নেই। তুমি এই ধুপ পেলে কোথা থেকে?
কমলা রহস্য করে হেসে বিজনকে উত্তর দিল, আজ কালী এসেছিল যে। কমলা না তাকিয়েও বুঝতে পারলো যে বিজন তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন। মুখ ঘোরাতেই বিজন জিজ্ঞেস করলেন, কে বললে? কে এসেছিল?
কমলা জবাব দিলো না, শুধুমাত্র তাকিয়ে বিজনকে দেখে একটা তির্যক দৃষ্টি ছড়িয়ে দিলো, ভাবটা কমলার এমন যেন বলতে চাইল ন্যাকা ভাব করো না, জানো না বুঝি এই গন্ধময় ধুপ কার কাছ থেকে কেনা হয়?
রাত্রি যখন গভীর হয়
Original Writer Address : Go There(For More Release)
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
অন্যরকম ভাবনা
Original Writer Address : Go There(For More Release)
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
বুলা কাকিমা
Original Writer Address : Go There(For More Release)
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
ভালবাসার খুন
Original Writer Address : Go There(For More Release)
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.১.
- রতিকান্ত ঘুমিয়ে পড়লি নাকি?
- না, বৌদি। কেন?
- বৃষ্টির সাথে যা বাজ পড়ছে, আমার ভীষণ ভয় করছে। আমি একা থাকতে পারছি না। আমার পাশে গিয়ে একটু শুবি।
- ঠিক আছে বৌদি, চল আমি তোমার পাশে গিয়ে শুচ্ছি।
- (কড় কড় কড়াত) ... উঃ, মাগো...
- হি, হি বৌদি, তুমি বিদ্যুৎ চমকানির আওয়াজে এত ভয় পাও।
- ভয় না পেলে তোর মত একটা জোয়ান ছেলেকে জড়িয়ে ধরি।
- ঠিক আছে বৌদি আমাকে জড়িয়ে ধরে থাক তাহলে ভয় কম পাবে।
- রতি, তুই না থাকলে আমি আজ ভয়েই মরে যেতাম।
- কি যে বলনা বৌদি, আমার উপরে পুরোপুরি উঠে ভাল করে শোও, দেখ ভয় কম লাগবে।
- বলছিস, ঠিক আছে আমি তোর উপরে উঠে শুচ্ছি, তুইও আমাকে একটু জড়িয়ে ধর।
- বৌদি, তোমার বুক দুটো ভীষণ ঢিপ ঢিপ করছে, একটু ম্যাসেজ করে দেব, কমে যাবে।
- দে, তবে খুব জোরে না আস্তে দিস।
- ভাল লাগছে বৌদি? আরাম পাচ্ছ?
- বেশ আরাম পাচ্ছি, আরেকটু জোরে দে।
- সরাসরি দিলে আরও বেশি আরাম পেতে।
- মানে?
- ব্লাউজটা খুলে যদি...
- ঠিক আছে, ব্রা ব্লাউজ খুলে দিয়ে কর।
- বৌদি, এত বড় আর নিটোল মাই আগে কখনো দেখিনি, তবে তোমার বোঁটা দুটো মুখে নিলে তুমি যে শিরশিরানিটা পেতে তাতে তোমার ভয় অনেক কমে যেত।
- বারন করেছে কে, মুখে নে। আমার ভয় কমা নিয়ে কথা।
- বৌদি, ভেজা ঠোঁটে তোমার বোঁটা দুটো মুখে নিলে বেশি আরাম পাবে, কিন্তু আমার ঠোঁট দুটো শুকিয়ে গেছে। তাই তোমার জিভ দিয়ে আমার ঠোঁট দুটো ভিজিয়ে দাওনা।
- আমার ঠোঁটটাও ভয়ে শুকিয়ে গেছে, আয় তবে, দুজনে দুজনার ঠোঁট চুষে ভিজিয়ে নিই।
- নে, তোর ঠোঁট পুরো ভিজে গেছে, এবারে আমার বোঁটা দুটো চোষ।
- বৌদি, তোমার স্তনের বোঁটা চোষার সাথে তোমার গুরু নিতম্ব মর্দন করলে শরীরে শিরশিরানির সাথে মর্দন সুখের আবেশে তোমার ভয়টা আরও তাড়াতাড়ি কমত।
- আমার ভয়টা কমলেই হল। মাই চোষার সাথে পাছা চটকান শুরু কর।
- বৌদি, একটু উঠে এসে বোঁটা দুটো আমার মুখের কাছে নিয়ে এস। আঃ, কি নরম পাছা তোমার বৌদি।
- এবারে ডান দিকের বোঁটা ছেড়ে বাম দিকেরটা চোষ। পাছাটা জোরে জোরে টেপ। আঃ, উঃ, মাগো, কি আরাম। আমার তো ঊর্ধ্বাঙ্গে কিছু নেই, তোর গেঞ্জিটা আমার খুব অস্বস্তি লাগছে, তুই এটা খুলে ফেল... হ্যাঁ এখন বেশ ভাল লাগছে, দুজনেরই উপরে কিছু নেই।
- বৌদি, তোমার সুন্দর পাছাটাও যদি সরাসরি টেপা যেত তবে...
- বুঝেছি, তা শাড়ি সায়া পুরো খুলে দেব না উপরে গুটিয়ে দেব।
- এখন কোমরের কাছে গুটিয়ে নাও বৌদি, পরে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করা যাবে।
- নে, পুরো শাড়ি সায়া কোমরে তুলে দিলাম, ভাল করে আমার উদলা পাছা চটকা। কিন্তু রতি, আমার তলপেটে কিসের একটা খোঁচা লাগছে।
- তাই বৌদি, হাত দিয়ে ধরে জিনিসটাকে নিজের বাগে নাও, নইলে খোঁচাখুঁচি লেগে ব্যথা পেয়ে যাবে।
- ঠিক বলেছিস। উরে বাব্বা কি সাইজরে রতি, কি লম্বা আর মোটা, এইরকম সাইজ আগে কখনো দেখিনি। ওরে রতি, এইটাকে খোলা রেখে দিলে আমাকে খোঁচাখুঁচি দিয়ে একসা করবে, তখন আমি তোর উপরে শুয়ে থাকতে পারব না। তাহলে রতি কি করি?
- আরে বৌদি ঘাবড়াচ্ছ কেন, ওইটা পুরে রাখার তো তোমার একটা জায়গা আছে, সেখানে ওটাকে ঢুকিয়ে নিয়ে আমার উপরে আরাম করে শুয়ে থাক। তাহলে আর কোন খোঁচাখুঁচির ভয় নেই।
- কিন্তু রতি এটার যা সাইজ তাতে এটা ঢুকলে তো আমার ফরদাফাই হয়ে যাবে।
- আরে বৌদি, ভয় পাচ্ছ কেন। একটা কাজ কর বৌদি তুমি ওটাকে মুখে নিয়ে ভাল করে চোষ, একটু শক্ত হলেও তবে তোমার জিভের লালায় পিচ্ছিল হবে ওটা। আর ওটাকে যেখানে রাখবে সেইটা আমি চুষে হড়হড়ে করে দিচ্ছি তাতে তোমার জিনিসটা ঢোকাতে সুবিধা হবে। এখন এইটা করতে গেলে বৌদি আমাদের 69 পজিশনে যেতে হবে।
- বুঝলাম। রতি, শাড়ি সায়া আর তোর হাফ পেন্টটা খুলে পুরো লেংট হয়ে চোষাচুষির করলে অনেক সুবিধে হবে। কি বলিস তুই?
- একদম ঠিক বলেছ বৌদি, এতে দুজনের শরীরের সরাসরি সংস্পর্শে ভয় ধারে কাছে ঘেষতে পারবে না। নাও বৌদি, আমাদের সব পোশাক আশাক খোলা হয়ে গেছে এবারে তুমি ঘুরে গিয়ে 69 পজিশনে যাও।
- রতি, আগে কখনো মেয়েদের যোনি চুষেছিস?
- না বৌদি, এই প্রথম।
- ঠিক আছে আমি শিখিয়ে দিচ্ছি। বালের জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে মেয়েদের সবচাইতে গোপন মূল্যবান রত্নখনি। আগে এই গোপন স্থানে হাত দিয়ে স্পর্শ করে অনুভব কর, আঃ, ইস...
- বৌদি, তোমার এখানটা কি নরম আর গরম, বৌদি তোমার পাপড়ি দুটো ভেজা ভেজা কেন?
- এতক্ষন ধরে মাই চুষলে, পাছা চটকালে গুদটা ভেজা হবে নাতো কি শুকিয়ে খড়খড়ে থাকবে বোকাচোদা। নে এবারে পাপড়ি দুটো মুখে নিয়ে চোষ, ইস্*... মরে যাব... কি করছিস, চোষ, চোষ, এবারে গুদের উপরে কোঁটটিতে জিভের ঘষা দে, উরি মা, কি সুখ দিচ্ছিস, হাত দিয়ে পাপড়ি দুটো টেনে ফাঁক করে গর্তের মধ্যে জিভটা ঢুকিয়ে দিয়ে নাড়তে থাক, আমাকে তুই পাগল করে দিচ্ছিস রে বোকাচোদা, তুই চুষে গুদটাকে রসিয়ে হড়হড়ে কর আর আমি ততক্ষণ তোর ধনবাবাজির সেবা করি।
- বৌদি বাঁড়ার মুণ্ডিতে জিভ বুলিয়ে আমাকে পাগল করে দিচ্ছ, উরি বাবা ললিপপের মত আমার বাঁড়াটা চুষে কি আরাম দিচ্ছ বৌদি… এরকম চোষা আমি জীবনে খাইনি, অণ্ডকোষ দুটো চেটে আমাকে সুখে পাগল করে দিচ্ছ… তুমি যে এত সুখ দেবে বুঝতে পারিনি গো।
- অনেক চোষাচুষি হয়েছে এবারে চোদাচুদি শুরু করি, তোর প্রথম বার তাই আমি তোকে ওপর থেকে চুদব, ঠিক আছে। একখানা বাঁড়া বানিয়েছিস বটে, এ জিনিস গুদে না ঢোকালে জীবনই বৃথা। আর শোন খানকির ছেলে, চোদাচুদির সময় খিস্তি মেরে কথা বলবি, আমার ভাল লাগে। লেওরার চাঁদ আমার, শুয়ে শুয়ে ধন খাড়া করে বৌদির ঠাপ খাচ্ছিস, উমা… রতিইইই… কি সুখ দিচ্ছিস রে, এইরকম বাঁড়ার চোদন আগে কখনো খাইনি রে, ওরে খানকির ছেলে আমার মাই দুটো কে চুষবে তোর মামা, এমন ডবকা মাই শালা আগে কোনদিন চুষেছিস, চুদে চুদে আমার গুদ ফাটিয়ে দে।
- ওরে গুদমারানী খানকিমাগী এত বাড়ার ঠাপ খেয়েও তোর গুদ ঢিলে হয়নি একটু৷ কিভাবে তোর গুদটা আমার বাড়াটা কামড়ে কামড়ে ধরছে দেখ একবার৷
- গান্ডু , মাদারচোদ আবার পোঁদে আঙ্গুল ঢুকিয়ে কি সুখ দিচ্ছিস রে, হ্যাঁ, হ্যাঁ… আসছে আসছে… ও ও মাগো।
- কি সুখ… আমারও হবে বৌদি, থেমনা… হ্যাঁ, হ্যাঁ… আসছে আসছে… ও ও মাগো।
শব্দ সংখ্যার বাঁধনে আটকা পড়ে লেখকের একমাত্র ভরসা পাঠকদের কল্পনা শক্তির উপর।
যাইহোক, এখানে পুরুষ চরিত্রটির নাম রতিকান্ত, সে শহরের নামি কলেজে ফিজিক্সে অনার্স নিয়ে পড়ে। কলেজ দুদিন ছুটি থাকায় সে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। মামার বাড়ির পাশেই কুমুদিনি রাইস মিলের মালিকরা থাকে, এদের সঙ্গে মামাদের সম্পর্ক খুবই ভাল। বিশেষ কাজে জয়কৃষ্ণ (কুমুদিনি রাইস মিলের এক মালিক) বাবুকে স্ত্রী কুমুদিনিকে একা রেখে বাইরে যেতে হচ্ছে বলে রতিকান্তকে রাতে তার বাড়িতে থাকার জন্য রতিকান্তের মামার কাছে জয়কৃষ্ণ বাবু অনুরোধ জানায়। রতিকান্তের মামা এককথায় রাজি হয়ে যায়।
রাত নটায় ডিনার শেষ করে রতিকান্ত জয়কৃষ্ণ বাবুর বাড়িতে হাজির হয়। জয়কৃষ্ণ বাবুর স্ত্রী কুমুদিনি দরজা খুলে সাদরে রতিকান্তকে ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে বসায়। রতিকান্তের কুমুদিনির ধারাল মুখশ্রী দেখে কালিদাস-বর্ণিত নায়িকাদের কথা মনে পড়ে যাদের স্ফটিকস্বচ্ছ চোখ, চাঁদ কপোল, খাড়া নাক, কমলার কোয়ার মতো ঠোঁট। আবার এদিকে রতিকান্তের মত এমন সুপুরুষ যুবক তার বাড়িতে রাত পাহারা দিতে আসবে এটা কুমুদিনির কল্পনার বাইরে ছিল। রতিকান্তের কোঁকড়ানো ঢেউ খেলানো মাথার চুল, প্রশস্ত ললাট, তার উচ্চ নাসিকা, রজত-শুভ্র দাঁতে তার মুক্তার মত হাসি দেখে কুমুদিনি মুগ্ধ হয়। কিছুক্ষন গল্প করার পরেই রতিকান্ত আপনি থেকে তুমিতে নেমে আসে আর কুমুদিনি রতিকান্তকে তুই বলে সম্বোধন শুরু করে। অনেক রাত হয়ে যাওয়াতে কুমুদিনি রতিকান্তকে শোবার ঘর দেখিয়ে দিয়ে নিজের ঘরে শুতে চলে যায়। শোবার কিছুক্ষন পরেই শুরু হয় অঝোর ধারায় বৃষ্টি সাথে বিদ্যুতের ঝলকানি। মুষলধারে বৃষ্টি তার মধ্যে অন্ধকার, মেঘের ভয়াবহ গর্জন ও বিদ্যুতের ঝলকানি কুমুদিনিকে অতিশয় ভীত করে তোলে। তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় একা থাকা, ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সে রতিকান্তের ঘরে গিয়ে পৌঁছয়। এর পরের ঘটনাটা পাঠকরা আগেই জেনেছেন।
এর পরের দুটো দিন স্বাভাবিক কারনেই রতিকান্ত মামার বাড়িতে খুব কম সময়ই কাটায়, পুরো সময়টাই সে কুমুদিনির বাড়িতে কাটায়। এই দুদিনে নতুন নতুন আসনে মত্ত হয় দুই কামনার আগুনে ঝলসান নর নারী। কখন রতিকান্ত নিচে তো কুমুদিনি ওপরে, আবার কখনো কুমুদিনি নিচে তো রতিকান্ত ওপরে, কখন কোলে বসিয়ে, কখন দাঁড়িয়ে, কখন পেছন থেকে, কখন পাশে শুইয়ে এইরকম নানা ভঙ্গিমায় রতিকান্ত তার যৌনজীবনের প্রথম পাঠ পুরোমাত্রায় উপভোগ করে।
দুদিন পরেই রতিকান্ত ফিরে আসে কলেজে। এহেন সুপুরুষ রতিকান্তের চারপাশে মেয়েদের ভিড় লেগে থাকাটাই স্বাভাবিক। মেয়েদের ব্যাপারে রতিকান্তের আগ্রহ থাকলেও কিন্তু কোন সম্পর্কে জড়াতে সে নারাজ ছিল। তার জীবনের মূল মন্ত্রই ছিল জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাবা মায়ের দুঃখ মোচন করা।
সেকেন্ড ইয়ারে ওঠার পরে রতিকান্তের সঙ্গে কলেজের এক ফাংশনে ফার্স্ট ইয়ারের ইংলিস অনার্সের ছাত্রি সাগরিকার সাথে আলাপ হয়। সাগরিকার আগমনে রতিকান্তের জীবনটাই পাল্টে যায়, খড়কুটোর মত ভেসে যায় সে। পোশাক পাল্টানোর মত সাগরিকা গাড়ি পাল্টে কলেজে আসে অথচ তার মধ্যে কোন অহংকার নেই- সারাক্ষন হাসিখুশি থাকে, খুবই মিশুকে, আত্মবিশ্বাসী। এই কারনেই সাগরিকাকে তার খুব ভাল লাগে, সাগরিকাকে তার কল্পনার মানসপ্রতিমা বলে মনে হয়। আর তার সুন্দর মুখের হাসি দেখার জন্য রতিকান্ত হাজার মাইল হেঁটে পাড়ি দিতে পারে।
কিন্তু রতিকান্ত এখন সাগরিকাকে ছাড়া কোনকিছু ভাবতে পারেনা। রতিকান্তের সঙ্গে কুমুদিনির সম্পর্ক ক্ষিন থেকে ক্ষিনতর হতে থাকে। নিজের অজান্তেই কুমুদিনি রতিকান্তকে মন দিয়ে ফেলে। কুমুদিনি রতিকান্তের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্কটাকে অবৈধ হলেও অনেক ভাবে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু যেদিন রতিকান্ত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে তার মত বিবাহিতার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে সে তার নিজের জীবনটা নষ্ট করতে রাজি নয়, সেদিনই কুমুদিনি বুঝে যায় তার ভালবাসা খুন হয়ে গেছে।
২.
একটি হোটেলের ৩০৭ নম্বর রুমে একটি উলঙ্গ পুরুষ আর একটি উলঙ্গ নারী একে অপরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মুখোমুখি বসে। একজন আরেকজনের চোখে কি যেন খোঁজে, ঠোঁট দুটি কাছাকাছি, সময় যেন থমকে গেছে, মিলনের প্রত্যাশায় নারীর ঠোঁট হাল্কা ফাঁক হয়, তিরতির করে কাঁপে শরীর। মন্ত্রমুগ্ধের মতো পুরুষটি ঠোঁট নামায় নারীর ঠোঁটে আলতো করে। দুজনের শরীরে যেন আগুন ধরে যায়। একজন আরেকজনকে চুষতে থাকে, কামড়াতে থাকে। পুরুষটির হাত নারীর শরীরে সর্বত্র ঘুরে বেড়াতে থাকে, টিপতে থাকে।
পুরুষটি আলতো করে নারীর স্তনে হাত রাখে, নিপলগুলি খাড়া আর গোল। কালচে খয়েরি রং। নিখুত শেপ। পুরুষটি দুই হাতে দুইটা স্তন ধরে। খুব মোলায়েম করে চাপ দেয়। হাতের ছোয়া পেয়ে নিপলগুলি দ্রুত সাড়া দেয়। তারপর জিব ছোঁয়ায় পালা ক্রমে। পুরুষটি নারীকে ডান হাতে জড়িয়ে ধরে বাম হাত দিয়ে তার বাম স্তন টিপতে থাকে আর মুখ দিয়ে তার ডান স্তনকে চুষতে থাকে।
নারীর চুলগুলো এলায়িত অবস্থায় হাওয়ায় লুটোপুটি খায়। চেহারায় অপূর্ব সুন্দরী তিলোত্তমা। বুকের নিচে সুন্দর সমুদ্রতটের মতোই ওর নাভীদেশ। তারপর ধীরে ধীরে আরো নিচে, যেখানে আছে তলপেট, তারও নিচে মেদবহূল মাংসল উরুর সুন্দর মনোরম সন্ধিস্থলে ছড়িয়ে থাকা লোমগুলি যেন ঘাসের মতন মসৃণ এক আবরণ সৃষ্টি করে রেখেছে। নিপলস সাক করা না থামিয়ে পুরুষটি আঙুলগুলো দিয়ে মেয়েটির বুকের ওপর থেকে শুরু করে নিচে নাভিদেশ পেরিয়ে আরো নিচে নামাতে নামাতে ওর দুই উরুর সন্ধিস্থলে হাত রাখে। হাত বুলায় নারীর গোপন স্থান যোনিতে। খুব ছোট করে ছাটা রেশমের মত কোমল বাল। নীচের দিকটার কিছু বাল কামরসে মাখামাখি হয়ে চিক চিক করে। স্তনে মুখ রেখেই দুহাত বাড়িয়ে নিতম্ব ধরে পুরুষটি। খুবই সুডৌল পাছার আকৃতি।
পুরুষটির বিশাল লিঙ্গটা আধা শক্ত হয়ে ঝোলে। এরপরে পুরুষটি হোটেলের ঘরের দেওয়ালে হেলান দিয়ে খাটের উপরে আধ শোয়া হয়। পা দুটি খাটের সামনের দিকে ঝোলান। নারী তার হাটুর মাঝে বসে আস্তে করে পুরুষাঙ্গে হাত ছোঁয়ায়। একটু শিউরে ওঠে পুরুষটি। নারী এবারে পুরুষটির লিঙ্গ মূখে নিয়ে যত্নের সাথে চুষতে শুরু করে। জৈবিক নিয়মেই লিঙ্গ শক্ত হতে শুরু করে। আস্তে আস্তে হাতের গ্রীপ ভরে যায় নারীর।
খাটের ওপর নগ্ন অবস্থায় শুয়ে পড়ে নারী নিজেই নিজেকে শৃঙ্গার করতে থাকে। নিজের স্তনদুটো দুহাতে চেপে ধরে, সুডৌল পা দুটি দুদিকে এত বেশী প্রসারিত করে দেয় যে ওর দুই উরুর সন্ধিস্থলের গহ্বরের দুটি প্রাচীর ভেদ করে জ্বলজ্বল করতে থাকে ভেতরটা। পুরুষটি হাঁটু গেড়ে বসে নারীর দুই উরুর সন্ধিস্থলের গহ্বরে জিব ঠেকায়। নিতম্ব থেকে হাত সরিয়ে থাই দুটো ছড়িয়ে দেয়, যোনি গহ্বর ফাঁক হয় আরেকটু। পুরুষটি যোনি চেরার উপর দিয়ে জিব বুলায়। রসে জব জব করে। যোনি রসের স্বাদ পাগল করে তোলে তাকে। চেরার মধ্যে জিভটি গলিয়ে দিয়ে ভিতর বাহির করতে থাকে পুরুষটি। স্তন টিপার মত করেই নিতম্ব মর্দন করতে থাকে পুরুষটি। তবে বেশ জোরের সাথে। এভাবে কিছুক্ষন চলার পর নারী একদম হাপিয়ে ওঠে। তার শরীর খাবি খায়।
নারী চোদনের ক্লাসিক পজিশন। পুরুষটি নারীর পা দুটি ভাজ করে উপরে তুলে দেয়। লিঙ্গটা ওর যোনিদ্বারে ঢোকানোর পরে পুরুষটি এক অদ্ভূত সুখানুভূতি অনুভব করে দেহমনে। নারী শরীরের অভ্যন্তরে লিঙ্গটা খেলতে শুরু করে। উদ্দাম হয়ে নারী পুরুষটিকে সঙ্গম সুখের স্বাদ দিতে শুরু করে। চরম সুখের উত্তাপ যেন গলে গলে পড়ার অপেক্ষায়। কোমরটা দুহাতে জড়িয়ে ধরে পুরুষটি ওকে একটা জোরে ধাক্কা দেয়। আস্ত লিঙ্গটা আচানক ঢুকে যায় যোনির ভিতরে। মনে হয় নাভী অব্দি গিয়ে ঠেকেছে। নারী অধীর আনন্দে শীৎকার দিয়ে ওঠে।
নারীর মনে হয় একটা বর্শা যেন তাকে বিছানার সাথে গেথে দিয়েছে। তারপর শুরু হয় ঠাপ। অর্ধেকটা লিঙ্গ বের করে এনে সজোরে ঠেলে দেয়। জোর এবং গতি দুটোই ক্রমশ বাড়তে থাকে। নারী এরই মাঝে জল খসিয়ে ফেলায় যোনিটি পিছলা হয়ে লিঙ্গটি অনায়াসে আসা যাওয়া করে।
উঃ এ যেন স্বর্গসুখ। ভয়ঙ্কর কঠিন হয়ে গেছে লিঙ্গটা। প্রচন্ড উত্তেজনায় নারী থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে যৌবনের সব উত্তাপ ঝরিয়ে দেয় পুরুষটির লিঙ্গরাজের ওপরে। পুরুষটিও দ্রুত গতিতে অঙ্গসঞ্চালন করে শরীরের সব শক্তি নিঃশেষ করে ফেলে।
এর মধ্যেই নারী যেন পুরো শরীরটা সমর্পণ করে দেয় পুরুষটির কাছে। দেহে দেহে সংযোগ ঘটে, দুটি পাপড়ির ফাঁকে লিঙ্গ ক্রমাগত প্রবেশ করে চলে। নারী এখন চরম সুখপ্রাপ্তির আবেশে আচ্ছন্ন। সুখের সর্বোচ্চ শিখরে নারীকে পৌঁছে দিয়ে পুরুষটি কামনার জারকরস উদগীরণ করে দেয়। বীর্য তখন বৃষ্টিপাতের মতই ঝড়ে পড়ে আর সেই সাথে দুজনেরই অভ্যন্তরে সুখের লাভা গলে গলে ঝরে পড়ে।
সাগরিকা বালিশটা টেনে নিয়ে কাত হয়ে বেশ আরাম করে শোয়। চোখেমুখে এখনো খানিক আগের তৃপ্তির আভা। করতলে গাল রেখে বিছানায় বসা রতিকান্তের দিকে তাকায়।
রতিকান্ত- একটা কথা বলবে সাগরিকা, তুমি কি সত্যিই আমাকে ভালবাস?
সাগরিকা- ভাল না বাসলে তোমার সাথে এইসব করতাম। আজ হঠাৎ এই কথা বলছ কেন?
রতিকান্ত- আসলে আমি তোমাকে ঠিক বুঝতে পারি না, কখনো মনে হয় তুমি খুব সরল সাধাসিধে আবার কখনো তুমি ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাই আজ তোমাকে বলতেই হবে আমাদের সম্পর্কের পরিনতি নিয়ে তুমি কি ভাবছ।
সাগরিকা- কিসের সম্পর্ক? তুমি তো বললে আমাকে তুমি বোঝোই না, তাহলে?
রতিকান্ত- তুমি প্রত্যেক বারই হেঁয়ালি করে আমার এই কথাটা এড়িয়ে যাও, আজ তোমাকে বলতেই হবে আমাদের সম্পর্কের পরিনতি কি?
সাগরিকা- দেখো, তুমি মাস্টার্স করে চাকরি খুঁজবে, কাজেই তোমার চাকরি পেতে পেতে এখনও তিন চার বছর। এতদিন বাবাকে আমি তোমার ব্যপারে কিছু বলতে পারব না কারন তাহলেই বাবা আমার কলেজে আসা বন্ধ করে দেবে বা আমাকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেবে। এখন তুমি যতদিন না ভাল চাকরি পাচ্ছ ততদিন আমাদের সম্পর্কের অবস্থা টালমাটাল। ভালবাসা দিয়ে তো আর পেট ভরবে না।
রতিকান্ত- কিন্তু তুমি আমাকে এইটুকু নিশ্চিন্ত কর যে তুমি আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যাবে না। তাহলে আমি নিশ্চিন্ত হয়ে ভাল রেজাল্ট করে ভাল চাকরি পেতে পারি।
সাগরিকা- হা, হা তুমি কি আমাকে হোটেল ভাব নাকি যে আগে থেকে রুম বুক না করলে অন্য কেউ দখল করে নিতে পারে। আর একটা কথা, সম্পর্কে আমার স্বীকৃতি দেওয়ার সাথে তোমার ভাল রেজাল্ট বা ভাল চাকরির কি সম্পর্ক। তোমার জীবনের লক্ষ্যই ছিল ভাল চাকরি করে বাবা মায়ের দুঃখ মোচন করা, এরমধ্যে আমি আসছি কোথা থেকে।
রতিকান্ত- তোমার সঙ্গে কথায় কোনদিন পারিনি, আজও পারলাম না। ঠিক আছে। অন্তত এইটুকু তো বলতে পার আমার কোন বিপদে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না।
সাগরিকা- একটা মেয়ে হয়ে আমি তোমার সঙ্গে হোটেলের ঘরে সময় কাটাচ্ছি, যেখানে তুমি ইচ্ছে করলেই আমাকে বিপদে ফেলতে পার সেখানে আমি তোমাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করি অথচ তুমি আমার উপর ভরসা রাখতে পারছ না।
রতিকান্ত- উফ, তুমি পারোও বটে, সোজা কথা সোজা ভাবে বলতে পার না। যাকগে মুখের কথার কি দাম কার্যক্ষেত্রেই প্রমান হবে।
সাগরিকা- ঠিক বলেছ, অনিশ্চয়তা কিসে নেই বল, যা ঘটার ঘটবে। আমি-তুমি হাজার চাইলেও নিয়তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। শোন, অনেক দেরি হয়ে গেছে। আরও আগেই রওনা হওয়া উচিত ছিল। চলো, স্নান সেরে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ি। বাবা আসার আগে আমাকে বাসায় পৌঁছাতে হবে।
রতিকান্ত- ঠিক আছে, তুমি আগে বাথরুমে গিয়ে স্নান সেরে নাও।
সাগরিকা তোয়ালে নিয়ে বাথরুমের দরজার দিকে এগিয়ে প্রথমে দরজা খোলে। আর তখনি বিছানা থেকে উড়ে এসে যেন সাগরিকার চিত্কারটাকে মুখে হাতচাপা দিয়ে থামায় রতিকান্ত। বাথরুমের খোলা দরজা দিয়ে যে দৃশ্য দেখে ওরা, বাকি জীবন তা ওদের মনে গেঁথে থাকবে।
শাওয়ারের নিচে আধাশোয়া হয়ে পড়ে আছে লোকটা। দেয়ালে মাথা আর পিঠ ঠেকানো। খোলা, প্রাণহীন চোখ দুটো যেন সোজা চেয়ে আছে ওদের দিকে। মাথাটা সামান্য হেলে আছে ডান কাঁধের ওপর। সাদা শার্টের বুকের কাছটা রক্তে লাল। বাথরুমের মেঝেতেও সরু একটা রক্তের ধারা নেমে এসেছে। কালো প্যান্টের মধ্যেও ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। খালি পা। সাগরিকাকে জাপটে ধরে রেখেই ঝুঁকে এক হাতে বাথরুমের দরজা টেনে দেয় রতিকান্ত।
হিস্টিরিয়া রোগীর মতো থরথরিয়ে কাঁপে সাগরিকা। অস্পষ্টভাবে শুনতে পায়, ‘চুপ করো। চুপ করো, সাগরিকা। কেউ শুনতে পাবে।’
উদভ্রান্তের মতো চারপাশে দেখে সাগরিকা। রতিকান্ত টের পায় তার শরীরের সঙ্গে লেপ্টে থাকা সাগরিকার খানিক আগের সেই উষ্ণ শরীর এখন বরফের মতো ঠান্ডা।
সাগরিকা- এখন কি হবে রতিকান্ত? পুলিশে খবর দেওয়া উচিত আমাদের... আর নয়তো হোটেলের কাউকে খবর দাও।
রতিকান্ত চেষ্টা করে নিজের আতঙ্ক চেপে রাখার।
রতিকান্ত- পুলিশ? তোমার মাথা খারাপ হয়েছে! কী ভয়ংকর প্যাঁচে পড়েছি বুঝতে পারছ না।
সাগরিকা- কিন্তু, লোকটাকে খুন করা হয়েছে! লোকটার বুকে গুলি মেরেছে কেউ! চল পালাই।
রতিকান্ত- এক মিনিট। আমরা যদি প্রথমেই এখান থেকে পালাই... না, এত সহজ না। আমরা চাইলেই এখান থেকে চলে যেতে পারব না। হোটেলরুমে একটা লাশ ফেলে রেখে চাইলেই চলে যাওয়া যায় না।
কষ্টে ঢোক গেলে সাগরিকা, পরিস্থিতির জটিলতা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতেই আতঙ্কে আবার বোধবুদ্ধি গুলিয়ে যায় তার।
সাগরিকা- আচ্ছা রতিকান্ত, আমাদের আগে এই রুমে যে ছিল এটা নিশ্চয়ই সেই লোকের কাজ, সে এই লোকটাকে খুন করেছে। আমাদের আগের বোর্ডারের নাম-ঠিকানা নিশ্চয়ই আছে ম্যানেজারের রেজিস্টারে। আমরা কেন সোজা ম্যানেজারের কাছে গিয়ে এটা বলছি না? যা সত্যি তাই বলব। বাথরুমে লোকটাকে কীভাবে দেখেছি খুলে বলব।
নীরবে ট্রাউজার পরে রতিকান্ত।
রতিকান্ত- কোনো লাভ হবে না। আমাদের এ রুম দেবার আগে ওরা গোছগাছ করেছে। তখন বাথরুমে লাশ থাকলে ওদের চোখে পড়ত। নাম-ঠিকানা? ইস, আমরা যদি হোটেলের রেজিস্টারে আমাদের ভুয়া নাম লিখতাম তাহলে বাঁচার একটা সম্ভাবনা হয়তো ছিল। আমরা আসল নাম-ঠিকানা দিয়েছি গাধার মতো। এখন পালালেও পরে পুলিশ সোজা বাসায় গিয়ে হাজির হবে। এই বিপদ থেকে বাঁচতে গেলে... একটাই রাস্তা এখন... ধরো... ধরো... তোমার বাবাকে জানাই যে তুমি আমার সঙ্গে হোটেলে এসেছ আর আমরা দুজনে কি বড় বিপদে...
সাগরিকা- না, না। এটা বলবে না। কিছুতেই না। বাবা তাহলে আমাদের দুজনকেই মেরে ফেলবে। তোমার মত ভেগাবন্ডের সাথে আমি হোটেলের ঘরে সময় কাটিয়েছি শুনলে আমার সঙ্গে যার বিয়ের ঠিক হয়ে রয়েছে সে আমাকে আর মেনে নেবে......
মুখ ফস্কে কথাটা বেরিয়ে যেতে সাগরিকা নিজেই ভীষণ চমকে ওঠে। তার এখন আর কিছু করার নেই, বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে গেছে।
রতিকান্ত- মানে... তোমার সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়ে রয়েছে এই কথাটার মানে......
সাগরিকা মনে মনে ভাবে, গুলিটা যখন বেরিয়ে গেছে বন্দুক থেকে তখন লুকচুপি করে লাভ নেই, সাগরিকা মরিয়া হয়ে ওঠে।
সাগরিকা- শুনবে, তাহলে শোন সত্যিটা। দু কান খুলেই শোন। আমার সাথে আমার বাবার বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ের পাকা কথা হয়ে রয়েছে। ছমাস পরেই আমাদের বিয়ে, বিয়ের পরেই আমরা আমেরিকা চলে যাব।
রতিকান্ত- তাহলে আমার সাথে এই খেলা খেললে কেন? আমাকে ইউজ করে আজ ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছ।
সাগরিকা- হে লুক, তোমাকে আমি কি ইউজ করেছি, আমার পয়সায় তুমি খেয়েছ, ঘুরেছ, মস্তি করেছ, এমনকি আজকের হোটেলের পয়সাও আমি দিয়েছি। তোমার স্ট্যাটাস আর আমার স্ট্যাটাস হেল অ্যান্ড হেভেনের ডিফারেন্স, সিনেমায় এসব হয় বাস্তবে হয় না। তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা শরীরের, মনের নয়, বিনা পয়সায় নয় ভাল মতন খরচা করেই শারীরিক আনন্দ ভোগ করেছি।
রতিকান্ত- ছেলে বেশ্যা বানিয়ে দিলে।
সাগরিকা- এটা তোমার চিন্তাধারা, আমার নয়। আমি যেমন আনন্দ পেয়েছি তেমনি তুমিও আমার শরীর ভোগ করে কম আনন্দ পাওনি। বাথরুমে লাশ রেখে এইসব কথা পরে চোদালেও তো হবে। এখন এই বিপদ থেকে কিভাবে রেহাই পাব সেটা ভাব। আচ্ছা, নিচে গিয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা বাড়ির পথ ধরলে হয় না?
রতিকান্ত- তুমি এতটা গাধা হও কীভাবে? বোকা বানিয়ে ছেলেদের দিয়ে নিজের গুদের চুলকানি মেটাতে পার, আর এটা জাননা, পালাতে পারলেও, আমাদের নাম-ঠিকানা লেখা আছে রেজিস্টারে।
সাগরিকা- কিন্তু তাতে আমার নাম নেই। তুমি শুধু তোমার নাম-ঠিকানা লিখেছ।
রতিকান্ত- তুই যে একটা বড় খানকি এটা প্রমান করলি। যাইহোক তোর নাম রেজিস্টারে না থাকলেও তোর ওই বেশ্যা মার্কা খোমা ম্যানেজার ভুলবে না। আমার চেহারার বর্ণনা দিলে তোরটা কি বাকি রাখবে? তোর গাড়িও তার অচেনা না। হয়তো তোর গাড়ির নাম্বারও সে বলে দিতে পারে।
সাগরিকা- আমি বাড়ি ফিরতে চাই। আমাকে বাসায় দিয়ে এসো। কেন যে মরতে এসেছিলাম এখানে!
রতিকান্ত- হুঁ, অন্ধকার হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। লাশটাকে নিয়ে গাড়ির পেছনের ডিঁকিতে তুলব, পথে সুবিধামতো কোনো জায়গায় ফেলে দিয়ে যাব।
সাগরিকা- হ্যাঁ, ভালো বুদ্ধি। তাই কোরো। আমি একা চলে যাই। অন্ধকার হলে লাশটা গাড়িতে তুলে তুমি চলে এসো্*......
রতিকান্তের চোখে চোখ পড়তে থেমে যায় সাগরিকা, চোখে ঘৃণা ফুটে ওঠে রতিকান্তের।
রতিকান্ত- শালি খানকি! বিয়ের আগে পাঁচ জনের সাথে শুচ্ছিস আবার বিয়ের পরেও আরও পাঁচ জনের সঙ্গে শুবি, শালি, রেন্দি, খানকি মাগি।
সাগরিকা- আমাকে তুমি যা খুশি গালি দিতে পার। রতিকান্ত, আমার কোনো উপায় নেই। শীতকালে দিন ছোট, তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা হয়ে যাবে। খুব বেশিক্ষণ তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে না।
রতিকান্ত- শোনো, ওই লাশ গুম করতে গিয়ে যদি আমি ধরা পড়ি, তখন তোমাকে প্রকাশ্যে এসে বলতে হবে, আমরা একসাথে এই হোটেলে এসেছি।
সাগরিকা- কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাবা, আমার হবু বর সব জেনে যাবে... (কপাল বেয়ে ঘাম নামে সাগরিকার) রতিকান্ত, তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আমাকে এই ঝামেলায় টেনে এনো না। (প্রায় চেঁচিয়ে উঠে দাঁতে দাঁত চেপে বলে) আমি এই পাপ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। রতিকান্ত, তুমি আমাকে আর কোনো দিন ফোন করবে না। কোনো যোগাযোগের চেষ্টা করবে না... কোনো দিন না... যা কিছু ঘটুক তোমার। আমার কাছ থেকে তুমি কোনো সাহায্য পাবে না। আমি তোমাকে ভালোবাসি না। স্রেফ শরীরের জন্য তোমার সঙ্গে মিশেছিলাম আমি। বিদায়!
নিচে নেমে যায় সাগরিকা। আরও খানিক পর দেখা যায় সাগরিকা গাড়ির সামনের ড্রাইভারের সীটের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে ইঞ্জিন স্টার্ট দেয়। ছোট, অপরিসর ব্যালকনির দরজায় দাঁড়িয়ে সব দেখে রতিকান্ত। সাগরিকার গাড়ি গেইট দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যাওয়া না পর্যন্ত পাথরের মতো রতিকান্ত দাঁড়িয়েই থাকে। এই সময় তার পেছনে এসে দাঁড়ায় একটা ছায়া। সাদা শার্টে কৃত্রিম রক্তের দাগ শুকিয়ে কালচে হয়ে গেছে। ‘চলে গেল’ পেছন থেকে জানতে চায় সে।
রতিকান্ত করুণ মুখে বন্ধু মদনের দিকে তাকায়, অস্পষ্ট ভাবে মদনের কিছু কথা কানে আসে, বলেছিলাম না ওই মাগী সুবিধের নয়, তোর সঙ্গে খেলছে, দেখলি তো প্রমান করে দিলাম। এসব কিছুই রতিকান্তের মাথায় ঢোকে না, তার মাথায় শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে একটা জিনিসই, বাথরুমে সাজানো লাশের জায়গায় তার সত্যিকারের ভালবাসা খুন হয়ে পড়ে আছে।
Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.১.
- রতিকান্ত ঘুমিয়ে পড়লি নাকি?
- না, বৌদি। কেন?
- বৃষ্টির সাথে যা বাজ পড়ছে, আমার ভীষণ ভয় করছে। আমি একা থাকতে পারছি না। আমার পাশে গিয়ে একটু শুবি।
- ঠিক আছে বৌদি, চল আমি তোমার পাশে গিয়ে শুচ্ছি।
- (কড় কড় কড়াত) ... উঃ, মাগো...
- হি, হি বৌদি, তুমি বিদ্যুৎ চমকানির আওয়াজে এত ভয় পাও।
- ভয় না পেলে তোর মত একটা জোয়ান ছেলেকে জড়িয়ে ধরি।
- ঠিক আছে বৌদি আমাকে জড়িয়ে ধরে থাক তাহলে ভয় কম পাবে।
- রতি, তুই না থাকলে আমি আজ ভয়েই মরে যেতাম।
- কি যে বলনা বৌদি, আমার উপরে পুরোপুরি উঠে ভাল করে শোও, দেখ ভয় কম লাগবে।
- বলছিস, ঠিক আছে আমি তোর উপরে উঠে শুচ্ছি, তুইও আমাকে একটু জড়িয়ে ধর।
- বৌদি, তোমার বুক দুটো ভীষণ ঢিপ ঢিপ করছে, একটু ম্যাসেজ করে দেব, কমে যাবে।
- দে, তবে খুব জোরে না আস্তে দিস।
- ভাল লাগছে বৌদি? আরাম পাচ্ছ?
- বেশ আরাম পাচ্ছি, আরেকটু জোরে দে।
- সরাসরি দিলে আরও বেশি আরাম পেতে।
- মানে?
- ব্লাউজটা খুলে যদি...
- ঠিক আছে, ব্রা ব্লাউজ খুলে দিয়ে কর।
- বৌদি, এত বড় আর নিটোল মাই আগে কখনো দেখিনি, তবে তোমার বোঁটা দুটো মুখে নিলে তুমি যে শিরশিরানিটা পেতে তাতে তোমার ভয় অনেক কমে যেত।
- বারন করেছে কে, মুখে নে। আমার ভয় কমা নিয়ে কথা।
- বৌদি, ভেজা ঠোঁটে তোমার বোঁটা দুটো মুখে নিলে বেশি আরাম পাবে, কিন্তু আমার ঠোঁট দুটো শুকিয়ে গেছে। তাই তোমার জিভ দিয়ে আমার ঠোঁট দুটো ভিজিয়ে দাওনা।
- আমার ঠোঁটটাও ভয়ে শুকিয়ে গেছে, আয় তবে, দুজনে দুজনার ঠোঁট চুষে ভিজিয়ে নিই।
- নে, তোর ঠোঁট পুরো ভিজে গেছে, এবারে আমার বোঁটা দুটো চোষ।
- বৌদি, তোমার স্তনের বোঁটা চোষার সাথে তোমার গুরু নিতম্ব মর্দন করলে শরীরে শিরশিরানির সাথে মর্দন সুখের আবেশে তোমার ভয়টা আরও তাড়াতাড়ি কমত।
- আমার ভয়টা কমলেই হল। মাই চোষার সাথে পাছা চটকান শুরু কর।
- বৌদি, একটু উঠে এসে বোঁটা দুটো আমার মুখের কাছে নিয়ে এস। আঃ, কি নরম পাছা তোমার বৌদি।
- এবারে ডান দিকের বোঁটা ছেড়ে বাম দিকেরটা চোষ। পাছাটা জোরে জোরে টেপ। আঃ, উঃ, মাগো, কি আরাম। আমার তো ঊর্ধ্বাঙ্গে কিছু নেই, তোর গেঞ্জিটা আমার খুব অস্বস্তি লাগছে, তুই এটা খুলে ফেল... হ্যাঁ এখন বেশ ভাল লাগছে, দুজনেরই উপরে কিছু নেই।
- বৌদি, তোমার সুন্দর পাছাটাও যদি সরাসরি টেপা যেত তবে...
- বুঝেছি, তা শাড়ি সায়া পুরো খুলে দেব না উপরে গুটিয়ে দেব।
- এখন কোমরের কাছে গুটিয়ে নাও বৌদি, পরে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করা যাবে।
- নে, পুরো শাড়ি সায়া কোমরে তুলে দিলাম, ভাল করে আমার উদলা পাছা চটকা। কিন্তু রতি, আমার তলপেটে কিসের একটা খোঁচা লাগছে।
- তাই বৌদি, হাত দিয়ে ধরে জিনিসটাকে নিজের বাগে নাও, নইলে খোঁচাখুঁচি লেগে ব্যথা পেয়ে যাবে।
- ঠিক বলেছিস। উরে বাব্বা কি সাইজরে রতি, কি লম্বা আর মোটা, এইরকম সাইজ আগে কখনো দেখিনি। ওরে রতি, এইটাকে খোলা রেখে দিলে আমাকে খোঁচাখুঁচি দিয়ে একসা করবে, তখন আমি তোর উপরে শুয়ে থাকতে পারব না। তাহলে রতি কি করি?
- আরে বৌদি ঘাবড়াচ্ছ কেন, ওইটা পুরে রাখার তো তোমার একটা জায়গা আছে, সেখানে ওটাকে ঢুকিয়ে নিয়ে আমার উপরে আরাম করে শুয়ে থাক। তাহলে আর কোন খোঁচাখুঁচির ভয় নেই।
- কিন্তু রতি এটার যা সাইজ তাতে এটা ঢুকলে তো আমার ফরদাফাই হয়ে যাবে।
- আরে বৌদি, ভয় পাচ্ছ কেন। একটা কাজ কর বৌদি তুমি ওটাকে মুখে নিয়ে ভাল করে চোষ, একটু শক্ত হলেও তবে তোমার জিভের লালায় পিচ্ছিল হবে ওটা। আর ওটাকে যেখানে রাখবে সেইটা আমি চুষে হড়হড়ে করে দিচ্ছি তাতে তোমার জিনিসটা ঢোকাতে সুবিধা হবে। এখন এইটা করতে গেলে বৌদি আমাদের 69 পজিশনে যেতে হবে।
- বুঝলাম। রতি, শাড়ি সায়া আর তোর হাফ পেন্টটা খুলে পুরো লেংট হয়ে চোষাচুষির করলে অনেক সুবিধে হবে। কি বলিস তুই?
- একদম ঠিক বলেছ বৌদি, এতে দুজনের শরীরের সরাসরি সংস্পর্শে ভয় ধারে কাছে ঘেষতে পারবে না। নাও বৌদি, আমাদের সব পোশাক আশাক খোলা হয়ে গেছে এবারে তুমি ঘুরে গিয়ে 69 পজিশনে যাও।
- রতি, আগে কখনো মেয়েদের যোনি চুষেছিস?
- না বৌদি, এই প্রথম।
- ঠিক আছে আমি শিখিয়ে দিচ্ছি। বালের জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে মেয়েদের সবচাইতে গোপন মূল্যবান রত্নখনি। আগে এই গোপন স্থানে হাত দিয়ে স্পর্শ করে অনুভব কর, আঃ, ইস...
- বৌদি, তোমার এখানটা কি নরম আর গরম, বৌদি তোমার পাপড়ি দুটো ভেজা ভেজা কেন?
- এতক্ষন ধরে মাই চুষলে, পাছা চটকালে গুদটা ভেজা হবে নাতো কি শুকিয়ে খড়খড়ে থাকবে বোকাচোদা। নে এবারে পাপড়ি দুটো মুখে নিয়ে চোষ, ইস্*... মরে যাব... কি করছিস, চোষ, চোষ, এবারে গুদের উপরে কোঁটটিতে জিভের ঘষা দে, উরি মা, কি সুখ দিচ্ছিস, হাত দিয়ে পাপড়ি দুটো টেনে ফাঁক করে গর্তের মধ্যে জিভটা ঢুকিয়ে দিয়ে নাড়তে থাক, আমাকে তুই পাগল করে দিচ্ছিস রে বোকাচোদা, তুই চুষে গুদটাকে রসিয়ে হড়হড়ে কর আর আমি ততক্ষণ তোর ধনবাবাজির সেবা করি।
- বৌদি বাঁড়ার মুণ্ডিতে জিভ বুলিয়ে আমাকে পাগল করে দিচ্ছ, উরি বাবা ললিপপের মত আমার বাঁড়াটা চুষে কি আরাম দিচ্ছ বৌদি… এরকম চোষা আমি জীবনে খাইনি, অণ্ডকোষ দুটো চেটে আমাকে সুখে পাগল করে দিচ্ছ… তুমি যে এত সুখ দেবে বুঝতে পারিনি গো।
- অনেক চোষাচুষি হয়েছে এবারে চোদাচুদি শুরু করি, তোর প্রথম বার তাই আমি তোকে ওপর থেকে চুদব, ঠিক আছে। একখানা বাঁড়া বানিয়েছিস বটে, এ জিনিস গুদে না ঢোকালে জীবনই বৃথা। আর শোন খানকির ছেলে, চোদাচুদির সময় খিস্তি মেরে কথা বলবি, আমার ভাল লাগে। লেওরার চাঁদ আমার, শুয়ে শুয়ে ধন খাড়া করে বৌদির ঠাপ খাচ্ছিস, উমা… রতিইইই… কি সুখ দিচ্ছিস রে, এইরকম বাঁড়ার চোদন আগে কখনো খাইনি রে, ওরে খানকির ছেলে আমার মাই দুটো কে চুষবে তোর মামা, এমন ডবকা মাই শালা আগে কোনদিন চুষেছিস, চুদে চুদে আমার গুদ ফাটিয়ে দে।
- ওরে গুদমারানী খানকিমাগী এত বাড়ার ঠাপ খেয়েও তোর গুদ ঢিলে হয়নি একটু৷ কিভাবে তোর গুদটা আমার বাড়াটা কামড়ে কামড়ে ধরছে দেখ একবার৷
- গান্ডু , মাদারচোদ আবার পোঁদে আঙ্গুল ঢুকিয়ে কি সুখ দিচ্ছিস রে, হ্যাঁ, হ্যাঁ… আসছে আসছে… ও ও মাগো।
- কি সুখ… আমারও হবে বৌদি, থেমনা… হ্যাঁ, হ্যাঁ… আসছে আসছে… ও ও মাগো।
শব্দ সংখ্যার বাঁধনে আটকা পড়ে লেখকের একমাত্র ভরসা পাঠকদের কল্পনা শক্তির উপর।
যাইহোক, এখানে পুরুষ চরিত্রটির নাম রতিকান্ত, সে শহরের নামি কলেজে ফিজিক্সে অনার্স নিয়ে পড়ে। কলেজ দুদিন ছুটি থাকায় সে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। মামার বাড়ির পাশেই কুমুদিনি রাইস মিলের মালিকরা থাকে, এদের সঙ্গে মামাদের সম্পর্ক খুবই ভাল। বিশেষ কাজে জয়কৃষ্ণ (কুমুদিনি রাইস মিলের এক মালিক) বাবুকে স্ত্রী কুমুদিনিকে একা রেখে বাইরে যেতে হচ্ছে বলে রতিকান্তকে রাতে তার বাড়িতে থাকার জন্য রতিকান্তের মামার কাছে জয়কৃষ্ণ বাবু অনুরোধ জানায়। রতিকান্তের মামা এককথায় রাজি হয়ে যায়।
রাত নটায় ডিনার শেষ করে রতিকান্ত জয়কৃষ্ণ বাবুর বাড়িতে হাজির হয়। জয়কৃষ্ণ বাবুর স্ত্রী কুমুদিনি দরজা খুলে সাদরে রতিকান্তকে ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে বসায়। রতিকান্তের কুমুদিনির ধারাল মুখশ্রী দেখে কালিদাস-বর্ণিত নায়িকাদের কথা মনে পড়ে যাদের স্ফটিকস্বচ্ছ চোখ, চাঁদ কপোল, খাড়া নাক, কমলার কোয়ার মতো ঠোঁট। আবার এদিকে রতিকান্তের মত এমন সুপুরুষ যুবক তার বাড়িতে রাত পাহারা দিতে আসবে এটা কুমুদিনির কল্পনার বাইরে ছিল। রতিকান্তের কোঁকড়ানো ঢেউ খেলানো মাথার চুল, প্রশস্ত ললাট, তার উচ্চ নাসিকা, রজত-শুভ্র দাঁতে তার মুক্তার মত হাসি দেখে কুমুদিনি মুগ্ধ হয়। কিছুক্ষন গল্প করার পরেই রতিকান্ত আপনি থেকে তুমিতে নেমে আসে আর কুমুদিনি রতিকান্তকে তুই বলে সম্বোধন শুরু করে। অনেক রাত হয়ে যাওয়াতে কুমুদিনি রতিকান্তকে শোবার ঘর দেখিয়ে দিয়ে নিজের ঘরে শুতে চলে যায়। শোবার কিছুক্ষন পরেই শুরু হয় অঝোর ধারায় বৃষ্টি সাথে বিদ্যুতের ঝলকানি। মুষলধারে বৃষ্টি তার মধ্যে অন্ধকার, মেঘের ভয়াবহ গর্জন ও বিদ্যুতের ঝলকানি কুমুদিনিকে অতিশয় ভীত করে তোলে। তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় একা থাকা, ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সে রতিকান্তের ঘরে গিয়ে পৌঁছয়। এর পরের ঘটনাটা পাঠকরা আগেই জেনেছেন।
এর পরের দুটো দিন স্বাভাবিক কারনেই রতিকান্ত মামার বাড়িতে খুব কম সময়ই কাটায়, পুরো সময়টাই সে কুমুদিনির বাড়িতে কাটায়। এই দুদিনে নতুন নতুন আসনে মত্ত হয় দুই কামনার আগুনে ঝলসান নর নারী। কখন রতিকান্ত নিচে তো কুমুদিনি ওপরে, আবার কখনো কুমুদিনি নিচে তো রতিকান্ত ওপরে, কখন কোলে বসিয়ে, কখন দাঁড়িয়ে, কখন পেছন থেকে, কখন পাশে শুইয়ে এইরকম নানা ভঙ্গিমায় রতিকান্ত তার যৌনজীবনের প্রথম পাঠ পুরোমাত্রায় উপভোগ করে।
দুদিন পরেই রতিকান্ত ফিরে আসে কলেজে। এহেন সুপুরুষ রতিকান্তের চারপাশে মেয়েদের ভিড় লেগে থাকাটাই স্বাভাবিক। মেয়েদের ব্যাপারে রতিকান্তের আগ্রহ থাকলেও কিন্তু কোন সম্পর্কে জড়াতে সে নারাজ ছিল। তার জীবনের মূল মন্ত্রই ছিল জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাবা মায়ের দুঃখ মোচন করা।
সেকেন্ড ইয়ারে ওঠার পরে রতিকান্তের সঙ্গে কলেজের এক ফাংশনে ফার্স্ট ইয়ারের ইংলিস অনার্সের ছাত্রি সাগরিকার সাথে আলাপ হয়। সাগরিকার আগমনে রতিকান্তের জীবনটাই পাল্টে যায়, খড়কুটোর মত ভেসে যায় সে। পোশাক পাল্টানোর মত সাগরিকা গাড়ি পাল্টে কলেজে আসে অথচ তার মধ্যে কোন অহংকার নেই- সারাক্ষন হাসিখুশি থাকে, খুবই মিশুকে, আত্মবিশ্বাসী। এই কারনেই সাগরিকাকে তার খুব ভাল লাগে, সাগরিকাকে তার কল্পনার মানসপ্রতিমা বলে মনে হয়। আর তার সুন্দর মুখের হাসি দেখার জন্য রতিকান্ত হাজার মাইল হেঁটে পাড়ি দিতে পারে।
কিন্তু রতিকান্ত এখন সাগরিকাকে ছাড়া কোনকিছু ভাবতে পারেনা। রতিকান্তের সঙ্গে কুমুদিনির সম্পর্ক ক্ষিন থেকে ক্ষিনতর হতে থাকে। নিজের অজান্তেই কুমুদিনি রতিকান্তকে মন দিয়ে ফেলে। কুমুদিনি রতিকান্তের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্কটাকে অবৈধ হলেও অনেক ভাবে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু যেদিন রতিকান্ত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে তার মত বিবাহিতার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে সে তার নিজের জীবনটা নষ্ট করতে রাজি নয়, সেদিনই কুমুদিনি বুঝে যায় তার ভালবাসা খুন হয়ে গেছে।
২.
একটি হোটেলের ৩০৭ নম্বর রুমে একটি উলঙ্গ পুরুষ আর একটি উলঙ্গ নারী একে অপরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মুখোমুখি বসে। একজন আরেকজনের চোখে কি যেন খোঁজে, ঠোঁট দুটি কাছাকাছি, সময় যেন থমকে গেছে, মিলনের প্রত্যাশায় নারীর ঠোঁট হাল্কা ফাঁক হয়, তিরতির করে কাঁপে শরীর। মন্ত্রমুগ্ধের মতো পুরুষটি ঠোঁট নামায় নারীর ঠোঁটে আলতো করে। দুজনের শরীরে যেন আগুন ধরে যায়। একজন আরেকজনকে চুষতে থাকে, কামড়াতে থাকে। পুরুষটির হাত নারীর শরীরে সর্বত্র ঘুরে বেড়াতে থাকে, টিপতে থাকে।
পুরুষটি আলতো করে নারীর স্তনে হাত রাখে, নিপলগুলি খাড়া আর গোল। কালচে খয়েরি রং। নিখুত শেপ। পুরুষটি দুই হাতে দুইটা স্তন ধরে। খুব মোলায়েম করে চাপ দেয়। হাতের ছোয়া পেয়ে নিপলগুলি দ্রুত সাড়া দেয়। তারপর জিব ছোঁয়ায় পালা ক্রমে। পুরুষটি নারীকে ডান হাতে জড়িয়ে ধরে বাম হাত দিয়ে তার বাম স্তন টিপতে থাকে আর মুখ দিয়ে তার ডান স্তনকে চুষতে থাকে।
নারীর চুলগুলো এলায়িত অবস্থায় হাওয়ায় লুটোপুটি খায়। চেহারায় অপূর্ব সুন্দরী তিলোত্তমা। বুকের নিচে সুন্দর সমুদ্রতটের মতোই ওর নাভীদেশ। তারপর ধীরে ধীরে আরো নিচে, যেখানে আছে তলপেট, তারও নিচে মেদবহূল মাংসল উরুর সুন্দর মনোরম সন্ধিস্থলে ছড়িয়ে থাকা লোমগুলি যেন ঘাসের মতন মসৃণ এক আবরণ সৃষ্টি করে রেখেছে। নিপলস সাক করা না থামিয়ে পুরুষটি আঙুলগুলো দিয়ে মেয়েটির বুকের ওপর থেকে শুরু করে নিচে নাভিদেশ পেরিয়ে আরো নিচে নামাতে নামাতে ওর দুই উরুর সন্ধিস্থলে হাত রাখে। হাত বুলায় নারীর গোপন স্থান যোনিতে। খুব ছোট করে ছাটা রেশমের মত কোমল বাল। নীচের দিকটার কিছু বাল কামরসে মাখামাখি হয়ে চিক চিক করে। স্তনে মুখ রেখেই দুহাত বাড়িয়ে নিতম্ব ধরে পুরুষটি। খুবই সুডৌল পাছার আকৃতি।
পুরুষটির বিশাল লিঙ্গটা আধা শক্ত হয়ে ঝোলে। এরপরে পুরুষটি হোটেলের ঘরের দেওয়ালে হেলান দিয়ে খাটের উপরে আধ শোয়া হয়। পা দুটি খাটের সামনের দিকে ঝোলান। নারী তার হাটুর মাঝে বসে আস্তে করে পুরুষাঙ্গে হাত ছোঁয়ায়। একটু শিউরে ওঠে পুরুষটি। নারী এবারে পুরুষটির লিঙ্গ মূখে নিয়ে যত্নের সাথে চুষতে শুরু করে। জৈবিক নিয়মেই লিঙ্গ শক্ত হতে শুরু করে। আস্তে আস্তে হাতের গ্রীপ ভরে যায় নারীর।
খাটের ওপর নগ্ন অবস্থায় শুয়ে পড়ে নারী নিজেই নিজেকে শৃঙ্গার করতে থাকে। নিজের স্তনদুটো দুহাতে চেপে ধরে, সুডৌল পা দুটি দুদিকে এত বেশী প্রসারিত করে দেয় যে ওর দুই উরুর সন্ধিস্থলের গহ্বরের দুটি প্রাচীর ভেদ করে জ্বলজ্বল করতে থাকে ভেতরটা। পুরুষটি হাঁটু গেড়ে বসে নারীর দুই উরুর সন্ধিস্থলের গহ্বরে জিব ঠেকায়। নিতম্ব থেকে হাত সরিয়ে থাই দুটো ছড়িয়ে দেয়, যোনি গহ্বর ফাঁক হয় আরেকটু। পুরুষটি যোনি চেরার উপর দিয়ে জিব বুলায়। রসে জব জব করে। যোনি রসের স্বাদ পাগল করে তোলে তাকে। চেরার মধ্যে জিভটি গলিয়ে দিয়ে ভিতর বাহির করতে থাকে পুরুষটি। স্তন টিপার মত করেই নিতম্ব মর্দন করতে থাকে পুরুষটি। তবে বেশ জোরের সাথে। এভাবে কিছুক্ষন চলার পর নারী একদম হাপিয়ে ওঠে। তার শরীর খাবি খায়।
নারী চোদনের ক্লাসিক পজিশন। পুরুষটি নারীর পা দুটি ভাজ করে উপরে তুলে দেয়। লিঙ্গটা ওর যোনিদ্বারে ঢোকানোর পরে পুরুষটি এক অদ্ভূত সুখানুভূতি অনুভব করে দেহমনে। নারী শরীরের অভ্যন্তরে লিঙ্গটা খেলতে শুরু করে। উদ্দাম হয়ে নারী পুরুষটিকে সঙ্গম সুখের স্বাদ দিতে শুরু করে। চরম সুখের উত্তাপ যেন গলে গলে পড়ার অপেক্ষায়। কোমরটা দুহাতে জড়িয়ে ধরে পুরুষটি ওকে একটা জোরে ধাক্কা দেয়। আস্ত লিঙ্গটা আচানক ঢুকে যায় যোনির ভিতরে। মনে হয় নাভী অব্দি গিয়ে ঠেকেছে। নারী অধীর আনন্দে শীৎকার দিয়ে ওঠে।
নারীর মনে হয় একটা বর্শা যেন তাকে বিছানার সাথে গেথে দিয়েছে। তারপর শুরু হয় ঠাপ। অর্ধেকটা লিঙ্গ বের করে এনে সজোরে ঠেলে দেয়। জোর এবং গতি দুটোই ক্রমশ বাড়তে থাকে। নারী এরই মাঝে জল খসিয়ে ফেলায় যোনিটি পিছলা হয়ে লিঙ্গটি অনায়াসে আসা যাওয়া করে।
উঃ এ যেন স্বর্গসুখ। ভয়ঙ্কর কঠিন হয়ে গেছে লিঙ্গটা। প্রচন্ড উত্তেজনায় নারী থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে যৌবনের সব উত্তাপ ঝরিয়ে দেয় পুরুষটির লিঙ্গরাজের ওপরে। পুরুষটিও দ্রুত গতিতে অঙ্গসঞ্চালন করে শরীরের সব শক্তি নিঃশেষ করে ফেলে।
এর মধ্যেই নারী যেন পুরো শরীরটা সমর্পণ করে দেয় পুরুষটির কাছে। দেহে দেহে সংযোগ ঘটে, দুটি পাপড়ির ফাঁকে লিঙ্গ ক্রমাগত প্রবেশ করে চলে। নারী এখন চরম সুখপ্রাপ্তির আবেশে আচ্ছন্ন। সুখের সর্বোচ্চ শিখরে নারীকে পৌঁছে দিয়ে পুরুষটি কামনার জারকরস উদগীরণ করে দেয়। বীর্য তখন বৃষ্টিপাতের মতই ঝড়ে পড়ে আর সেই সাথে দুজনেরই অভ্যন্তরে সুখের লাভা গলে গলে ঝরে পড়ে।
সাগরিকা বালিশটা টেনে নিয়ে কাত হয়ে বেশ আরাম করে শোয়। চোখেমুখে এখনো খানিক আগের তৃপ্তির আভা। করতলে গাল রেখে বিছানায় বসা রতিকান্তের দিকে তাকায়।
রতিকান্ত- একটা কথা বলবে সাগরিকা, তুমি কি সত্যিই আমাকে ভালবাস?
সাগরিকা- ভাল না বাসলে তোমার সাথে এইসব করতাম। আজ হঠাৎ এই কথা বলছ কেন?
রতিকান্ত- আসলে আমি তোমাকে ঠিক বুঝতে পারি না, কখনো মনে হয় তুমি খুব সরল সাধাসিধে আবার কখনো তুমি ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাই আজ তোমাকে বলতেই হবে আমাদের সম্পর্কের পরিনতি নিয়ে তুমি কি ভাবছ।
সাগরিকা- কিসের সম্পর্ক? তুমি তো বললে আমাকে তুমি বোঝোই না, তাহলে?
রতিকান্ত- তুমি প্রত্যেক বারই হেঁয়ালি করে আমার এই কথাটা এড়িয়ে যাও, আজ তোমাকে বলতেই হবে আমাদের সম্পর্কের পরিনতি কি?
সাগরিকা- দেখো, তুমি মাস্টার্স করে চাকরি খুঁজবে, কাজেই তোমার চাকরি পেতে পেতে এখনও তিন চার বছর। এতদিন বাবাকে আমি তোমার ব্যপারে কিছু বলতে পারব না কারন তাহলেই বাবা আমার কলেজে আসা বন্ধ করে দেবে বা আমাকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেবে। এখন তুমি যতদিন না ভাল চাকরি পাচ্ছ ততদিন আমাদের সম্পর্কের অবস্থা টালমাটাল। ভালবাসা দিয়ে তো আর পেট ভরবে না।
রতিকান্ত- কিন্তু তুমি আমাকে এইটুকু নিশ্চিন্ত কর যে তুমি আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যাবে না। তাহলে আমি নিশ্চিন্ত হয়ে ভাল রেজাল্ট করে ভাল চাকরি পেতে পারি।
সাগরিকা- হা, হা তুমি কি আমাকে হোটেল ভাব নাকি যে আগে থেকে রুম বুক না করলে অন্য কেউ দখল করে নিতে পারে। আর একটা কথা, সম্পর্কে আমার স্বীকৃতি দেওয়ার সাথে তোমার ভাল রেজাল্ট বা ভাল চাকরির কি সম্পর্ক। তোমার জীবনের লক্ষ্যই ছিল ভাল চাকরি করে বাবা মায়ের দুঃখ মোচন করা, এরমধ্যে আমি আসছি কোথা থেকে।
রতিকান্ত- তোমার সঙ্গে কথায় কোনদিন পারিনি, আজও পারলাম না। ঠিক আছে। অন্তত এইটুকু তো বলতে পার আমার কোন বিপদে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না।
সাগরিকা- একটা মেয়ে হয়ে আমি তোমার সঙ্গে হোটেলের ঘরে সময় কাটাচ্ছি, যেখানে তুমি ইচ্ছে করলেই আমাকে বিপদে ফেলতে পার সেখানে আমি তোমাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করি অথচ তুমি আমার উপর ভরসা রাখতে পারছ না।
রতিকান্ত- উফ, তুমি পারোও বটে, সোজা কথা সোজা ভাবে বলতে পার না। যাকগে মুখের কথার কি দাম কার্যক্ষেত্রেই প্রমান হবে।
সাগরিকা- ঠিক বলেছ, অনিশ্চয়তা কিসে নেই বল, যা ঘটার ঘটবে। আমি-তুমি হাজার চাইলেও নিয়তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। শোন, অনেক দেরি হয়ে গেছে। আরও আগেই রওনা হওয়া উচিত ছিল। চলো, স্নান সেরে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ি। বাবা আসার আগে আমাকে বাসায় পৌঁছাতে হবে।
রতিকান্ত- ঠিক আছে, তুমি আগে বাথরুমে গিয়ে স্নান সেরে নাও।
সাগরিকা তোয়ালে নিয়ে বাথরুমের দরজার দিকে এগিয়ে প্রথমে দরজা খোলে। আর তখনি বিছানা থেকে উড়ে এসে যেন সাগরিকার চিত্কারটাকে মুখে হাতচাপা দিয়ে থামায় রতিকান্ত। বাথরুমের খোলা দরজা দিয়ে যে দৃশ্য দেখে ওরা, বাকি জীবন তা ওদের মনে গেঁথে থাকবে।
শাওয়ারের নিচে আধাশোয়া হয়ে পড়ে আছে লোকটা। দেয়ালে মাথা আর পিঠ ঠেকানো। খোলা, প্রাণহীন চোখ দুটো যেন সোজা চেয়ে আছে ওদের দিকে। মাথাটা সামান্য হেলে আছে ডান কাঁধের ওপর। সাদা শার্টের বুকের কাছটা রক্তে লাল। বাথরুমের মেঝেতেও সরু একটা রক্তের ধারা নেমে এসেছে। কালো প্যান্টের মধ্যেও ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। খালি পা। সাগরিকাকে জাপটে ধরে রেখেই ঝুঁকে এক হাতে বাথরুমের দরজা টেনে দেয় রতিকান্ত।
হিস্টিরিয়া রোগীর মতো থরথরিয়ে কাঁপে সাগরিকা। অস্পষ্টভাবে শুনতে পায়, ‘চুপ করো। চুপ করো, সাগরিকা। কেউ শুনতে পাবে।’
উদভ্রান্তের মতো চারপাশে দেখে সাগরিকা। রতিকান্ত টের পায় তার শরীরের সঙ্গে লেপ্টে থাকা সাগরিকার খানিক আগের সেই উষ্ণ শরীর এখন বরফের মতো ঠান্ডা।
সাগরিকা- এখন কি হবে রতিকান্ত? পুলিশে খবর দেওয়া উচিত আমাদের... আর নয়তো হোটেলের কাউকে খবর দাও।
রতিকান্ত চেষ্টা করে নিজের আতঙ্ক চেপে রাখার।
রতিকান্ত- পুলিশ? তোমার মাথা খারাপ হয়েছে! কী ভয়ংকর প্যাঁচে পড়েছি বুঝতে পারছ না।
সাগরিকা- কিন্তু, লোকটাকে খুন করা হয়েছে! লোকটার বুকে গুলি মেরেছে কেউ! চল পালাই।
রতিকান্ত- এক মিনিট। আমরা যদি প্রথমেই এখান থেকে পালাই... না, এত সহজ না। আমরা চাইলেই এখান থেকে চলে যেতে পারব না। হোটেলরুমে একটা লাশ ফেলে রেখে চাইলেই চলে যাওয়া যায় না।
কষ্টে ঢোক গেলে সাগরিকা, পরিস্থিতির জটিলতা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতেই আতঙ্কে আবার বোধবুদ্ধি গুলিয়ে যায় তার।
সাগরিকা- আচ্ছা রতিকান্ত, আমাদের আগে এই রুমে যে ছিল এটা নিশ্চয়ই সেই লোকের কাজ, সে এই লোকটাকে খুন করেছে। আমাদের আগের বোর্ডারের নাম-ঠিকানা নিশ্চয়ই আছে ম্যানেজারের রেজিস্টারে। আমরা কেন সোজা ম্যানেজারের কাছে গিয়ে এটা বলছি না? যা সত্যি তাই বলব। বাথরুমে লোকটাকে কীভাবে দেখেছি খুলে বলব।
নীরবে ট্রাউজার পরে রতিকান্ত।
রতিকান্ত- কোনো লাভ হবে না। আমাদের এ রুম দেবার আগে ওরা গোছগাছ করেছে। তখন বাথরুমে লাশ থাকলে ওদের চোখে পড়ত। নাম-ঠিকানা? ইস, আমরা যদি হোটেলের রেজিস্টারে আমাদের ভুয়া নাম লিখতাম তাহলে বাঁচার একটা সম্ভাবনা হয়তো ছিল। আমরা আসল নাম-ঠিকানা দিয়েছি গাধার মতো। এখন পালালেও পরে পুলিশ সোজা বাসায় গিয়ে হাজির হবে। এই বিপদ থেকে বাঁচতে গেলে... একটাই রাস্তা এখন... ধরো... ধরো... তোমার বাবাকে জানাই যে তুমি আমার সঙ্গে হোটেলে এসেছ আর আমরা দুজনে কি বড় বিপদে...
সাগরিকা- না, না। এটা বলবে না। কিছুতেই না। বাবা তাহলে আমাদের দুজনকেই মেরে ফেলবে। তোমার মত ভেগাবন্ডের সাথে আমি হোটেলের ঘরে সময় কাটিয়েছি শুনলে আমার সঙ্গে যার বিয়ের ঠিক হয়ে রয়েছে সে আমাকে আর মেনে নেবে......
মুখ ফস্কে কথাটা বেরিয়ে যেতে সাগরিকা নিজেই ভীষণ চমকে ওঠে। তার এখন আর কিছু করার নেই, বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে গেছে।
রতিকান্ত- মানে... তোমার সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়ে রয়েছে এই কথাটার মানে......
সাগরিকা মনে মনে ভাবে, গুলিটা যখন বেরিয়ে গেছে বন্দুক থেকে তখন লুকচুপি করে লাভ নেই, সাগরিকা মরিয়া হয়ে ওঠে।
সাগরিকা- শুনবে, তাহলে শোন সত্যিটা। দু কান খুলেই শোন। আমার সাথে আমার বাবার বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ের পাকা কথা হয়ে রয়েছে। ছমাস পরেই আমাদের বিয়ে, বিয়ের পরেই আমরা আমেরিকা চলে যাব।
রতিকান্ত- তাহলে আমার সাথে এই খেলা খেললে কেন? আমাকে ইউজ করে আজ ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছ।
সাগরিকা- হে লুক, তোমাকে আমি কি ইউজ করেছি, আমার পয়সায় তুমি খেয়েছ, ঘুরেছ, মস্তি করেছ, এমনকি আজকের হোটেলের পয়সাও আমি দিয়েছি। তোমার স্ট্যাটাস আর আমার স্ট্যাটাস হেল অ্যান্ড হেভেনের ডিফারেন্স, সিনেমায় এসব হয় বাস্তবে হয় না। তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা শরীরের, মনের নয়, বিনা পয়সায় নয় ভাল মতন খরচা করেই শারীরিক আনন্দ ভোগ করেছি।
রতিকান্ত- ছেলে বেশ্যা বানিয়ে দিলে।
সাগরিকা- এটা তোমার চিন্তাধারা, আমার নয়। আমি যেমন আনন্দ পেয়েছি তেমনি তুমিও আমার শরীর ভোগ করে কম আনন্দ পাওনি। বাথরুমে লাশ রেখে এইসব কথা পরে চোদালেও তো হবে। এখন এই বিপদ থেকে কিভাবে রেহাই পাব সেটা ভাব। আচ্ছা, নিচে গিয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা বাড়ির পথ ধরলে হয় না?
রতিকান্ত- তুমি এতটা গাধা হও কীভাবে? বোকা বানিয়ে ছেলেদের দিয়ে নিজের গুদের চুলকানি মেটাতে পার, আর এটা জাননা, পালাতে পারলেও, আমাদের নাম-ঠিকানা লেখা আছে রেজিস্টারে।
সাগরিকা- কিন্তু তাতে আমার নাম নেই। তুমি শুধু তোমার নাম-ঠিকানা লিখেছ।
রতিকান্ত- তুই যে একটা বড় খানকি এটা প্রমান করলি। যাইহোক তোর নাম রেজিস্টারে না থাকলেও তোর ওই বেশ্যা মার্কা খোমা ম্যানেজার ভুলবে না। আমার চেহারার বর্ণনা দিলে তোরটা কি বাকি রাখবে? তোর গাড়িও তার অচেনা না। হয়তো তোর গাড়ির নাম্বারও সে বলে দিতে পারে।
সাগরিকা- আমি বাড়ি ফিরতে চাই। আমাকে বাসায় দিয়ে এসো। কেন যে মরতে এসেছিলাম এখানে!
রতিকান্ত- হুঁ, অন্ধকার হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। লাশটাকে নিয়ে গাড়ির পেছনের ডিঁকিতে তুলব, পথে সুবিধামতো কোনো জায়গায় ফেলে দিয়ে যাব।
সাগরিকা- হ্যাঁ, ভালো বুদ্ধি। তাই কোরো। আমি একা চলে যাই। অন্ধকার হলে লাশটা গাড়িতে তুলে তুমি চলে এসো্*......
রতিকান্তের চোখে চোখ পড়তে থেমে যায় সাগরিকা, চোখে ঘৃণা ফুটে ওঠে রতিকান্তের।
রতিকান্ত- শালি খানকি! বিয়ের আগে পাঁচ জনের সাথে শুচ্ছিস আবার বিয়ের পরেও আরও পাঁচ জনের সঙ্গে শুবি, শালি, রেন্দি, খানকি মাগি।
সাগরিকা- আমাকে তুমি যা খুশি গালি দিতে পার। রতিকান্ত, আমার কোনো উপায় নেই। শীতকালে দিন ছোট, তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা হয়ে যাবে। খুব বেশিক্ষণ তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে না।
রতিকান্ত- শোনো, ওই লাশ গুম করতে গিয়ে যদি আমি ধরা পড়ি, তখন তোমাকে প্রকাশ্যে এসে বলতে হবে, আমরা একসাথে এই হোটেলে এসেছি।
সাগরিকা- কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাবা, আমার হবু বর সব জেনে যাবে... (কপাল বেয়ে ঘাম নামে সাগরিকার) রতিকান্ত, তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আমাকে এই ঝামেলায় টেনে এনো না। (প্রায় চেঁচিয়ে উঠে দাঁতে দাঁত চেপে বলে) আমি এই পাপ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। রতিকান্ত, তুমি আমাকে আর কোনো দিন ফোন করবে না। কোনো যোগাযোগের চেষ্টা করবে না... কোনো দিন না... যা কিছু ঘটুক তোমার। আমার কাছ থেকে তুমি কোনো সাহায্য পাবে না। আমি তোমাকে ভালোবাসি না। স্রেফ শরীরের জন্য তোমার সঙ্গে মিশেছিলাম আমি। বিদায়!
নিচে নেমে যায় সাগরিকা। আরও খানিক পর দেখা যায় সাগরিকা গাড়ির সামনের ড্রাইভারের সীটের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে ইঞ্জিন স্টার্ট দেয়। ছোট, অপরিসর ব্যালকনির দরজায় দাঁড়িয়ে সব দেখে রতিকান্ত। সাগরিকার গাড়ি গেইট দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যাওয়া না পর্যন্ত পাথরের মতো রতিকান্ত দাঁড়িয়েই থাকে। এই সময় তার পেছনে এসে দাঁড়ায় একটা ছায়া। সাদা শার্টে কৃত্রিম রক্তের দাগ শুকিয়ে কালচে হয়ে গেছে। ‘চলে গেল’ পেছন থেকে জানতে চায় সে।
রতিকান্ত করুণ মুখে বন্ধু মদনের দিকে তাকায়, অস্পষ্ট ভাবে মদনের কিছু কথা কানে আসে, বলেছিলাম না ওই মাগী সুবিধের নয়, তোর সঙ্গে খেলছে, দেখলি তো প্রমান করে দিলাম। এসব কিছুই রতিকান্তের মাথায় ঢোকে না, তার মাথায় শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে একটা জিনিসই, বাথরুমে সাজানো লাশের জায়গায় তার সত্যিকারের ভালবাসা খুন হয়ে পড়ে আছে।
Subscribe to:
Posts (Atom)