Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
মাথার ওপরে বাবা যতদিন ছিলেন আমাকে কোনদিন পড়াশুনো নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। বাবা মারা যাবার পর কি যে হল, আমি যেন চোখে অন্ধকার দেখতে লাগলাম। কলেজে পড়তে পড়তেই হঠাৎ বাবার মৃত্যু। ইচ্ছে ছিল কলেজ পাশ করার পর আরও হায়ারস্টাডী করবার। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে যা হয়। আপাতত পড়াশুনার পাঠ এখানেই চুকিয়ে দিয়ে আমাকে চাকরির খোঁজে বেরোতে হবে। এই বাজারে চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন। তাও আমাকে চেষ্টা করতে হবে। কারণ মাথার উপরে মা এখনও বেঁচে রয়েছেন। একমাত্র ছেলে হয়ে মা’য়ের মুখি হাসি ফোটানো আমার কর্তব্য।
শহরে বাড়ী ভাড়া করে থাকাটা বেশ কঠিন। মা’কে পাঠিয়েদিলাম গ্রামের বাড়ীতে। মুর্শিদাবাদ জেলায় একটু ভেতরের দিকে আমাদের একচালা একটা গ্রামের বাড়ী। বাবা একটা সোনার দোকানে কাজ করতেন। বছর সাতেক আগে আমাকে আর মাকে সঙ্গে করে নিয়ে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। মজুরীর কাজ করে যা মাইনে পেতেন তাতে আমাদের সংসারটা চলত। আমার পড়াশুনার খরচ বহন করা থেকে শুরু করে কলকাতার বুকে থেকে একটা ঘরের মাসিক ৫০০ টাকা ভাড়া সবই বাবাই যোগাতেন। হঠাৎ কি যে হল। আমার ভবিষ্যতের সব স্বপ্নগুলোই যেন ভেঙে সব তছনছ হয়ে গেল। মনে হল এ জীবনে বোধহয় আর কিছু পাওয়া হল না। ভেবেছিলাম খুব সুন্দর দেখে একটা মেয়েকে বিয়ে করব। সংসার হবে, বাচ্চাকাচ্চা হবে। তা না সব যেন তখনকার মতন জলাঞ্জলী গেল। আপাতত বিয়ের ইচ্ছাটাও মাথা থেকে তখন উবে গেল। আগে আমাকে একটা কাজ জোগাড় করতে হবে। গ্রামের একচালা বাড়ীতে মা একা রয়েছেন। মা’কে প্রতিমাসে কিছু টাকা পাঠাতে হবে। কোনদিন যদি ভাগ্যদেবতা আমার উপর প্রসন্ন হন। বিয়ে আমি করবই। তা একটু দেরীতে হোক না। তাতে ক্ষতি কি?
বাবা মা’কে অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন। আসলে অল্প বয়সে বিয়ে করাটা আমাদের পূর্বপূরুষদের রীতি অনুযায়ী। বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো বিয়েটা তাড়াতাড়িই দিতেন। কিন্তু আমার একার পক্ষ্যে সেটা তাড়াতাড়ি করে ওঠা সম্ভব নয়। আগে তো নিজের পায়ে শক্ত হয়ে দাঁড়াই, তারপর এসব বিয়ের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা যাবে।
আমি হন্যে হয়ে তখন চাকরি খুঁজছি। কেউ আমাকে ৩০০০ টাকা মাইনেরও একটা কাজ দিচ্ছে না। বেশ চিন্তায় পড়ে গেছি। রাতে ঘুম হচ্ছে না। মনটা ভেবে ভেবে শুধু অস্থির হচ্ছে। মনে হচ্ছে দুনিয়াটা কেমন স্বার্থবাদী আর সুবিধাবাদী হয়ে গেছে। মানুষ যদি আজকাল কোন বিপদে পড়ে। তার পাশে দাঁড়ানোরও যেন কেউ নেই। কেউ যদি মুখ ফুটে, কাতর ভাবে বিনয়ভাবে বলে, আমি খুব বিপদে পড়ে গেছি। আমাকে দয়া করে বাঁচান। তাহলেও কি তাকে দেখার কেউ নেই? তাহলে এই দুনিয়ায় বাকীরা সবাই চলছে কি করে? ফুটপাত দিয়ে সবাই তাহলে মুখ নিচু করে চলত। কেউ তাহলে মাথা উঁচু করে তাকাতে পারত না। সবাই ভয়ে ভয়ে দিন কাটাত। আশঙ্কা আর দুর্ভাবনায় জ্বলে পুড়ে মরত। নিরাশায় দিন কাটাতো। যেমন ভাবে দিন কাটাচ্ছি এখন আমি। এই একমাসের মধ্যে আমি যদি একটা কাজ জোটাতে না পারি, তাহলে আমাকে হয়তো আত্মহত্যা করে মরতে হবে। কি করে মুখ দেখাব মা’কে? আমি যে মা’কে কথা দিয়েছি। চাকরি একটা আমি জোটাবোই জোটাবো। মায়েরও মনোবাসনা পূর্ণ হবে। কিন্তু কিছুতেই সে ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে না। কে যেন বাধ সেধেছে। আমার নিয়তি আমাকে কোনদিকে টেনে নিয়ে চলেছে কে জানে?এই প্রসঙ্গে বলা হয়নি। আমি কিন্তু আমারই এক বন্ধু বুবাইয়ের দ্বারা খুব উপকৃত হয়েছিলাম। বুবাইয়ের বেহালাতে একটা নিজস্ব গ্যারেজ ছিল। ও ছিল গাড়ীর মেকানিক। টাকাপয়সা জমিয়ে গ্যারেজটা করেছিল। আমার মত কলেজে পড়ত না। পড়াশুনোও বেশিদূর করেনি। কিন্তু মনটা ছিল খুব উদার। আমাকে হাত খরচা দিত। দুবেলা পেটের খাবারটাও জুটিয়ে দিত। আর বলত, তুই কোনো চিন্তা করিস না। যতদিন না তোর একটা কাজবাজ না জুটছে এই বুবাই তোকে দেখবে। আমি যখন আছি, তোর কোন চিন্তা নেই।
আমি জানি বুবাই আমার জন্য খুব ভাবে। আমাকে ওর গ্যারেজে রাত কাটাবার জন্য একটা জায়গাও করে দিয়েছে। কিন্তু ও পয়সা রোজগার করার জন্য আমাকে যে বিকল্প প্রস্তাবটা দিয়েছে সেটা কি আমার পক্ষ্যে করা সম্ভব? আমি কিনা শেষকালে লেখা পড়া শিখে গাড়ীর ড্রাইভারী করব? এতই দূরাবস্থা আজকাল কলেজে পড়া ছেলেগুলোদের? সবাই বলে ব্যাকিং না থাকলে নাকি কিছু হয় না। তাহলে আমিও কি ফেলুড়েদের দলে? আমার ব্যাকিং নেই। সুতরাং মনের মতন কাজ আমাকে কেউ দেবে না। সুতরাং চাকরির আশা ত্যাগ করো।
রাত্রিবেলা একদিন বাংলা মাল খেতে খেতে বুবাই বলল, আজব একটা ছেলে হয়েছিস তুই। সবসময় একগাল চিন্তা নিয়ে বসে আছিস। অথচ আমি যেটা বলছি। সেটা কিছুতেই তুই শুনছিস না।
বুবাইকে বললাম, কি করব তাহলে?
বুবাই বলল, ড্রাইভারিটা শিখে নিয়ে ড্রাইভারি কর। তাও তো মাস গেলে তিন চার হাজার টাকা কামাতে পারবি। কারুর দয়াতে তো তোকে থাকতে হবে না।
বুবাইকে বললাম, তাবলে ড্রাইভারী?
বুবাই বলল, ড্রাইভারী তো কি হয়েছে? আজকাল ভদ্রলোকের ছেলেরাও ড্রাইভারী করছে না? ড্রাইভাররা কি মানুষ নয়? এই আমাকে দেখ। আমারো প্রথম জীবন তো ড্রাইভারী। কেউ ছিল না পাশে। একা খেটে এই গাড়ী সারানোর গ্যারেজটা বানিয়েছি। এখন আমার এখানে গাড়ী ঠিক করার জন্য রথিমহারথি রা এসে সব লাইন দেয়। আমি ড্রাইভার বলে তারা কি আমায় ছোট করে? কাজ করি। পয়সা নিই। আমি কারুর কাছে হাত পাতি না।
বুবাইয়ের কথায় আমার শেষ পর্যন্ত টনক নড়ল। ও শুধু বলল, দুমাস তোকে একটু গাড়ী চালানোটা ভাল করে শিখে নিতে হবে। এরজন্য আমি তোকে হেল্প করব। মাসীমাকে গ্রামের বাড়ীতে আমিই টাকা পাঠিয়ে দেবো। তুই এই নিয়ে কিছু ভাবিস না।
সত্যি বুবাই ওর কথামতন কাজ করল। আমার পেছনে পড়ে থেকে গাড়ী চালানোটা শিখিয়ে দিল। ওর সাথে থেকে থেকে মেকানিকের কাজও আমি শিখে গেলাম। মোটামুটি গাড়ী চালানোর হাত যখন পুরোপুরি রপ্ত করে ফেলেছি তখন ওকে একদিন বললাম, শিখে তো গেলাম ভালই মতন। কিন্তু এবার আমাকে ড্রাইভারীতে রাখবে কে? আমি কি এরজন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করব?
বুবাই বলল, দূর বোকা। এরজন্য আবার অপেক্ষা করতে হয় নাকি? তোর চাকরি তো রেডী। শুধু যাবি, ইন্টারভিউ দিবি। তারপরে তোর চাকরি একেবারে পাকা। আমার সাথে তার কথা হয়ে গেছে।
আমি বললাম ইন্টারভিউ? ড্রাইভারের চাকরির জন্য ইন্টারভিউ?
বুবাই হাসল। হেসে বলল, বারে ইন্টারভিউ দিবি না? ম্যাডাম বলে কথা। ম্যাডাম তো তোকে চাক্ষুস একবার দেখবেন।আমি বললাম, ম্যাডাম? তিনি আবার কে? এখানে তো কোন ম্যাডামকে আসতে কোনদিন দেখিনি। তাহলে তো কে এই ম্যাডাম আমার চোখে অন্তত পড়ত।
বুবাই বলল, সবাইকে কি তুই চিনিস না কি? এ ম্যাডাম আমার গ্যারেজে গাড়ী সারাতে কোনদিন আসেননি। তবে ইনি না এলেও ইনার স্বামী একবার দুবার গাড়ী ঠিক করতে এসেছেন। এখন স্বামী থাকেন দুবাইতে। উনি এখানে একাই থাকেন। গাড়ীর ড্রাইভার একটা ছিল। উনি ওনাকে ছাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি একবারই গিয়েছিলাম ওনার স্বামী রাহুল স্যারের বাড়ী। তখনই বৌদির সাথে আলাপ। আমার কাছে তোর ব্যাপারে খবরও নিয়েছে। বলেছে ছেলেটা যখন ভাল। আর তুমি বলছ ও তোমার বন্ধু। তখন প্রথম চাকরিটা ওকে আমিই দেবো। শুধু বোলো, আমার সাথে এসে যেন একবার দেখা করে। আমি ওকে যা মাইনে দেব, তাতে ওর ভালমতন পুষিয়ে যাবে। তোমার বন্ধুকে আর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে হবে না।
বুবাই যেভাবে বলছে, আমার একটু সন্দেহ হল। স্বামী এখানে থাকে না। সে নাকি দুবাইতে থাকে। ভদ্রমহিলা একা থাকে। তাহলে সে স্বামীর সাথে গেল না কেন?
বুবাই বলল, আচ্ছা বাবা তোর এত সবে দরকার কি? ভাল মাইনে দিতে রাজী হলে হ্যাঁ করে দিবি। স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে থাকে না কেন, জেনে কোন লাভ আছে কি? হয়তো কোন মনমালিন্য হয়েছে। বা স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আজকাল এসব কেউ দেখে না।
আমি বললাম, ভদ্রমহিলার বয়স কত?
বুবাই বলল, এই সাতাশ আঠাশ হবে। তবে দেখতে কিন্তু খুব সুন্দরী। নাম হল প্রিয়া। কথা বলবে যখন দেখবি মুখে যেন হাসিটি একেবারে লেগে আছে। স্বামী দুবাই চলে যাবার পর নিজেই একটা আলাদা ফ্ল্যাট নিয়েছে। গাড়ীটাও একেবারে নতুন। পুরোনো গাড়ীটা বেচে দিয়েছে। আমাকে মাঝে মধ্যে নতুন ফ্ল্যাটে ডাকে। সময় পেলে যাই। ম্যাডামের একটু সঙ্গ পেলে ভালই লাগে। দেখবি তুই যখন ম্যাডামের সঙ্গে থাকবি। তোর তো আরোই ভাল লাগবে।
বুবাইকে বললাম ডিভোর্সী মেয়ের সঙ্গ আমার ভাল লাগবে কেন? আমি গাড়ি চালাবো। তার বদলে পয়সা নেব। আমার আবার ওসবে দরকার কি?
বুবাই একটু ফোড়ণ কাটল। বলল, বিয়ে করতে চাইছিলিস না? দেখ ম্যাডামের তোকে ভাল লেগে গেলে ম্যাডামই তোর জন্য মেয়ে খুঁজে দেবে। এক ঢিলে দুই পাখী। তোর দুটো কাজই একজনকে দিয়ে হয়ে যাবে।
আমি যাব কি যাব না তাই ভাবছিলাম। বুবাই আবার আমাকে আরো বিচলিত করে দিয়ে বলল, ম্যাডাম কিন্তু আবার একটু বেশীই আধুনিকা। তুই আবার তাই দেখে ঘাবড়ে যাস না যেন। শহরে মানুষ হয়েও গ্রামের হাবভাবগুলো এখনও তোর মধ্যে থেকে যায়নি। ম্যাডাম যদি কথা বলতে বলতে তোর গায়ে হাত দিয়ে দেয়। চোখ বড়বড় করে তাকাবি না। সহজ হয়ে যাবি।
আমি বললাম, মানে? গায়ে হাত দেবে মানে?
বুবাই বলল, আরে গায়ে হাত দেওয়া মানে কি মারা নাকি? তোকে হয়তো ছোবে। স্পর্ষ করবে। কথা বলতে বলতে গায়ে একটু চিমটিও কেটে দিতে পারে। এসব দেখে একদম ঘাবড়াবি না।
আমার বুবাইয়ের কথা শুনে মাথা খারাপ হয়ে যাবার মতন অবস্থা। বেঁকে বসলাম। বললাম, না তাহলে থাক। আমি যাব না। বুবাই পুরো আকাশ থেকে পড়ল.আসলে মেয়েমানুষকে আমি একটু এড়িয়ে চলি। তারউপর সে মেয়ে যদি একটু ছেলেঘেষা হয় তাহলে আমার কেমন যেন অস্বস্তি লাগে। বুবাই মাঝে মাঝেই আমার পেছনে লাগে। ‘তুই আর মানুষ হলি না। এখনও সেই বোকাহাবা হয়েই রইলি।’ এই বলে আমাকে অনেক টিটকিরিও মারে। কিন্তু আমি সেই যেমন ছিলাম ঠিক তেমনই। ও বুবাই যতই আমাকে মেয়ে পটানোর মন্ত্র বাতলে দিক। আমি সহজে আমার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটছি না।
বুবাইকে বললাম, তুই এক কাজ কর। এই ম্যাডাম ফ্যাডাম সব ছাড়। আমাকে অন্য কোথাও ড্রাইভারীর চাকরি জোগাড় করে দে। তোর তো এত চেনাশুনা। কত লোক তোর কাছে গাড়ী সারাবার জন্য আসে। কোথাও কি একটা ড্রাইভারীর চাকরি জুটবে না?
বুবাই বলল, ছেলেমানুষি করিস না। ম্যাডামকে আমি কথা দিয়েছি। আমাকেও তো তার দাম রাখতে হবে। তাছাড়া তোর অসুবিধাটা কোথায় হচ্ছে আমি তো বুঝতে পারছি না। মেয়েমানুষরা সবসময়ই ভাল হয়। হতে পারে উনি ডিভোর্সী। তা বলে উনি দেখতে সুন্দর। দুধে আলতা গায়ের রঙ। স্লিম চেহারা, লম্বা হাইট। এগুলোকে তো অস্বীকার করা যায় না। কেউ না কেউ ঠিকই জুটে যাবে আবার ওনার কপালে। লাইন দিয়ে কত ছেলে বসে আছে। সেটা কি তুই জানিস না আমি জানি।
বললাম, ওসবে আমার দরকার কি? যে যা পারে করুক। আমি আমার মত থাকি।
বুবাই একটু রেগে গিয়ে বলল, তুই তাহলে যাবি না?
বললাম, না।
ও বলল, তাহলে পচে মর। আমি আর তোর কোন দায়িত্ব নিচ্ছি না।
মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল। বুবাই ড্রাইভারের কাজটা নেবার জন্য জেদাজেদী করছে। এদিকে আমারও মন সায় দিচ্ছে না। রাতে খাবার টাবার না খেয়ে আমিও মুখ ভার করে পড়ে রইলাম। বুবাই আমার সাথে তারপর থেকে আর কোন কথা বলল না। সন্ধেবেলা আমার যাবার কথা ছিল ম্যাডামের ফ্ল্যাটে। নাকচ করে দিয়ে আমি জেদ ধরে পড়ে রইলাম। বুবাই আমাকে গ্যারেজে রেখে রাতে বাড়ী চলে গেল। যাবার সময় বলে গেল, ম্যাডাম আমাকে দুবার মোবাইলে ফোন করেছে। যা বলার আমি বলে দিয়েছি। উনি কিছুটা অবাক হয়েছেন। এরপরে তোর জন্য আমার আর মান সন্মান কিছু থাকলো না। যা ভাল হয় তাই করিস। আমার আর কিছু বলার নেই।
ঘুম থেকে উঠেছি পরের দিন সকালে। উঠতে একটু দেরীই হয়ে গেছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম বেলা নটা বাজে। অথচ বুবাইয়ের এখনও পাত্তা নেই। সাধারণত ও আটটা বাজলেই চলে আসে। কিন্তু আজ কেন এত দেরী করছে বুঝতে পারছি না। একা একা গালে হাত দিয়ে বসে তখন ভাবছি কি করা যায়? তাহলে কি ম্যাডামের ফ্ল্যাটে গিয়ে একবার ঘুরে আসব? দেখিই না গিয়ে একবার গিয়ে। মহিলা নিশ্চই আমাকে বকা ঝকা করবে না। তাছাড়া আমারই এত গোঁ ধরে বসে থাকার দরকার কি? আমি সারামাস ওনার গাড়ী চালাব। তার বদলে উনি আমাকে কিছু পয়সা দেবেন। মাস মাইনে পেয়ে মাকে প্রতিমাসে কিছু টাকা পাঠাবো। অভাবের তাড়নায় জীবন যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, এভাবে চাকরিটা হাতছাড়া করার কোন মানে হয় কি?
আমি গ্যারাজের গেট খুলে বাইরে একটা টুল নিয়ে বসেছি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিজের হাতে চা বানাই। যখনই গেলাসে চুমুক দিয়েছি, আমার মনে হল খানিকটা দূরেই কোন মহিলার মিষ্টি স্বর। বুবাই আছো নাকি? বুবাই, ও বুবাই-কাছে আসতেই দেখলাম সেই মহিলাকে। অপরূপ সুন্দরী। আহা মুখশ্রী যেন একেবারে মনীষা কৈরালার মতন। উদ্ধত বুক, শরীরের গড়ন দেখলে মাধুরী দীক্ষিতের কথা মনে পড়ে যায়। কোমরটা শরীরের গঠনকে আরো আকর্ষনীয় করেছে। ভারী পাছাওয়ালা মেয়েগুলো যেভাবে শরীরকে অনাদর করতে করতে মুটিয়ে যায়। উনি ঠিক সেরকম নন। যৌবনের প্রতীক, শরীর থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে একটা চুম্বকের মতন টান। মনে হবে এই মেয়ে সাতসকালেই যাকে দর্শন দেবে তার দিন মোটামুটি সারাদিনের জন্য খুব ভাল হয়ে যাবে।
কি আমি সাধাসিধে একটা ছেলে। আর হঠাৎই সুন্দরী কোন মেয়ের দর্শন পেয়ে আমি যেন নিজের রুচীকে বদলাবার চেষ্টা করছি। কোনদিন তো মেয়েদের বুকের দিকে এভাবে তাকাইনি। হঠাৎই উনাকে দেখে ভারী বুকের উপর নজড় পড়ে যাচ্ছে কেন আমার?
নিজেকে সামলে নিলাম। তবুও অভিভূত হয়ে দৃষ্টি সরাতে পারছি না। কাছে এসে উনি বললেন, বুবাই কোথায়? আসেনি?
আমি বললাম, এখনও তো আসেনি। এসে পড়বে হয়তো। আপনি?
ভদ্রমহিলা আমার কথার সোজা সাপ্টা জবাব না দিয়ে বললেন, আর সেই বুবাইয়ের বন্ধুটি কোথায়?
আমি একটু ঘাবড়ে গেলাম। উনাকে বললাম, কেন বলুন তো? আমিই তো বুবাইয়ের বন্ধু। আমার সাথেও কি আপনার দরকার আছে?
মহিলা বললেন, আমি কাল বুবাইয়ের মুখ থেকে সব শুনেছি। তুমি নাকি না করে দিয়েছ। আমার গাড়ীর ড্রাইভারী করতে তুমি ইচ্ছুক নও। একটা কথা বলি তোমাকে?
আমি একটু বোকার মত চেয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম, বলুন।
মহিলা বললেন, আমার গাড়ীটা একমাসের জন্য তুমি চালাতে পারবে? তারপর বলছি তোমাকে আর কষ্ট করতে হবে না। আমি এখন গাড়ী চালানো শিখছি। একমাস পর থেকে আমি নিজেই গাড়ী ড্রাইভ করতে পারবো।
অদ্ভূত এমন একটা প্রস্তাব পেয়ে আমার কেমন যেন ভেতরটায় কিন্তু কিন্তু এল। সন্মতিতে না করার মতই ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল। মনে মনে ভাবলাম, একমাস চাকরী করে তারপর আমি খাবো কি? আমার সারা লাইফ কি করে চলবে? উনি কি আমাকে দয়া করতে চাইছেন না নিজের স্বার্থপূরণ করতে চাইছেন।
আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমার নাম তো বাপ্পা। তাই না?
আমি বললাম, হ্যাঁ।
-বাপ্পা, তুমি প্লীজ না বোলো না আমাকে। প্লীজ প্লীজ প্লীজ। লক্ষীটি একমাসের জন্য হলেও আমার গাড়ীর ড্রাইভারীটা তুমি করো। গাড়ী ছাড়া আমার একদন্ড চলে না। আমি কথা দিচ্ছি। একমাস পরে তোমাকে আমি ছেড়ে দেবো
-না মানে।
-কোন মানে নয়। কোন কিন্তু নয়। তুমি চলো আমার সাথে। আমি গাড়ী নিয়ে বেরুবো।
খেয়াল করলাম,উনি প্রায় আমার হাত ধরতেই যাচ্ছিলেন। আমাকে টানাটানি করে বগলদাবা করে বাড়ীতে সাথে করে নিয়ে যাবেন সেই মনবাসনা নিয়েই সাত সকালে এসে হাজির হয়েছেন। জোরাজুরি পীড়াপীড়ি করছে দেখে আমি বললাম, দাঁড়ান দাঁড়ান বুবাইকে তো আসতে দিন। গ্যারেজ ফাঁকা রেখে যাব কি করে?বলতে বলতেই বুবাই এসে হাজির। মহিলাকে দেখে একগাল হেসে বলল, ও আপনি এসে গেছেন? নিয়ে যান তো এই ছোঁড়াটাকে। না গেলে জোর করে ধরে নিয়ে যান। আমিও দেখছি ও কিভাবে আপনাকে না বলে থাকতে পারে?
কিছুই বুঝছি না। মনে মনে ভাবলাম। এ আবার কি? তাহলে কি সব প্রি প্ল্যান? বুবাই আগে থেকেই জানত? মহিলা সাত সকালে এসে হাজির হবে। আমাকে ইচ্ছে করেই কিছু বলেনি। রোজ যেখানে আসে সকাল আটটার মধ্যে। আজ সেখানে ইচ্ছে করেই দেরীতে এসেছে। আমাকে এখান থেকে ভাগানোর তালে আছে। আমিও বুবাইয়ের মজা দেখাচ্ছি।
দেখলাম মহিলা এবার সত্যি সত্যিই আমার গায়ে হাত দিয়ে ফেলেছে। আমার হাত ধরে টেনে বললেন, বড্ড অবাধ্য ছেলে তুমি। এত করে বলছি, তাও তোমার যেতে ইচ্ছে করছে না? এবারে কি পায়ে ধরে সাধাসাধি করব তোমাকে? আমি এত রিকোয়েস্ট কাউকে কিন্তু করি না।
বুঝলাম পরিস্থিতি এখন আমার আর নিয়ন্ত্রণে নেই। মহিলা সত্যিই নাছোড়বান্দা হয়ে উঠেছেন। হাসতে হাসতে বুবাইও আমাকে বলল, উনি তোকে কেন বারবার এমন করে বলছে জানিস তো? আমার সাথে সম্পর্কটা খুব ভাল উনার। বুবাই যদি ম্যাডামের জন্য এই উপকারটুকু করতে না পারে তাহলে বুবাইয়ের মতন হতভাগা আর কেউ নেই। তুই শেষ পর্যন্ত চাকরিটা না নিলে আমাকেই শেষ পর্যন্ত কাজটা করতে হবে। আর আমি চলে গেলে এই গ্যারেজটা দেখবে কে? খদ্দের আসবে। তুই একা চালাতে পারবি গ্যারেজ? সামলাতে পারবি সবাইকে? গাড়ী চালানো শিখলেও মেকানিসিম তো এখনও ভাল করে তুই শিখিস নি।
কি আর বলব আমিও বুঝতে পারছি না। ম্যাডামের আবদার আর বুবাইয়ের অনুরোধ শেষ পর্যন্ত আমি মেনে নিলাম। মনে হল কাজটা নিয়ে আমি হয়তো ঠিকই করলাম। একমাস পরেই ম্যাডাম বলছে আমাকে আর রাখবে না। ততদিনে ম্যাডামকেও ভাল করে চেনা হয়ে যাবে। আমিও চিরতরে মুক্তি পাবো।
ম্যাডাম তখুনি আমাকে ওনার ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলেন। দেখেই বুঝলাম একেবারে নতুন ফ্ল্যাট। ছিমছাম সাজানো। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হবার পর নিজেই টাকাপয়সা দিয়ে এই ফ্ল্যাটটা কিনেছে। আমাকে ঘরে বসিয়ে রেখে উনি চলে গেলেন স্নান সারতে। বললেন, আমি পনেরো মিনিটের মধ্যে রেডী হয়ে নিচ্ছি। তারপরেই গাড়ী নিয়ে আমাকে বেরুতে হবে। তুমি বসো। গাড়ীতে যেতে যেতে আমি বাকী কথাগুলো সেরে নেবো।
চেয়ারে বসে আমি গালে হাত দিয়ে ভাবতে ভাবতে ম্যাডামের রেডী হওয়া অবধি অপেক্ষা করছি। শরীরের ভেতরটা কি রকম যেন করতে শুরু করেছে। কারণ একটু আগেই ম্যাডামকে দেখেছি উনি ঘরে ঢুকে শরীরটাকে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে আমার সাথে কথা বলছিলেন। উদ্ধত বুকদুটো ভেতর দিয়ে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। ম্যাডামের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। উনি আমার সাথে কথা বলতেই ব্যস্ত। জানি না এ মেয়ে আবার লাজ লজ্জ্বাহীনা কামুক মেয়ে কিনা? শরীর গরম হয়ে গেলে ছেলেরা আবার বেপোরোয়া হয়ে ওঠে। আমি একটু বিপরীত মুখী। মেয়েদের খোলামেলা পোষাক দেখলে যখন সেক্স ওঠে। নিজে থেকেই নিজেকে সামাল দেবার চেষ্টা করি। অস্বাভাবিক লিঙ্গ আমার নয়। তবে প্যান্টের ভেতরে যখন ফুলে ওঠে। আমার মুন্ডিটা জাঙিয়াতে ঘসা লাগলে ভীষন অস্বস্তি হয়। মনে হয় এই বুঝি তালগাছের মতন ওটা ভেতরে আটকে গেল। সারাদিন এই অবস্থাতেই চলবে। কিছুতেই ওটা স্বাভাবিক অবস্থাতে ফিরে যাবে না।বসে আছি প্রায় পনেরো মিনিট হল। এখনও ম্যাডাম বাথরুম থেকে বেরোননি। মেমসাহেব এই সাতসকালে কোথায় বেরুবেন জানি না। উনি কি কোন চাকরি করেন? একা একা ওনার সময় কাটে কি করে? সাধারনত চাকরি বাকরি করা ডিভোর্সী মেয়েরা অনেক স্বাধীনচেতা হয়। নিজেদের মত লাইফ কাটাতে তারা ভালবাসে। তাছাড়া এখন তো ওনার স্বামীও কাছে নেই। দুবাইতে বসে বসে বউ এখানে কি করে বেড়াচ্ছে উনি টেরও পান না। আমার মনে হয় ভদ্রমহিলার সেক্স খুব বেশী। স্বামীর কাছ থেকে নিয়মিত যৌনসুখ পাননি বলেই হয়তো ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
বসে বসে আপনমনে উল্টোপাল্টা এসব ভেবে যাচ্ছি। অজানা একটা আশংকায় কপাল গাল সব ঘেমে উঠছে। বুবাইকেও গাল পাড়ছি। আর ভাবছি, সত্যি যদি উল্টোপাল্টা কিছু হয়। বুবাই তোকে আমি আর আস্তো রাখবো না।
ম্যাডাম তার একটু পরেই বেরুলেন। বাথরুম থেকে বেরিয়েই ভেতরের ঘরে ঢুকেছেন। ড্রেস চেঞ্জ করছেন। আমি এ ঘর থেকেই ওনার গলার আওয়াজ পেলাম। বেশ দরদ দেখিয়ে মিষ্টি গলায় উনি বললেন, ‘বাপ্পা তুমি যা আমার উপকারটা করলে না আমি কোনদিন ভুলবো না। ইউ আর মাই সুইট বয় বাপ্পা। আই রিয়েলি থ্যাঙ্কফুল টু ইউ। আজ তোমাকে আমি একটু খুশি করে দেবো। দেখবে ম্যাডামের মন কত বড় উদার। দিল কত বড়।
ইংরেজী যেটা বলছে সেটা আমি ভালই বুঝতে পারছি। কিন্তু খুশি করার ব্যাপারটা আবার কেন এল? সেটাই বুঝতে পারছি না। উনি আমাকে কিভাবে খুশি করবেন? টাকা পয়সা দিয়ে না কোন উপহার দিয়ে? মাস ফুরোল না। মাস মাইনের টাকা উনি কি তাহলে অ্যাডভান্স করবেন? শুরুতেই এত দরদ দেখানোর মানে কি?
ভেতরের ঘরে সেজেগুজে এবার বসার ঘরে ঢুকলেন ম্যাডাম। চোখে চোখ পড়ল। দেখলাম বেশ তৃপ্তির হাবভাব ফুটে উঠেছে ওনার মুখে। লিপ্সটিক মাখানো লাল রঙের ঠোঁট দুটির ভেতর থেকে সাদা মুক্তোর মত দাঁতগুলো বের করে ঝরঝরে একটা হাসি দিয়ে উনি বললেন, বুবাই আমাকে তোমার ব্যাপারে সবই বলেছে। তুমি একটু লাজুক প্রকৃতির তাই না? নিজের মা’কে খুবই ভালবাসো। আর মেয়ে দেখলেই একটু এড়িয়ে চলো। মেয়েরা একসময় ছেলে দেখলে একটু এড়িয়ে চলতো। এখন সবই উল্টো হয়ে গেছে। ছেলেরা মেয়েদের দেখে পিছু হটছে। আমার আবার এই ধরণের ছেলেদেরই বেশী পছন্দ।
কাছে এসে আমার উল্টোদিকে বসল। এক গাল হাসি দিয়ে আমাকে বলল, গার্লফ্রেন্ড নেই বুঝি? এখনকার ছেলেদের যদি কোন গার্লফ্রেন্ড না থাকে তাহলেই লাজুক ব্যাপারটা সহজে কাটতে চায় না। তোমার যেমন হচ্ছে। সেই থেকে দেখছি তুমি কেমন যেন আড়ষ্ট হয়ে আছো। আমার সাথে এখনও সহজ হতে পারছো না।
বেশ বুঝতে পারছি উনি আমাকে আসতে আসতে নিজের মত করে গড়ে নিতে চাইছেন। ঐশ্বর্য্যময়ী শরীর নিয়ে সুন্দরী মেয়েদের এটাই হল বড় সমস্যা। কেন যে শুধু শুধু উনি নিজের স্বামীটার সঙ্গে ঝগড়া বাঁধাতে গেলেন? আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এখন তিরিশ দিন আমাকে খুব বুঝে সুজে ওনাকে সামলাতে হবে। আগে ওনার মতি গতিটা কি সেটা বুঝতে হবে। দরদ দেখানোর নাম করে উনি কি আমার সাথে স্ক্যান্ডাল কিছু করতে চাইছেন? কিছু বিশ্বাস নেই। ম্যাডামকে লক্ষ্য করছি, উনি কিন্তু কথা বলতে বলতে মাঝে মাঝেই আমার প্যান্টের দিকে তাকাচ্ছেন।-বাপ্পা চলো এবার। আমাকে বেরুতে হবে।
আমার যেন হোশ ফিরল। সোফা ছেড়ে আমিও উঠে পড়লাম। ম্যাডাম বলল, বাই দা বাই আমার নাম হল প্রিয়া। নিশ্চই বুবাইয়ের মুখ থেকে তুমি শুনেছ। আমাকে তুমি প্রিয়াদি বলে ডাকবে। ম্যাডাম কথাটা আমি তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই না।
-প্রিয়া দি? মুখে নাম নিয়ে উচ্চারণ? এমন সন্মোধনের ইঙ্গিতটা কোনদিকে? একেবারে গায়ে পড়ে আপন করে নিতে চাইছে। বুঝলাম আমার কিছু একটা হতে চলেছে আগামী তিরিশ দিনের জন্য। কপালে এমন চাকরি জুটবে। জীবনে কল্পনাও করিনি।
বালীগঞ্জ সারকুলার রোডে ম্যাডামের থুড়ি প্রিয়াদির অফিস। গাড়ীতে অচেনা একজন ড্রাইভারের পাশে বসতে উনি কিন্তু একটুও ইতস্তত করলেন না। আমার পাশে বসে আমাকে বাহবা দিয়ে বললেন, বাহ। খুব সুন্দর গাড়ী চালাতে তুমি শিখেছ। বুবাই ছেলেটা সত্যি কাজের আছে দেখছি। বন্ধুর জন্যই তোমার এই গাড়ী চালানোটা সহজ হল। এরজন্য বুবাইকে তোমায় অনেক থ্যাঙ্কস দিতে হবে।
মনে মনে বললাম, চাকরিটাও তো ওরজন্য পেলাম। তবে সেটা কেমন হবে। আদৌ বুঝে উঠতে পারছি না। গোলমেলে কিছু ঘটলে সোজা গিয়ে বুবাইয়ের ঘাড় মটকে দেবো। উনি যদি ওনার স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এই কাজটা আমাকে দিয়ে থাকেন, আমি কিছুতেই এটা সফল হতে দেবো না।
প্রিয়াদি বললেন, তোমাকে আমি পাঁচহাজার টাকা মাসে দেবো। আর যদি তোমার তাতে না পোষায় বাড়িয়ে আরো এক হাজার টাকা আমি বেশি দিতে পারি। তবে গাড়ী চালাতে চালাতে মাঝপথে আমাকে আবার ছেড়ে চলে যেও না। তাহলে কিন্তু খুব অসুবিধায় পড়ে যাব।
একবারে আমার গা ঘেষে বসেছেন। পাশ থেকে স্টিয়ারিংটা ধরে বললেন, আমিও অনেকটাই শিখে ফেলেছি। তবে পুরোপুরি এখনও সাহসটা হচ্ছে না। ভাবছি তোমাকেই পারমানেন্ট করে রেখে দেবো। আমার আর গাড়ী চালানোর দরকার নেই।
আমি কিছুটা খুশিও হলাম। আবার কিছুটা ভূরুও কুঁচকালাম। বুঝলাম, উনি প্রথমেই ওনার আসল রূপটা কিছুতেই আমার কাছে প্রকাশ করবেন না। আসতে আসতে যত দিন গড়াবে। ভেলকী দেখাতে শুরু করবেন।
প্রিয়াদি আমাকে গাড়ী পার্ক করতে বলে অফিসে ঢুকলেন।আমাকে প্রায় চারঘন্টা বসিয়ে রাখলেন। টিফিনের সময় একবার বেরিয়ে বললেন, আর একঘন্টা পরেই আমি বাড়ী ফিরব। তারপর তোমার সাথে ঘরে বসে অনেক কথা আছে। আর সন্ধেবেলা গ্যারেজে ফিরে গিয়ে জামাকাপড় কিছু নিয়ে এসো। তোমাকে আমার ফ্ল্যাটেই থাকতে হবে তো?
আমি চমকে উঠলাম। ফ্ল্যাটে থাকতে হবে মানে? আমি কাজ শেষে গ্যারেজে আর ফিরে যাব না? সারাদিন ডিউটি করে রাতে আবার কি ডিউটি করব?
প্রিয়া ম্যাডাম বললেন, বুবাই একটু আগে আমাকে ফোন করেছিল। তোমার কথা জিজ্ঞাসা করছিল। আমাকে বলল, বাপ্পাকে বলবেন সন্ধেবেলা চলে আসতে। আমি ওকে যা বোঝানোর বুঝিয়ে দেবো
-প্রিয়া দি? মুখে নাম নিয়ে উচ্চারণ? এমন সন্মোধনের ইঙ্গিতটা কোনদিকে? একেবারে গায়ে পড়ে আপন করে নিতে চাইছে। বুঝলাম আমার কিছু একটা হতে চলেছে আগামী তিরিশ দিনের জন্য। কপালে এমন চাকরি জুটবে। জীবনে কল্পনাও করিনি।
বালীগঞ্জ সারকুলার রোডে ম্যাডামের থুড়ি প্রিয়াদির অফিস। গাড়ীতে অচেনা একজন ড্রাইভারের পাশে বসতে উনি কিন্তু একটুও ইতস্তত করলেন না। আমার পাশে বসে আমাকে বাহবা দিয়ে বললেন, বাহ। খুব সুন্দর গাড়ী চালাতে তুমি শিখেছ। বুবাই ছেলেটা সত্যি কাজের আছে দেখছি। বন্ধুর জন্যই তোমার এই গাড়ী চালানোটা সহজ হল। এরজন্য বুবাইকে তোমায় অনেক থ্যাঙ্কস দিতে হবে।
মনে মনে বললাম, চাকরিটাও তো ওরজন্য পেলাম। তবে সেটা কেমন হবে। আদৌ বুঝে উঠতে পারছি না। গোলমেলে কিছু ঘটলে সোজা গিয়ে বুবাইয়ের ঘাড় মটকে দেবো। উনি যদি ওনার স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এই কাজটা আমাকে দিয়ে থাকেন, আমি কিছুতেই এটা সফল হতে দেবো না।
প্রিয়াদি বললেন, তোমাকে আমি পাঁচহাজার টাকা মাসে দেবো। আর যদি তোমার তাতে না পোষায় বাড়িয়ে আরো এক হাজার টাকা আমি বেশি দিতে পারি। তবে গাড়ী চালাতে চালাতে মাঝপথে আমাকে আবার ছেড়ে চলে যেও না। তাহলে কিন্তু খুব অসুবিধায় পড়ে যাব।
একবারে আমার গা ঘেষে বসেছেন। পাশ থেকে স্টিয়ারিংটা ধরে বললেন, আমিও অনেকটাই শিখে ফেলেছি। তবে পুরোপুরি এখনও সাহসটা হচ্ছে না। ভাবছি তোমাকেই পারমানেন্ট করে রেখে দেবো। আমার আর গাড়ী চালানোর দরকার নেই।
আমি কিছুটা খুশিও হলাম। আবার কিছুটা ভূরুও কুঁচকালাম। বুঝলাম, উনি প্রথমেই ওনার আসল রূপটা কিছুতেই আমার কাছে প্রকাশ করবেন না। আসতে আসতে যত দিন গড়াবে। ভেলকী দেখাতে শুরু করবেন।
প্রিয়াদি আমাকে গাড়ী পার্ক করতে বলে অফিসে ঢুকলেন।আমাকে প্রায় চারঘন্টা বসিয়ে রাখলেন। টিফিনের সময় একবার বেরিয়ে বললেন, আর একঘন্টা পরেই আমি বাড়ী ফিরব। তারপর তোমার সাথে ঘরে বসে অনেক কথা আছে। আর সন্ধেবেলা গ্যারেজে ফিরে গিয়ে জামাকাপড় কিছু নিয়ে এসো। তোমাকে আমার ফ্ল্যাটেই থাকতে হবে তো?
আমি চমকে উঠলাম। ফ্ল্যাটে থাকতে হবে মানে? আমি কাজ শেষে গ্যারেজে আর ফিরে যাব না? সারাদিন ডিউটি করে রাতে আবার কি ডিউটি করব?
প্রিয়া ম্যাডাম বললেন, বুবাই একটু আগে আমাকে ফোন করেছিল। তোমার কথা জিজ্ঞাসা করছিল। আমাকে বলল, বাপ্পাকে বলবেন সন্ধেবেলা চলে আসতে। আমি ওকে যা বোঝানোর বুঝিয়ে দেবো
কথাটা শুনে আমার মেজাজটা ভীষনভাবে বিগড়ে গেল। মনে হল এই বুবাইটাই হচ্ছে যত নষ্টের গোড়া। ওই এই প্রিয়া ম্যাডামের সঙ্গে যোগসাজস করে ফন্দীটা এঁটেছে। আমাকে ম্যাডামের হাতে তুলে দেবার জন্য ওই না কত জোরাজুরি করছিল গতকালকে। শেষকালে যখন দেখল কিছুতেই সফল হল না। সাতসকালে ম্যাডামকে এনে গ্যারেজে হাজির করালো। সন্ধেবেলা যাই বুবাইয়ের কাছে। আমি ওর মজা দেখাচ্ছি।
তারপর থেকেই কেমন যেন গোমড়ামুখো হয়ে গেলাম। ম্যাডাম একটু পরে অফিস থেকে বেরিয়েই গাড়ীতে চড়ে বসল সেই আমার পাশে। আমার হাবভঙ্গী তখনও স্বাভাবিক হচ্ছে না। প্রিয়া ম্যাডাম কিছু বুঝতে পেরে আমাকে বলল, রাগ করেছো বুঝি? তোমাকে আমি জোর খাটালাম।
আমি কোন কথার জবাব দিচ্ছি না। আপন মনে গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছি। প্রিয়া ম্যাডাম বলল, একটা কথা বলি তোমায়? তুমি হয়তো আমাকে খারাপ ভাববে। আমি কিন্তু বুবাইকে যে চোখে দেখি, তোমাকেও সেই চোখেই দেখি। বুবাইকে যখন কিছু রিকোয়েস্ট করি। আমার কাছে থাকতে বলি। ও তো কখনও না করে না। তুমি কি তাহলে একটু জড়োসড়ো? না বিয়ের আগে কোন মেয়ের সঙ্গ করতে তুমি চাও না?
আমি আর একটু হলেই গাড়ী চালাতে চালাতে অ্যাক্সিটেন্ড করতে বসছিলাম। প্রিয়া ম্যাডাম নিজেই চেঁচিয়ে উঠে বলল, এই আসতে আসতে। সামনে কারুর সাথে ধাক্কা লেগে যাবে।
কথাটা শুনে আগেই এমন জোরে ধাক্কা খেয়ে গেছি। বড় ধাক্কার হাত থেকে বেঁচে গেলাম। চোখ পাকিয়ে ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে বললাম, তার মানে?
প্রিয়া ম্যাডাম বলল, কি মানে?
আমি বললাম, আপনি একটু আগে সঙ্গর কথা বলছিলেন, কিসের সঙ্গ?
ম্যাডাম বলল, আমার সঙ্গে তোমার সঙ্গ। এছাড়া আবার কি?
গাড়ীটা মাঝপথে এবার আমি থামিয়ে দিলাম। ম্যাডামকে বললাম, মানেটা আমার কাছে পরিষ্কার করুন। এখনও বুঝলাম না। আপনি কি আমাকে সস্তার কোন ছেলে ভাবছেন নাকি?
একটু ভূরু কুঁচকালো প্রিয়া ম্যাডাম। আমাকে বলল, এই নিয়ে তোমাকে কোন টেনশন করতে হবে না। যা বলেছি ওটাকে ভুলে যেও। আমার কথা আমি আবার ফেরত নিয়ে নিচ্ছি। আর রাতে যদি আসতে ইচ্ছে না হয় এসো না। আমি কাল সকালে তোমার জন্য ওয়েট করব।
মুখ ভার করে বাকীটা রাস্তা গাড়ী চালিয়ে ম্যাডামকে ওনার ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিলাম। গাড়ীর চাবিটা হ্যান্ডওভার করে দিয়ে ম্যাডামকে বললাম, আমি তাহলে আসছি।
ম্যাডামও বললেন, হ্যাঁ এসো।
রাস্তায় বাকীটুকু পায়ে হেঁটে আসতে আসতে আমার মনে হল, আজ আমার একদিন কি বুবাইয়ের একদিন। শেষকালে আমাকে ও ড্রাইভারের চাকরির নাম করে একটা ডিভোর্সী মেয়ের দিকে ভেড়াচ্ছিল। কাজটা মোটেই ঠিক করেনি ও। আজ আমি বুবাইকে দেখে নেব। এর একটা হেস্তনেস্ত করব। ম্যাডামের চামচে গিরি করা ওর আমি বার করছি।
কে যেন আমাকে রাস্তায় যেতে যেতে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল। একটা মুচকি হাসি দিয়ে দূর থেকে বলল, ইউ আর এ লাকী গাই বেটা। চালাও চালাও। এবার গাড়ী ফুলদমে চালাও।
এর মানেটা আমি ঠিক বুঝলাম না।গ্যারেজে ফিরে গিয়ে দেখি বুবাই আপন মনে কাজ করে যাচ্ছে। আমাকে দেখেই বলল, হয়েছে?
দাঁতমুখ খেঁচিয়ে বললাম,কি হয়েছে?তারপর থেকেই কেমন যেন গোমড়ামুখো হয়ে গেলাম। ম্যাডাম একটু পরে অফিস থেকে বেরিয়েই গাড়ীতে চড়ে বসল সেই আমার পাশে। আমার হাবভঙ্গী তখনও স্বাভাবিক হচ্ছে না। প্রিয়া ম্যাডাম কিছু বুঝতে পেরে আমাকে বলল, রাগ করেছো বুঝি? তোমাকে আমি জোর খাটালাম।
আমি কোন কথার জবাব দিচ্ছি না। আপন মনে গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছি। প্রিয়া ম্যাডাম বলল, একটা কথা বলি তোমায়? তুমি হয়তো আমাকে খারাপ ভাববে। আমি কিন্তু বুবাইকে যে চোখে দেখি, তোমাকেও সেই চোখেই দেখি। বুবাইকে যখন কিছু রিকোয়েস্ট করি। আমার কাছে থাকতে বলি। ও তো কখনও না করে না। তুমি কি তাহলে একটু জড়োসড়ো? না বিয়ের আগে কোন মেয়ের সঙ্গ করতে তুমি চাও না?
আমি আর একটু হলেই গাড়ী চালাতে চালাতে অ্যাক্সিটেন্ড করতে বসছিলাম। প্রিয়া ম্যাডাম নিজেই চেঁচিয়ে উঠে বলল, এই আসতে আসতে। সামনে কারুর সাথে ধাক্কা লেগে যাবে।
কথাটা শুনে আগেই এমন জোরে ধাক্কা খেয়ে গেছি। বড় ধাক্কার হাত থেকে বেঁচে গেলাম। চোখ পাকিয়ে ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে বললাম, তার মানে?
প্রিয়া ম্যাডাম বলল, কি মানে?
আমি বললাম, আপনি একটু আগে সঙ্গর কথা বলছিলেন, কিসের সঙ্গ?
ম্যাডাম বলল, আমার সঙ্গে তোমার সঙ্গ। এছাড়া আবার কি?
গাড়ীটা মাঝপথে এবার আমি থামিয়ে দিলাম। ম্যাডামকে বললাম, মানেটা আমার কাছে পরিষ্কার করুন। এখনও বুঝলাম না। আপনি কি আমাকে সস্তার কোন ছেলে ভাবছেন নাকি?
একটু ভূরু কুঁচকালো প্রিয়া ম্যাডাম। আমাকে বলল, এই নিয়ে তোমাকে কোন টেনশন করতে হবে না। যা বলেছি ওটাকে ভুলে যেও। আমার কথা আমি আবার ফেরত নিয়ে নিচ্ছি। আর রাতে যদি আসতে ইচ্ছে না হয় এসো না। আমি কাল সকালে তোমার জন্য ওয়েট করব।
মুখ ভার করে বাকীটা রাস্তা গাড়ী চালিয়ে ম্যাডামকে ওনার ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিলাম। গাড়ীর চাবিটা হ্যান্ডওভার করে দিয়ে ম্যাডামকে বললাম, আমি তাহলে আসছি।
ম্যাডামও বললেন, হ্যাঁ এসো।
রাস্তায় বাকীটুকু পায়ে হেঁটে আসতে আসতে আমার মনে হল, আজ আমার একদিন কি বুবাইয়ের একদিন। শেষকালে আমাকে ও ড্রাইভারের চাকরির নাম করে একটা ডিভোর্সী মেয়ের দিকে ভেড়াচ্ছিল। কাজটা মোটেই ঠিক করেনি ও। আজ আমি বুবাইকে দেখে নেব। এর একটা হেস্তনেস্ত করব। ম্যাডামের চামচে গিরি করা ওর আমি বার করছি।
কে যেন আমাকে রাস্তায় যেতে যেতে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল। একটা মুচকি হাসি দিয়ে দূর থেকে বলল, ইউ আর এ লাকী গাই বেটা। চালাও চালাও। এবার গাড়ী ফুলদমে চালাও।
এর মানেটা আমি ঠিক বুঝলাম না।গ্যারেজে ফিরে গিয়ে দেখি বুবাই আপন মনে কাজ করে যাচ্ছে। আমাকে দেখেই বলল, হয়েছে?
বুবাই হাসতে হাসতে বলল, হয়েছে মানে তো একটাই বুঝায়। সেটাও বুঝলি না?
আমি যেন তেলেবেগুন জ্বলে উঠলাম। বুবাইয়ের দিকে হেই মারি সেই মারি করে তেড়ে গেলাম।
বুবাই আমাকে সামাল দিয়ে বলল, আহা। কি হয়েছে বলবি তো? রাগ করছিস কেন? এত চটার কি আছে?
আমি বললাম, চটব না? তুই আমাকে শেষ পর্যন্ত একটা খারাপ ছেলে বানাবার মতলবে ছিলি? ম্যাডামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসব ফন্দী এঁটেছিস। আমার মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল।
বুবাই আমাকে সান্তনা দিয়ে বলল, আমি কি তোকে জোর করেছি? না ম্যাডাম জোর করেছে? সবই তোর ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। এই নিয়ে মাথা খারাপের তো কিছু নেই।
আমি বললাম, বা বা। কি সুন্দর। যেই আমি রাগ দেখিয়েছি। অমনি দুজনেই পাল্টি খেতে আরম্ভ করেছে। আমাকে তুমি মেয়ে নেওটা পাও নি। যে সুরসুর করেই আমি ম্যাডামের কথামতন কাজ করব। ও চাকরি আমি ছেড়ে দিয়ে এসেছি। কাল আর ওখানে যাচ্ছি না।
বুবাই বলল, তা বেশ তো। ম্যাডাম নিজেই অন্য কোন ড্রাইভারকে জুটিয়ে নেবেন। আর আমাকে যদি বলেন কোন বিকল্প ব্যবস্থা করতে। তাহলে আমি তোর বদলে-
রেগে গিয়ে বললাম, হ্যাঁ। হ্যাঁ তাই কর। ম্যাডামের আঁচলের তলায় অন্য কাউকে জুটিয়ে দে। তুই তো ম্যাডামের ঠিকা নিয়ে রেখেছিস। তোর দ্বারা সবই সম্ভব।
বুবাই এবার একটু কানমোলা খেয়ে জিভ বার করে আমার দিকে এল। আমাকে বলল, সরি। আমি বুঝতে পারিনি। তুই এরকম।
আমি বললাম, আমি কিরকম আবার?
বুবাই আমার পাশে বসল। আমাকে বলল, তুই খুব সহজ সাধাসিধে ছেলে। সত্যি তোর এখনও উঠতি হাওয়া গায়ে লাগেনি।
বিরক্ত হয়ে ওকে বললাম, তোকে দেখে মনে হচ্ছে তুই একটা বুড়ো ভাম।
বুবাই হেসে ফেলল। আমার গায়ে একটু চিমটি কেটে দিয়ে বলল, আমি বুড়ো ভাম হয়তো নই। কিন্তু আমি একটা গেছো পাকা।
আমি বললাম, মানে?
বুবাই বলল, ম্যাডামের সঙ্গে আমি দুরাত শুয়েছি। সেটা কি জানিস?
অবাক হয়ে ওকে বললাম, বুবাই তুই?
আমার দিকে তাকিয়ে বুবাই বলল, মাঝে মাঝে আমার মনে হয় কি জানিস? আমার বোধহয় সব পাওয়া হয়ে গেল। একটা সুন্দরী বিবাহিত মহিলার সঙ্গে আমি শুলাম। দুদুটো রাত চরম সুখ উপভোগ করলাম। এ যেন মেঘ না চাইতেই জল পাওয়ার মতন। আমি কি কখনও ভেবেছিলাম? আমার কপালেও-
বুবাইকে বললাম, কিন্তু ম্যাডাম এটা করল তোর সাথে? ওনার বিবেকে বাঁধল না?
হাসতে লাগল বুবাই আমার কথা শুনে। আমাকে বলল, তুই কি জানিস যার সাথে তোর বিয়ে হবে। সে কিরকম হবে? ভাল না মন্দ?
আমি বললাম, সেটা আবার কি?
বুবাই বলল, সেটাই তো আসল। আমরা কেউ জানি না। না তুই। না আমি। এমনকি ম্যাডামও জানতেন না।বুবাইয়ের কথা শুনে আমার কোন ভক্তি এল না। তাও ওকে বললাম, কেউ যদি খারাপ হয়। সেটা তার নিজের হাতে। তা বলে অন্যেরটা দেখে আমি কেন খারাপ হবো?
বুবাই বলল, কে খারাপ, তার বিচার করার ক্ষমতা তুই রাখিস না আমি রাখি? ম্যাডাম আমার সাথে দুরাত শুয়েছিলেন বলে তোর ওনাকে খারাপ মনে হতে পারে। কিন্তু উনি তো বিয়ের আগে পরপুরুষ নিয়ে মাখামাখি করেন নি। এক মহিলার শরীরে যদি অসম্ভব সেক্স থাকে। বিয়ের আগে কোন পুরুষের সাথে যদি সে লিপ্ত না হয়ে থাকে। তাহলে বিয়ের পরে তার স্বামীই তার আশা ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু উনি যে সুখটুকু স্বামীর কাছ থেকে পেলেন না।
আমি বললাম, কেন?
বুবাই বলল, ওর স্বামীটা হচ্ছে ধ্বজভঙ্গ। বিয়ের পর থেকে কত বিনিদ্র রাত কেটেছে ওনার। দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করেছেন সব। কিছুতেই হাজব্যান্ডের লিঙ্গ খাঁড়া হত না।
আমি বললাম, তাই নাকি?
বুবাই বলল, বলছি তো সব।
ডিভোর্সটা হল। ছাড়াছাড়িও হল। কিন্তু উনি পড়লেন পুরুষ সংসর্গ ছাড়া এক নিঃসঙ্গ জীবনে। কে ওনাকে শারীরিক সুখ দেবে? বিশ্বাস করে আর যাকে তাকে তো পুরো শরীরটাকে তুলে দেওয়া যায় না?
আমি বললাম, তোকেই উনি সেই সুযোগটা দিলেন?
বুবাই বলল, মাইরি বলছি তোকে আমি বাপ্পা। আমি সুযোগ নিতে চাইনি। উনিও আমাকে যেচে সব কিছু দিতে চাননি। সব কেমন যেন আপনা আপনিই হয়ে গেল।
আমি বললাম, কি রকম করে হল ব্যাপারটা?
বুবাই বলল, চরম সুখের গল্পটা শুনবি? মন দিয়ে শোন। তাহলে তোকে আমি বলছি।বুবাই আমার সাথে নাটক করছে না সত্যি বলছে, বোঝা যাচ্ছে না। আমি হাঁ করে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। বরবরই যৌনতা ও মেয়ে নিয়ে কোন রকম আগ্রহ দেখাইনি। কিন্তু কেন জানি আমার মনে হল এই পৃথিবীতে আমাদের অজান্তেই কত না কিছু ঘটে। কত কিছু আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। কেউ যদি যেচে না বলে তাহলে গোপণ জিনিষটা সামনে আসে না। বুবাই আমাকে যেচে না বললে আমি হয়তো সত্যিটা কোনদিন জানতেও পারতাম না। শেষবারের মতন আমাকে অনুরোধ করে ও বলল, বাপ্পা প্লীজ। কথাটা কিন্তু কাউকে বলিস না। তাহলে ম্যাডামের বদনাম হবে। উনি পরে আমাকে দোষারোপ করবেন।
বুবাইকে বললাম, সত্যিটা একদিন না একদিন হয়তো উন্মোচন হতই। কতদিন আর চেপে রাখতিস? আমি এতদিন তোর সাথে মিশছি। কিন্তু কোনদিন তো আগে এই ঘটনাটা বলিস নি।
বুবাই বলল, মাইরি বলছি বাপ্পা। তোকে হয়তো বলতাম। কিন্তু তুই ভীষন আড়ষ্ট। এক তো তোকে ম্যাডামের কাছে চাকরি দেওয়াতেই আমাকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তারপরে এই ঘটনা শুনলে তুই আরও যেতিস না। আমাকে গাল পারতিস।
আমি বললাম, তাও বল। কি হয়েছিল তোর ম্যাডামের সাথে। সেটা শুনি।
বুবাই ওর চরম সুখের গল্প শুরু করল। আমি শুনছি আর ভাবছি। আজ রাতে ম্যাডামের বাড়ীতে থাকলে তাহলে তো আমারও-।
একটা হঠাৎই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বুবাই গল্পটা শুরু করল। আমাকে বলল, প্রিয়া ম্যাডামের স্বামীটা যে ধ্বজভঙ্গ সেটা প্রিয়া ম্যাডামও আমাকে বলেনি। উনি স্বামীকে আমার সামনে কখনও ছোট করেননি। অথচ-
আমি বললাম, কি হয়েছে সেটা বলবি তো? তুই জানলি কি করে?
বুবাই বলল, সেদিন ছিল কালীপূজোর রাত। ঘোর অমাবস্যা। প্রিয়া ম্যাডামের স্বামী রাত দশটার সময় হঠাৎই আমার গ্যারেজে এসে হাজির। দেখলাম, ভীষন মদ খেয়েছে। গা দিয়ে ভড়ভড় করে মদের গন্ধ বেরোচ্ছে। সাধারণত পূজোর রাতে সবাই একটু ফুর্তি আল্লাদ করে। গ্যারেজে বসে আমিও তখন একটু বিলেতী মদ চাখছিলাম। দেখি ওই অবস্থায় হুড়মুড় করে আমার গ্যারেজে ঢুকে পড়েছে। আচমকা আমিও ওনাকে দেখে একটু সাবধান হয়ে গেছি। চারিদিকে বাজী ফাটছে। আলোর রোশনাই। তারমধ্যে শব্দবাজীর তোড়ে ওনার কথাও ভাল করে শুনতে পাচ্ছি না। আমাকে মদ খেতে দেখে উনিও বললেন, খাও খাও। লজ্জ্বা কিসের? মদ তো আমিও খেয়েছি। তবে তোমার কাছে এলাম অন্য কারণে। আমার একটা উপকার করবে?
আমি বললাম কি উপকার বলুন?
প্রিয়া ম্যাডামের স্বামী রাহুল স্যার বললেন, বুবাই, তোমার কাছে লোহার রড আছে?
চমকে উঠলাম কথাটা শুনে। লোহার রড? কি করবেন রড দিয়ে?
আমাকে ভয় পাইয়ে দেবার মতন করে মাতাল লোকটা বলে উঠল। বউকে মারবো। ওকে খুন করব আজকে। মাথায় রড মেরে মাথা ফাটিয়ে দেব।
কথাটা শুনে আমার প্রায় আঁতকে ওঠার মতন অবস্থা। এ লোকটা বলে কি? নিজের হাতে বউকে খুন করবে? মাথা খারাপ হল নাকি?
কিছুতেই দেখি তাকে শান্ত করা যায় না। যতই বলছি। কেন বউদির সাথে কি রাগারাগি হয়েছে? আপনি এরকম ভাবে বলছেন কেন? প্রিয়া ম্যাডাম তো খুবই ভাল। উনি আপনার স্ত্রী। আপনাকে ভালবাসেন। আর আপনি বলছেন তাকে খুন করবেন? এ আবার কি রকম কথা?আমাকে দাঁতমুখ খেঁচিয়ে রাহুল স্যার এবার গালাগালি দিতে শুরু করল। ইচ্ছা করছিল লোকটাকে তখনই কেলিয়ে দিই। কিন্তু আমি দাঁতে দাঁত চেপে সব সহ্য করছিলাম। ওনাকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম। তাও দেখি কিছুতেই আমার কথা শুনছে না। ওই পূজোর রাতেই ও বউকে শেষ করবেই।
কেন জানি না আমার ভীষন মায়া হল প্রিয়া ম্যাডামের প্রতি। অত সুন্দর বউটাকে এই হতচ্ছাড়াটা বলছে খুন করবে? এতখানি সাহস? দেখি কি করে ও বউয়ের গায়ে হাত লাগায়?
রাগ দেখিয়ে বললাম, শুনুন। চুপচাপ এখান থেকে চলে যান। আপনাকে দেখে তো ভালমানুষ ভেবেছিলাম। কিন্তু আপনি দেখছি একটা ছোটলোক মার্কা লোক। বউকে খুন করবেন, সেটা আবার বাহাদুরী করে আমার কাছে বলতে এসেছেন? থানায় ফোন করে আপনাকে পুলিসে ধরিয়ে দেব।
সত্যিই ক্রমশ ছোটলোকের মতনই আচরণ শুরু করেছে লোকটা। এবার আমার বাপ মা তুলে আমাকে খিস্তিখেউর করে বলল, মেয়েছেলে দেখলেই বুঝি তোর ধোন আপনা আপনি খাঁড়া হয়ে যায়? আমার বউকে লাগানোর আগে কটা ভদ্রলোকের বউকে লাগিয়েছিস তুই? প্রিয়া কি তোর চরিত্র সন্মন্ধে জানে?
আমার সন্মন্ধে এই ধরণের কটু উক্তি আগে কেউ কোনদিন করেনি। আমি প্রিয়া ম্যাডামকে কোনদিন সেভাবে দেখিনি। উনিও ওনার স্বামীর সন্মন্ধে খারাপ কথা আমাকে বলেননি। কিন্তু কি এমন ঘটনা ঘটেছে যারজন্য এত কান্ড? আমার চরিত্র নিয়েও আমাকে টানা হ্যাচড়া করা হচ্ছে। আমি কি ওনার বউয়ের সাথে সত্যিই কিছু করেছি না কি?
এবার আমিও পাল্টা জবাব দিয়ে বললাম,মুখ সামলে কথা বলুন। আর আমাকে জড়িয়ে এসব বাজে কথা বলবেন না। ঘরের কেচ্ছা ঘরেই রাখুন। এসব আমাকে শোনাতে আসছেন কেন?
মুখখানা ব্যাজার করে হিংস্র মনোভাব দেখিয়ে সেই একই সুরে আমাকে বলল, হ্যাঁ। হ্যাঁ তোকে বলে আমার লাভকি? বউতো কত কেচ্ছাই ঘটিয়ে বেড়াচ্ছে আমার অবর্তমানে। সব কি আমার নজরে আসে? কিন্তু আজ আমার চোখ খুলে গেছে। ওই বউকে আমি খুন করবই। আজই ওকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবো।
বেগতিক দেখে আমি এবার মনটা নরম করে ফেললাম। ওনাকে ভালভাবে বোঝানোর চেষ্টা করতে লাগলাম। রাহুল স্যারকে বললাম, আপনি প্লীজ আমার কথা শুনুন। মাথাটাকে একটু ঠান্ডা করুন। আপনার আর বউদির মধ্যে যদি সত্যি কোন ঝগড়াঝাটি হয়ে থাকে। তাহলে আমি বলছি খুব সহজেই ওটা মিটে যাবে। আপনি অকারণে মাথা গরম করবেন না। আর ভালভাবে ঘরে ফিরে যান। বউদি হয়তো আপনার জন্যই ঘরে অপেক্ষা করছে। আপনাকে সে সত্যিই ভালবাসে। কেন এমন ছেলেমানুষি করছেন? আর আমার সাথে বউদির কোন খারাপ সম্পর্ক নেই। আপনি মাঝে মাঝে এখানে আসেন। বউদিকে আপনার সাথে দেখেছি। তাই বউদিকে আপনার স্ত্রী হিসেবে চিনি। আমি কবার গেছি আপনাদের ফ্ল্যাটে? গুনে বলতে পারবেন?
লোকটা যেন মদের নেশা কেটে যাওয়ার মতন আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এল। আমার কথা শুনে বলল, ঠিক আছে আজকে তোমার কথা মতন আমি মত পরিবর্তন করলাম। কিন্তু আবার যদি মাথায় রক্ত চড়ে যায় তাহলে কিন্তু সত্যি সত্যিই আমি কিছু করে ফেলব।
তখনকার মতন রাহুল স্যারের প্রস্থান। আর আমি হাঁফ ছেড়ে বেঁচে মদের গ্লাসটা হাতে নিয়ে শেষ চুমুকটুকু দেবার আগে ভাবছি। চলে তো গেল শেষ পর্যন্ত মাথা ঠান্ডা করে। কিন্তু সত্যিই কি ও বউকে আজ রেহাই দেবে? নাকি রাহুল স্যারের পেছন পেছন ওনাকে অনুসরণ করে আমিও ওনার বাড়ী গিয়ে দেখব। কি ঘটেছিল আর কিইবার ঘটতে চলেছে ব্যাপারটা।বুবাইয়ের কথা শুনে আমি বেশ ভয় পেয়ে গেছি। সত্যিই লোকটা কি বউকে শেষ পর্যন্ত রেহাই দেবে? আমার তখন আসল ঘটনাটা শোনার জন্য তর সইছে না। বেশ কৌতূহল নিয়ে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুই কি করলি? লোকটার পেছন পেছন গেলি?
বুবাই বলল, যেতে আমি বাধ্য হলাম। কারণ আমার রাহুল স্যারকে ঠিক ভরসা হচ্ছিল না। কথা তো শেষ পর্যন্ত দিয়ে গেল লোকটা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি বউকে সত্যি সত্যি-
আমি অধৈর্য হয়ে ওকে বললাম, কি হল তাড়াতাড়ি বল। আমার তর সইছে না।
বুবাই একটা সিগারেট ধরালো। আমাকে বলল, ম্যাডামের ওপর সেইসময় খুব মায়া হচ্ছিল। আমি জানি খারাপ কিছু হলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। সব যেনে শুনে আমি ম্যাডামকে রক্ষা করতে যাইনি। ওই মাতালটার হাত থেকে তাকে বাঁচাতে পারিনি।
আমি বললাম, বল না তারপর কি হল?
বুবাই বলল, রাহুল স্যার তখন বেশ কিছুটা দূরে চলে গিয়েছে। আমি একটু দূরত্ব বজায় রেখে ওনার পেছন পেছন যাচ্ছি। বেশ কিছুটা যাবার পরই দেখলাম ও হঠাৎ পিছু ফিরল। আমি তাড়াতাড়ি একটা লাইট পোষ্টের আড়ালে চলে গেলাম।
আমি বললাম, তারপর?
বুবাই বলল, আমি আড়াল থেকে দেখছি, কি যেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে লোকটা। আমার বেশ ভয় ধরে গেল। চিন্তার উদ্রেক। আবার কি মত পরিবর্তন করল না কি লোকটা? তারপর একটা সিগারেট ধরালো। হঠাৎই উল্টোদিক থেকে একটা ট্যাক্সি আসছিল। সেটাকে দাঁড় করালো। তারপর ট্যাক্সিওয়ালাকে অঙ্গভঙ্গী করে কিসব বলল। তারপর ট্যাক্সিতে উঠে পড়ল। নিমেষে চোখের সামনে থেকে হাওয়া।
আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হতভম্বের মতন ভাবছি এই এত রাতে আবার গেল কোথায় লোকটা? এত মদ গিলেও এখনও আঁশ মেটেনি?
আমি বললাম, তারপর?
বুবাই বলল, তুই সেই সময় আমার কথা চিন্তা কর বাপ্পা। আমার কি অবস্থা। একদিকে ভাবছি তাহলে আর ফলো করে কি হল? আসল কালপ্রিটই তো পালিয়ে গেল। আবার ভাবছি মাঝরাতে দুটো আড়াইটে নাগাদ হয়তো লোকটা আবার ফিরবে। তখন একেবারে বেসামাল থাকবে। মদের ঘোরে কি তখন করে বসবে? ইস এখন যদি ও বাড়ীতে ফিরত। তাহলে আমি কিছুটা নিশ্চিন্ত হতাম।
আমার মাথা কাজ করছে না। চোখ দুটো এদিকে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রীতিমতন টলছি। কোনমতে চিন্তা করলাম। নাহ ম্যাডামকে সব কথা জানানো দরকার। ওনাকে সাবধান করে দিতে হবে। এতে যদি ম্যাডাম আমাকে খারাপ ভাবে ভাবুক। আমি তো ওনার কোন ক্ষতি করতে চাইনি। স্বামী যে আমার গ্যারেজে গিয়েছিল আমাকে শাঁসিয়ে গেছে, ম্যাডামের কাছে তা পুরোপুরি ফাঁস করে দেব। যাতে উনিও সাবধান হতে পারে। ঠিক করলাম শুধু এইটুকু বলেই আমি ওখান থেকে চলে আসব। আর কোনদিন এদিকের ছায়াও মারাতে আসব না।
আমি বললাম, তুই কি করলি? শেষ পর্যন্ত গেলি?
বুবাই বলল, হ্যাঁ। তখন ম্যাডামের ঘরের সামনেও বাজী পটকার আওয়াজে টেকা যাচ্ছে না। বেশ কয়েকটা ছেলে রাস্তায় তুবড়ী জ্বালাচ্ছে। আমি পাশ কাটিয়ে গেলাম। দরজার সামনে গিয়ে কলিং বেল টিপছি। ভেতর থেকে ম্যাডাম বলে উঠল, কে?
বাইরে থেকে আমি বললাম, আমি বুবাই। একটু দরজাটা খুলবেন?আমার গলার আওয়াজ শুনে প্রথমে বুঝতে পারেননি। তারপর দরজাটা খুলে আমাকে বললেন, বুবাই তুমি? কি ব্যাপার? এত রাত্রে?
আমি একটু নার্ভাস হয়ে গেছি। বললাম, না মানে-
ম্যাডাম বললেন, কেন কিছু হয়েছে? এই সময় তুমি আসবে আমি তো আশা করিনি। বুঝতে পারলাম গা দিয়ে মদের গন্ধ বেরোচ্ছে দেখে উনি বোধহয় তিতি বিরক্ত। তাও আমাকে বললেন, আমি এখনও জেগে বসে আছি আমার স্বামীটার জন্য। কোথায় গেছে কে জানে? সেই বলে গেল সন্ধেবেলাতেই ফিরবে। এখনও তো তার দেখা নেই।
আমি যেন এবার একটু বল ভরসা পেলাম। ম্যাডামকে বললাম, আপনার স্বামী এখন ফিরবে না। সে আবার চলে গেছে।
ম্যাডাম অবাক হয়ে বললেন, চলে গেছে? কোথায়?
আমি বললাম, এইমাত্র ট্যাক্সি করে দেখলাম, কোথায় না জানি চলে গেল।
ম্যাডাম অবাক হয়ে বললেন, কোথায় দেখলে তুমি?
আমি যে রাহুল স্যারের পিছু নিয়েছি সে কথাটা আর বলতে পারছি না। তবুও নিজের ইতস্তত ভাবটাকে দূর করে ওনাকে বললাম, আপনি ভীষন সরল ম্যাডাম। আপনার স্বামীকে আপনি এখনও চেনেন নি।
ম্যাডাম এবার একটু রেগে গেলেন। আমাকে বললেন, কি বলছ যাতা কথা? তোমার হোশ ঠিক আছে?
বললাম, সবই ঠিক আছে ম্যাডাম। সাধে কি আপনার কাছে এত রাত্রে এসেছি। আপনার জীবন আর নিরাপদ নয়।
ম্যাডাম অবাক হয়ে বললেন, মানে?
আমি বললাম, রাহুল স্যার আপনাকে খুন করবে বলেছেন। উনি একটু আগেই আমার গ্যারেজে গিয়েছিলেন। দেখলাম ভীষন রাগ আপনার ওপর। আমি কিছুতেই ঠান্ডা করতে পারছিলাম না। অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে রাজী করালাম। তারপরই এত রাত্রে ট্যাক্সি ধরে উনি আবার কোথায় চলে গেলেন।
বুবাই বলল, ম্যাডামকে কথাটা বলার পরই বুঝতে পারছি। ওনার পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। স্বামীকে ভগবানের আসন থেকে নামিয়ে এনে কি আসনে বসাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। গ্যারেজের ঘটনাগুলো একটার পর একটা বলে যাবার পর দেখলাম ওনার চোখে জল।
বুবাইয়ের কথা শুনে আমি বললাম, ম্যাডাম তখন কাঁদছিলেন?
বুবাই বলল, হ্যাঁ। আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলেন ভেতরে। আমাকে বললেন, বুবাই আমাকে একটু বিষ এনে দিতে পারো? আমি এমনি মরতে চাই।
ম্যাডামের কথা শুনে আমিও কিছুটা বিহ্বল হয়ে পড়েছি। কেন এমন নির্দয় হয়ে উঠেছেন রাহুল স্যার। তাও বুঝতে পারছি না। ম্যাডামকে সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। শুধু ওনার কাছ থেকে কৌতূহল বশে আসল কথাটা জানবার তাগিদে বলে বসলাম, কি হয়েছিল? কোন ঝগড়া ঝাটি হয়েছিল আপনাদের মধ্যে? রাহুল স্যার হঠাৎই এরকম আচরণ শুরু করলেন কেন?
ম্যাডাম বলতে শুরু করলেন, বুবাই সব কথা সবাইকে বলা যায় না। তাও আমি তোমাকে বলছি। একটা পুরুষ মানুষ যদি শারীরিক দিয়ে অক্ষম হয়। তাহলে কি তার বীরত্ব দেখানো সাজে? এত গর্জন হুঙ্কার এসব কিসের জন্য? শোবার সময় যার শরীরে উত্তেজনার রেশটুকু খুঁজে পাওয়া যায় না। ধমনী শিরায় রক্ত চলাচল করে না। দেহটাকে অসাঢ় করে শুধু পড়ে থাকে। একবার শুলেই কুম্ভকর্ণের মতন নাক ডাকিয়ে ঘুম। স্বামী হয়ে স্ত্রী কে চরম সুখ দিতে যে অক্ষম। তাকে আমি এত কিছুর পরেও কিন্তু মন থেকে মানিয়ে নিয়েছি। দূরে ফেলে দিই নি। হাজার হলেও সে আমার স্বামী। শত ভুল থাকলেও আমাকেই তাকে ক্ষমা করে দিতে হবে। কিন্তু এত স্যাকরিফাইশ করেও সে এরকম?
বুবাইয়ের মুখ থেকে ম্যাডামের আফসোসের কথা শুনে আমি বললাম, সত্যি ম্যাডাম কি ভাল নারে বুবাই। আমিই ম্যাডামকে ভুল বুঝেছিলাম।
ম্যাডাম বললেন, কেন কিছু হয়েছে? এই সময় তুমি আসবে আমি তো আশা করিনি। বুঝতে পারলাম গা দিয়ে মদের গন্ধ বেরোচ্ছে দেখে উনি বোধহয় তিতি বিরক্ত। তাও আমাকে বললেন, আমি এখনও জেগে বসে আছি আমার স্বামীটার জন্য। কোথায় গেছে কে জানে? সেই বলে গেল সন্ধেবেলাতেই ফিরবে। এখনও তো তার দেখা নেই।
আমি যেন এবার একটু বল ভরসা পেলাম। ম্যাডামকে বললাম, আপনার স্বামী এখন ফিরবে না। সে আবার চলে গেছে।
ম্যাডাম অবাক হয়ে বললেন, চলে গেছে? কোথায়?
আমি বললাম, এইমাত্র ট্যাক্সি করে দেখলাম, কোথায় না জানি চলে গেল।
ম্যাডাম অবাক হয়ে বললেন, কোথায় দেখলে তুমি?
আমি যে রাহুল স্যারের পিছু নিয়েছি সে কথাটা আর বলতে পারছি না। তবুও নিজের ইতস্তত ভাবটাকে দূর করে ওনাকে বললাম, আপনি ভীষন সরল ম্যাডাম। আপনার স্বামীকে আপনি এখনও চেনেন নি।
ম্যাডাম এবার একটু রেগে গেলেন। আমাকে বললেন, কি বলছ যাতা কথা? তোমার হোশ ঠিক আছে?
বললাম, সবই ঠিক আছে ম্যাডাম। সাধে কি আপনার কাছে এত রাত্রে এসেছি। আপনার জীবন আর নিরাপদ নয়।
ম্যাডাম অবাক হয়ে বললেন, মানে?
আমি বললাম, রাহুল স্যার আপনাকে খুন করবে বলেছেন। উনি একটু আগেই আমার গ্যারেজে গিয়েছিলেন। দেখলাম ভীষন রাগ আপনার ওপর। আমি কিছুতেই ঠান্ডা করতে পারছিলাম না। অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে রাজী করালাম। তারপরই এত রাত্রে ট্যাক্সি ধরে উনি আবার কোথায় চলে গেলেন।
বুবাই বলল, ম্যাডামকে কথাটা বলার পরই বুঝতে পারছি। ওনার পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। স্বামীকে ভগবানের আসন থেকে নামিয়ে এনে কি আসনে বসাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। গ্যারেজের ঘটনাগুলো একটার পর একটা বলে যাবার পর দেখলাম ওনার চোখে জল।
বুবাইয়ের কথা শুনে আমি বললাম, ম্যাডাম তখন কাঁদছিলেন?
বুবাই বলল, হ্যাঁ। আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলেন ভেতরে। আমাকে বললেন, বুবাই আমাকে একটু বিষ এনে দিতে পারো? আমি এমনি মরতে চাই।
ম্যাডামের কথা শুনে আমিও কিছুটা বিহ্বল হয়ে পড়েছি। কেন এমন নির্দয় হয়ে উঠেছেন রাহুল স্যার। তাও বুঝতে পারছি না। ম্যাডামকে সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। শুধু ওনার কাছ থেকে কৌতূহল বশে আসল কথাটা জানবার তাগিদে বলে বসলাম, কি হয়েছিল? কোন ঝগড়া ঝাটি হয়েছিল আপনাদের মধ্যে? রাহুল স্যার হঠাৎই এরকম আচরণ শুরু করলেন কেন?
ম্যাডাম বলতে শুরু করলেন, বুবাই সব কথা সবাইকে বলা যায় না। তাও আমি তোমাকে বলছি। একটা পুরুষ মানুষ যদি শারীরিক দিয়ে অক্ষম হয়। তাহলে কি তার বীরত্ব দেখানো সাজে? এত গর্জন হুঙ্কার এসব কিসের জন্য? শোবার সময় যার শরীরে উত্তেজনার রেশটুকু খুঁজে পাওয়া যায় না। ধমনী শিরায় রক্ত চলাচল করে না। দেহটাকে অসাঢ় করে শুধু পড়ে থাকে। একবার শুলেই কুম্ভকর্ণের মতন নাক ডাকিয়ে ঘুম। স্বামী হয়ে স্ত্রী কে চরম সুখ দিতে যে অক্ষম। তাকে আমি এত কিছুর পরেও কিন্তু মন থেকে মানিয়ে নিয়েছি। দূরে ফেলে দিই নি। হাজার হলেও সে আমার স্বামী। শত ভুল থাকলেও আমাকেই তাকে ক্ষমা করে দিতে হবে। কিন্তু এত স্যাকরিফাইশ করেও সে এরকম?
বুবাইয়ের মুখ থেকে ম্যাডামের আফসোসের কথা শুনে আমি বললাম, সত্যি ম্যাডাম কি ভাল নারে বুবাই। আমিই ম্যাডামকে ভুল বুঝেছিলাম।
বুবাই বলল, তোর হয়তো বুঝতে ভুল হয়েছে। আমার কিন্তু মোটেই বুঝতে ভুল হয়নি ওই মহিলাকে। উনি এতদিন ধরে স্বামীকে সহ্য করে যাচ্ছিলেন নীরব থেকে। ভদ্রমহিলা যথেষ্ট ভাল। সেইজন্যই না-
আমি বললাম, কি সেইজন্য? উনি কি তোকে প্রপোজ করে ফেললেন?
বুবাই বলল, দূর বোকা। আমি একটা গ্যারেজ চালাই। আমার ক্লাস হল নীচু ক্লাস। উনি কত উচ্চবিত্ত মহিলা। তাছাড়া আমার সঙ্গে ওনার একটা বয়সেরও পার্থক্য আছে। উনি আমাকে প্রপোজ করবেন? তুই কি পাগল হলি?
আমি বললাম, তাহলে?
বুবাই বলল, চেয়ারে বসে উনি দেখি ঠকঠক করে কাঁপছেন। দুশ্চিন্তায় ভরা মন। আতঙ্কে কপাল ক্রমশ ঘেমে যাচ্ছে। কি করি? কি করি? বারবার শুধু এই কথাই বলে যাচ্ছেন। আমারও ওনাকে দেখে ভীষন অস্বস্তি হতে লাগল।
আমি বললাম, তারপর?
বুবাই বলল, ম্যাডাম আমাকে বললেন, একটা কাজ করবে বুবাই? ও নিশ্চই আরো রাত্রি করে ফিরবে। তোমারো এখানে থাকাটা নিরাপদ নয়। এসে যদি দেখে তুমি এখানে বসে আছো। আরো হিতে বিপরীত হবে। সমস্ত রাগটা গিয়ে পড়বে তোমার ওপর। তার চেয়ে তুমি বরং-
ম্যাডামকে সেই সময় বাঁধা দিয়ে আমি বললাম, কিন্তু এ অবস্থায় আপনাকে ফেলে আমি যাব কি করে? উনি তো স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। এসে যদি আপনার ক্ষতি করবার চেষ্টা করে?
ম্যাডাম বলল, কি আর করবে? আমাকে খুন করবে? আমি না হয় প্রাণটা বিসর্জন দেবো। বেঁচে থেকেই বা সুখ কি? আমি তো তাকে কতবার বলেছি ডাক্তার দেখাতে। শরীরের দূর্বলতা দূর করতে। কথা না শুনে সে যদি আমারই ক্ষতি করবার চেষ্টা করে। আমারই বা করবার কি আছে বলো?
উনি কিছুতেই আমার কথা শুনছেন না। বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছি। শুধু বলছেন, না তুমি চলে যাও। ও আমি সামলে নেব। আসুক না লোকটা। দেখি কি করে ও আমার সঙ্গে?
নাছোড়বান্দার মতন আমিও জিদ ধরে বসে আছি। ম্যাডামও কথা শুনছেন না। ঠিক সেইসময়ই বাইরের দরজায় পড়ল টোকা। দুবার কলিংবেলের আওয়াজ। বাইরে থেকে রাহুল স্যারের গলা। চেঁচিয়ে বলছেন, প্রিয়া তাড়াতাড়ি দরজা খোলো। আমি ভীষন টায়ার্ড হয়ে বাড়ী ফিরে এসেছি।এইতো কিছুক্ষণ আগে ট্যাক্সি করে কোথায় যেন গেল লোকটা। এরমধ্যেই ফিরে এল? কি হবে এখন? ভেবে আমি টেনশনে কাঁপতে শুরু করেছি। প্রিয়া ম্যাডাম আস্বস্ত করলেন। বললেন, এসে যদি দেখে তুমি ঘরে বসে আছ, তুমুল কান্ড বাঁধাবে। কেলেঙ্কারী ঘটে যাবে। তার চেয়ে তুমি বরং স্টোর রুমে চলে যাও। আমার এই ফ্ল্যাটে একটা স্টোর রুম আছে। রাহুল খুব একটা সেখানে যায় না। খুব তাড়াতাড়ি যা করার করতে হবে। ও ঘরে ঢোকার আগেই লুকিয়ে পড়তে হবে। রাহুল নেশা করে রয়েছে। ওর সব রাগ এখন তোমার ওপর গিয়ে পড়তে পারে।
রাত দুপুরে ম্যাডাম আমাকে নিয়ে এখন বিপদে পড়েছেন। কি দরকার ছিল? পরপোকারী হয়ে ম্যাডামকে সাবধান করতে আসার? নেশা হয়ে গেলে মানুষ সবকিছুতেই একটু বাড়াবাড়ি শুরু করে। ভেবে দেখলাম, রাহুল স্যার অতিরিক্ত যেটা করেছে নেশায় টালমাটাল হয়ে, আমিও বাড়াবাড়ি কিছু কম করিনি। আমার এখানে আসাটাই উচিৎ হয় নি।আমি বললাম, কি সেইজন্য? উনি কি তোকে প্রপোজ করে ফেললেন?
বুবাই বলল, দূর বোকা। আমি একটা গ্যারেজ চালাই। আমার ক্লাস হল নীচু ক্লাস। উনি কত উচ্চবিত্ত মহিলা। তাছাড়া আমার সঙ্গে ওনার একটা বয়সেরও পার্থক্য আছে। উনি আমাকে প্রপোজ করবেন? তুই কি পাগল হলি?
আমি বললাম, তাহলে?
বুবাই বলল, চেয়ারে বসে উনি দেখি ঠকঠক করে কাঁপছেন। দুশ্চিন্তায় ভরা মন। আতঙ্কে কপাল ক্রমশ ঘেমে যাচ্ছে। কি করি? কি করি? বারবার শুধু এই কথাই বলে যাচ্ছেন। আমারও ওনাকে দেখে ভীষন অস্বস্তি হতে লাগল।
আমি বললাম, তারপর?
বুবাই বলল, ম্যাডাম আমাকে বললেন, একটা কাজ করবে বুবাই? ও নিশ্চই আরো রাত্রি করে ফিরবে। তোমারো এখানে থাকাটা নিরাপদ নয়। এসে যদি দেখে তুমি এখানে বসে আছো। আরো হিতে বিপরীত হবে। সমস্ত রাগটা গিয়ে পড়বে তোমার ওপর। তার চেয়ে তুমি বরং-
ম্যাডামকে সেই সময় বাঁধা দিয়ে আমি বললাম, কিন্তু এ অবস্থায় আপনাকে ফেলে আমি যাব কি করে? উনি তো স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। এসে যদি আপনার ক্ষতি করবার চেষ্টা করে?
ম্যাডাম বলল, কি আর করবে? আমাকে খুন করবে? আমি না হয় প্রাণটা বিসর্জন দেবো। বেঁচে থেকেই বা সুখ কি? আমি তো তাকে কতবার বলেছি ডাক্তার দেখাতে। শরীরের দূর্বলতা দূর করতে। কথা না শুনে সে যদি আমারই ক্ষতি করবার চেষ্টা করে। আমারই বা করবার কি আছে বলো?
উনি কিছুতেই আমার কথা শুনছেন না। বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছি। শুধু বলছেন, না তুমি চলে যাও। ও আমি সামলে নেব। আসুক না লোকটা। দেখি কি করে ও আমার সঙ্গে?
নাছোড়বান্দার মতন আমিও জিদ ধরে বসে আছি। ম্যাডামও কথা শুনছেন না। ঠিক সেইসময়ই বাইরের দরজায় পড়ল টোকা। দুবার কলিংবেলের আওয়াজ। বাইরে থেকে রাহুল স্যারের গলা। চেঁচিয়ে বলছেন, প্রিয়া তাড়াতাড়ি দরজা খোলো। আমি ভীষন টায়ার্ড হয়ে বাড়ী ফিরে এসেছি।এইতো কিছুক্ষণ আগে ট্যাক্সি করে কোথায় যেন গেল লোকটা। এরমধ্যেই ফিরে এল? কি হবে এখন? ভেবে আমি টেনশনে কাঁপতে শুরু করেছি। প্রিয়া ম্যাডাম আস্বস্ত করলেন। বললেন, এসে যদি দেখে তুমি ঘরে বসে আছ, তুমুল কান্ড বাঁধাবে। কেলেঙ্কারী ঘটে যাবে। তার চেয়ে তুমি বরং স্টোর রুমে চলে যাও। আমার এই ফ্ল্যাটে একটা স্টোর রুম আছে। রাহুল খুব একটা সেখানে যায় না। খুব তাড়াতাড়ি যা করার করতে হবে। ও ঘরে ঢোকার আগেই লুকিয়ে পড়তে হবে। রাহুল নেশা করে রয়েছে। ওর সব রাগ এখন তোমার ওপর গিয়ে পড়তে পারে।
প্রিয়া ম্যাডামের কথামতন তাড়াতাড়ি স্টোর রুমে ঢুকে পড়লাম। ভেতর থেকে দরজাটাও লাগিয়ে দিলাম। ম্যাডাম তার আগে আমার চটি জোড়া সরিয়ে দিল। যাতে উনার স্বামী ঘরে ঢুকে কিছু বুঝতে না পারেন।
রাহুল স্যার ঘরে ঢুকলেন। আমি স্টোর রুমের ভেতর থেকে ওনাদের গলার আওয়াজ স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি। রাহুল স্যার চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে প্রিয়া ম্যাডামকে বলছেন, ডারলিং, তুমি কি ভাবো? আমি চুদতে তোমাকে অক্ষম? এই বান্দার বীচি খাঁড়া হয় না? আজ তোমাকে আমি দেখাব, চোদা কাকে বলে?
বুবাইয়ের কথা শুনে আমি বললাম, বলিস কি? এভাবে বলল?
বুবাই বলল, উনি ভাবছেন, মদ খেয়ে শরীরে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করেছেন। আসলে সেটা তো একেবারেই নয়। বউকে কেরামতি আর বাহাদুরী মুখে বলে কিছু হয় না। সব লম্ফ ঝম্প বিছানায় ওঠার পরেই শেষ।
আমি বললাম, ম্যাডাম শুনে কি বলল?
বুবাই বলল, ম্যাডাম তো জানেন, উনি এসব কিছুই করে উঠতে পারবেন না। বিছানায় ওনার কতটা শক্তি বিদ্যমান। ম্যাডামের সেটা আগেই পরখ করা হয়ে গেছে। তবুও স্বামীর মন রাখতে প্রিয়া ম্যাডাম বললেন, আমাকে না বলে কোথায় চলে গিয়েছিলে তুমি? আমি কি তোমায় খারাপ কিছু বলেছি? শুধু একটু ডাক্তার দেখানোর কথা বললাম, তাতেই তুমি এত চটে গেলে? চলো ঘরে চলো। আর এসব করতে হবে না। আমাকে কোন শক্তি তোমায় দেখাতে হবে না।
বুবাইকে আমি বললাম, তারপর?
বুবাই বলল, আচ্ছা বাপ্পা। তুই কোনদিন নরনারীর মিলন খেলা দেখেছিস? নিজের একেবারে সচক্ষে। খুব সামনে থেকে।
আমি বললাম, তাহলে তো অন্যের ঘরে উঁকি মারতে হয়। সেটা কি করে সম্ভব?
বুবাই বলল, কিন্তু ঘরের মধ্যে থেকেই সেই সুযোগটা খুব কাছ থেকে আসে, তখন মনে হয় না? দেখি না একটু আড়াল থেকে। কিভাবে স্বামী তার স্ত্রীর মধ্যে প্রবেশ করে? কিভাবে দুজনে তৃপ্ত হয়? রাগমোচন হয়? শুনেছিলাম বীর্যপাতের মত সুখ নাকি আর কিছুতে নেই। আমি সেই মূহুর্তগুলো খুব কাছ থেকে দেখতে চাই। কাকে বলে চরম সুখ? আমি জানতে চাই। আদৌ রাহুল স্যার শেষ পর্যন্ত সাকসেস হতে পারলেন কিনা সেটাও আমি জানতে চাই।আমি বললাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত উনি কি সফল হতে পারলেন?
বুবাই বলল, সেগুড়ে বালি। তাহলে তো হয়েই যেত। ম্যাডাম যে ওনার সন্মন্ধে সত্যি কথাটাই বলেছেন, সেটা এবারে আমি হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারলাম।
আমি বললাম, তারপরে কি হল?
বুবাই বলল, সত্যি লোকটা সুন্দরী বউকে গাথন দিতে একেবারেই অক্ষম। আমি একেবারে চোখের সামনে থেকে দেখলাম, সেই অসফলতার কীর্তি। বিছানায় বউকে নিয়ে জাপটা জাপটি করে কত চেষ্টাই না করল। তারপরে একেবারে কেলিয়ে পড়ল। আমার সব আশায় লোকটা জল ঢেলে দিল।
বুবাইকে বললাম, তুই কি দেখলি?
বুবাই বলল, ম্যাডাম রাহুলস্যারকে সাথে নিয়ে শোবার ঘরে ঢুকেছেন। স্বামীর তখন বউকে জড়িয়ে ধরে কত আদর। চুমু খাচ্ছে। গালে গাল ঘষছে। আমি দরজাটা একটু ফাঁক করে সব দেখতে পাচ্ছি।
বুবাইকে বললাম, যদি তোকে দেখতে পেয়ে যেত? এত বড় রিস্কটা নিলি কি করে?
বুবাই বলল, রিস্ক না নিলে সেদিন আর অত বড় ঘটনাটা ঘটত না। আমি কল্পনাতেও যা কোনদিন ভাবিনি। আমার জীবনে সেদিন তাই ঘটল।
বুবাইকে বললাম, কি রকম?
বুবাই বলল, ম্যাডামকে নিয়ে রাহুল স্যার তখন শোবার ঘরে ঢুকে গেছে। আমি পা টিপে টিপে স্টোর রুমের দরজাটা খুলে আসতে করে বাইরে বেরিয়ে এসেছি। শোবার ঘরের দরজাটার পাশেই একটা ছোট জানলা আছে। আমি একটা ছায়ামুর্তির মতন ওখানে গিয়ে দাঁড়ালাম। আড়াল থেকে দেখছি রাহুল স্যার এবার প্রিয়া ম্যাডামকে নিয়ে কি করেন? ম্যাডাম তখন গাউন পড়ে বিছানায় শুয়ে পড়েছেন। কাছে দাঁড়িয়ে রাহুল তখন একটা পায়জামা পড়ে নিয়েছে। পায়জামার দড়িটা হাত লাগিয়ে খুলতে লাগল। আমি নিশ্চিন্ত হলাম। পুরোটাই এবার দেখতে পাব। কেমন যেন আমিও তখন উত্তেজিত হতে শুরু করলাম। বুঝতে পারছি প্যান্টের ভেতরে আমারো যন্ত্রটা ক্রমশঃ ফুলতে শুরু করেছে। যা দেখলাম, পুরো অবাক হয়ে গেলাম। পাজামার দড়ি খুলে রাহুল স্যার যন্ত্রটা হাতে নিয়ে কচলাচ্ছেন। চেষ্টা করছেন ওটাকে টেনে লম্বা করার। কিন্তু কিছুতেই হচ্ছে না। ম্যাডাম এবার নগ্ন হয়ে বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে শুরু করেছেন। আমি দেখছি প্রিয়া ম্যাডামের মাখনের মত শরীরটা। উনিও যোনীতে আঙুল ঢুকিয়ে আত্মরতি করার চেষ্টা করছেন। রাহুল অধৈর্য হয়ে পড়েছে। কিছুতেই তার যন্ত্র সোজা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। জানলার পাশে দাঁড়িয়ে ভাবছি। হায় রে ঐশ্বর্য্যের মত শরীরটা। শেষ পর্যন্ত সুখটাই কি তাহলে পাবে না? প্রিয়া ম্যাডামের শরীরটা নিশ্চই জ্বলে যাচ্ছে এখন। এই রাহুল আর কি করবে? ও তো ধ্বজভঙ্গ। কচলে কচলে রাত কাবার হয়ে যাবে। কিছুতেই বউকে শেষ পর্যন্ত লাগাতে পারবে না।
আমি বললাম, পারলো কি ও?
বুবাই বলল, না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কত চেষ্টাই করল। কিছুতেই পারলো না। নগ্ন প্রিয়া ম্যাডামের শরীরটা দেখেও উনার ক্ষুদ্র লিঙ্গ ক্ষুদ্র অবস্থাতেই পড়ে রইল। ধপাস করে ম্যাডামের পাশে শুয়ে পড়ল। প্রিয়া ম্যাডামকে বলল, সরি প্রিয়া। আজকে আর হল না। দেখি কাল একবার চেষ্টা করব। বলেই পাশ ফিরে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমোতে শুরু করল।আমি বললাম, তোর অবস্থা তখন কি রকম?
বুবাই বলল, চোখের সামনে প্রিয়া ম্যাডামকে নগ্ন অবস্থায় দেখছি। আমার অবস্থাটা একবার বুঝতে পারছিস? চোখের সামনে এবার যা দৃশ্য দেখলাম। তোকে আমি ভাষায় বলে বোঝাতে পারব না। রাগে যন্ত্রণায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রিয়া ম্যাডাম তখন ওনার দুই স্তন হাত দিয়ে টিপছেন। বারে বারে স্বামীর দিকে তাকাচ্ছেন। কখনও আবার যোনীতে আঙুল ঢুকিয়ে নিজের উত্তেজনাকে সামাল দেবার চেষ্টা করছেন। বেশ রাগান্নিত হয়ে উনি স্বামীকে দূরছাই করা শুরু করেছেন। কিন্তু স্বামী তখন ঘুমে এতটাই আচ্ছন্ন। বৌয়ের কোন কথাই ওনার কানে ঢুকছে না।
আমি বললাম, কি বলতে শুরু করলেন প্রিয়া ম্যাডাম?
বুবাই বলল, শুনবি সেটা?
আমি বললাম, শোনার জন্যই তো বসে আছি। বল।
বুবাই বলতে লাগল, ম্যাডাম দু তিনবার ওনার গায়ে ঠেলা মারলেন। তাতে ওনার ঘুম জাগল না। বেশ রেগেমেগেই ম্যাডাম বলতে লাগলেন, মুরোদ তো নেই। আবার ছেলেটার কাছে গিয়ে শাসিয়ে এসেছ। আমাকে তুমি খুন করবে? তুমি কি জানো? সে আমার কথা কত চিন্তা করে? রাত বিরেতে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে আমার কাছেই সে চলে এসেছে। একটু আগে যাকে আমি স্টোর রুমে ঢুকিয়ে এসেছি। ও বোধহয় তোমার এত ক্ষমতা দেখলে ভীমরতি খেত। ওই ছেলেটার মধ্যেও যা আছে তোমার মধ্যে তার সিকিভাগও নেই। কেন তুমি আমার জীবনটাকে এভাবে নষ্ট করলে? কি তুমি প্রমান করতে চাও? যেটা নেই, সেটা নেই। অস্বীকার করে কোন লাভ আছে কি? ভেবে দেখেছ? কি দশা হবে তোমার এই সুন্দরী বউটার বাকী জীবনটা? একটা উশৃঙ্খল বদমেজাজী ধ্বজভঙ্গ লোক। তাকে বিয়ে করেছি আমি। ভাবতেও আমার কষ্ট হয়। আমি তোমাকে ঘেন্না করি রাহুল। আই হেট ইউ। আর নয়। যথেষ্ট হয়েছে। এবার আমি আমার মত জীবন কাটাবো। দেখবো কি করতে পারো তুমি। কি ক্ষমতা আছে তোমার? এই শরীরকে যখন সুখ দিতে পারো না। তখন চরম সুখকে আমি নিজেই আদায় করে নেব। আমি ভাল হতে চেষ্টা করেও তোমার কাছে ভাল হতে পারি না। আমি যখন তোমার চোখে খারাপ। তখন প্রিয়া আজ থেকে খারাপই হবে। শুয়ে থাকো। পরে মরে থাক এখানে। প্রিয়া কাল সকাল অবধি তোমাকে দেখতেও আসবে না।
আমি অবাক হয়ে শুনছি বুবাইয়ের কথা। বুবাইকে বললাম, তারপর?
বুবাই বলল, এরপরেও ম্যাডাম ঠাস ঠাস করে রাহুল স্যারের পিঠে দু তিনবার চড় কসালেন। তাতেও ওনার কোন হোঁশ ফিরল না। ম্যাডাম সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে খাটে বসে আছেন। ওই অবস্থায় বলে উঠলেন, ভেবেছিলাম, ছেলেটাকে তুমি আসার আগেই বাড়ী পাঠিয়ে দেব। না। এখন আর পাঠাবো না তো। তোমার উপস্থিতিতেই আমি পাশের ঘরে ওকে নিয়ে সুখ করব। এবার শুধু দেখো তুমি। আজ থেকে প্রিয়া ইজ টোটালি চেঞ্জ। কোনদিন ভুলেও প্রিয়া তোমাকে আর ডাক্তার দেখানোর কথা বলবে না। যাকে বলে কোন লাভ নেই। প্রিয়াও তার পেছনে আর সময় নষ্ট করবে না। আমি এখুনি যাচ্ছি বুবাইয়ের কাছে, স্টোর রুমে। সারারাত বুবাইকে নিয়ে এনজয় করব। ইউ সি, ওয়াট প্রিয়া ক্যান ডু।
উলঙ্গ অবস্থাতেই বিছানা থেকে উঠে পড়লেন। স্টোর রুমের দিকে ওই অবস্থায় হেঁটে যাচ্ছেন। আমার চোখ প্রায় ছানাবড়া। জানলার পাশে দাঁড়িয়ে আমি যে সবই শুনেছি আর দেখেছি, প্রিয়া ম্যাডাম বুঝতে পারেন নি। কি করব বুঝতে পারছি না। আমিও ভয়ে ভয়ে কেমন আড়ষ্ট হয়ে গেছি।কথা বলতে বলতেই বুবাইকে দেখলাম প্রচন্ড উত্তেজিত তখন। ম্যাডামের সঙ্গে ওর দৈহিক মিলন ঘটল কিনা আমিও তখন জানবার অপেক্ষায়। যতই হোক, স্বামীর প্রতি বিরূপ হয়ে উনি কি শেষপর্যন্ত এই দূঃসাহসিক কাজটা করতে পারলেন? ওনার করতে এটা খারাপ লাগল না?
বুবাই বলল, ভাবছিস, আমিও মোক্ষম একটা সুযোগ পেয়ে সুযোগের সদব্যবহার করলাম। তাইতো?
আমি বললাম, না তা ঠিক নয়। আসলে পুরোটা না শোনা অবধি আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। তবে উনি যে বেশ ডেসপারেট হয়ে উঠেছেন, সেটা তোর কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে।
বুবাই বলল, কেন জানিনা মানুষ হয়তো আবেগের বশে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত খুব সহজেই নিয়ে ফেলে। ভাল মন্দ চিন্তা করে না। পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে কিনা, সে নিয়েও ভাবে না। ভাবিয়া করিও কাজ। করিয়া ভাবিও না। এটাও অনেক সময় খাটে না।
আমি বললাম, তারপর কি হল বল?
বুবাই বলল, নগ্ন অবস্থায় ঘর থেকে বেরিয়ে এসে প্রিয়া ম্যাডাম তখন স্টোর রুমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, আর এদিকে যে আমি ওনারই পিছনে জানলার কাছে ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে রয়েছি ম্যাডামের খেয়াল নেই। ম্যাডাম দরজাটায় টোকা মারতে গিয়ে দেখলেন স্টোর রুমের দরজাটা খোলা। ভেতরে একবার উঁকি মারলেন, আমার নাম ধরে ডাকলেন। বুবাই? এই বুবাই কোথায় গেলে তুমি?
আমার তখন গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না। জানলার সামনে দাঁড়িয়ে চেঁচাতেও পারছি না। যদি না আবার উনার হাজব্যান্ডের ঘুম ভেঙে না যায়।
দুতিন বার ডেকেও সারা না পেয়ে উনি বলছেন, গেলো কোথায় ছেলেটা? এই বলে পেছন ফিরে তাকালেন। আর তখুনি চোখটা পড়ল গিয়ে জানলার দিকে। একটা ছায়ামূর্তী জানলার সামনে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। উনি বুঝেই নিলেন, ওটা আমি ছাড়া আর কেউ নয়।
-বুবাই? ওখানে দাঁড়িয়ে কি করছ? এসো এখানে। এসো বলছি।
আমি যেন শক্ত কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি। মুখে কথা নেই। যেন বোবা হয়ে গেছি।
ম্যাডাম আবারও বললেন, আমাকে খারাপ ভেবো না বুবাই। তুমি না যেচে আমার উপকার করতে এসেছিলে আজ রাত্রে? তাহলে এখন আমি ডাকছি। কাছে আসছ না কেন?
কোনরকমে গলা দিয়ে একটা আওয়াজ বেরিয়ে এল তখন। ম্যাডাম? আমি?
দূর থেকেই ম্যাডাম বললেন, তুমি কি? বাজে ছেলে? মোটেই তুমি তা নও। তুমি খুব ভাল ছেলে। আর তুমি ভাল ছেলে বলেই তোমাকে আমি কাছে ডাকছি। এসো কাছে এসো। লক্ষীটি কাছে এসো। আমি বলছি, তোমার কোন ভয় নেই।
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আমি যে ঠকঠক করে কাঁপছি, ম্যাডাম বুঝতে পারছেন না। উনি যে কি উদ্দেশ্যে আমাকে ডাকছেন আমার আগে থেকেই জানা। জীবনে এমন পরিস্থিতিতে এর আগে কোনদিন পড়িনি। শুধু একটা কথাই ভাবছি। আমারও তো দূর্নাম কেলেঙ্কারীর ভয় আছে। পরবর্তী কালে জানাজানি হয়ে যদি ব্যাপারটা সাত কান রটে যায়? বদনাম তো হবেই। গ্যারাজের ব্যবসাটাও শেষ পর্যন্ত চালাতে পারব না। উনি জেদের বশে এমনটি করতে চাইছেন। পরে যখন ওনার চেতনা ফিরবে। উনি নিজেও হয়তো বুঝতে পারবেন, কাজটা উনি ঠিক করেন নি। একটি অল্পবয়সী ছেলের সাথে উনার সত্যি একটা খারাপ বিষয় ঘটে গেছে।
No comments:
Post a Comment