Disclaimer : I Do not own any single content of this website.All the stories and pictures videos are taken from Internet using Google(.)com.If you have any complain against any content of this blog please comment or contact with me.If you are the writer then please mention and your profile URL of Forum.
ম্যাডাম আবারও ডাকলেন, বুবাই দেরী কোর না। এসো। তাড়াতাড়ি এসো।
আমি জানলার পাশে দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করছি ওনার স্বামী হঠাৎ বিছানাতে এপাশ ওপাশ করতে শুরু করেছেন। হঠাৎই যদি চোখ খুলে যায়। জেগে উঠে স্ত্রীকে বিছানায় না দেখেন। তারপরে আমি আবার জানলার ঠিক পাশেই তখন দাঁড়িয়ে। বুকদুটো তখনই দুরু দুরু করে উঠল আমার। পাছে প্রিয়া ম্যাডামের গলার স্বর শুনে ওনার স্বামী সব কিছু বুঝে না ফেলেন, এই ভেবে আমি প্রিয়া ম্যাডামের দিকে এগোতে লাগলাম। ম্যাডাম, একটু কাছে যেতেই আমার হাত ধরে আমাকে স্টোর রুমে প্রবেশ করালো। দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করলো। আবঝা আলোতেও ওনার উলঙ্গ শরীরটাকে খুব কাছ থেকে দেখছি। হাজার ওয়াটের কারেন্ট লাগছে গায়ে। ম্যাডামের হাত আমার শরীরকে স্পর্ষ করায় রোমাঞ্চ অনুভব করছি, সেই সাথে শিহরণও। মনের মধ্যে ওনার যেন কোন দ্বিধা নেই। এই মহিলাটিকে একটু আগেও আমি দেখেছি। কিন্তু এখন উনি সম্পূর্ণ অন্যরকম। মনের মধ্যে যে জেদটা পুষে রেখেছেন। শপথ নিয়েছেন। আজ উনি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন।
আমাকে বললেন, কি দেখছিলে জানলার পাশে দাঁড়িয়ে? আমি কিভাবে আমার স্বামীর সাথে সহবাস করি? তাই তো? আঁশ মিটল? মন ভরলো? মন ভরেনি। তাই তো? বিয়ের পর থেকে আমিও এভাবেই সহ্য করে আসছি ওই অপদার্থ মানুষটাকে। কিন্তু আজ আর নিজেকে সতী সাবিত্রী বানিয়ে রাখতে পারলাম না বুবাই। আজ আমার মনোস্কামনা গুলো আমি সব পূর্ণ করতে চাই। এক মহিলার শরীরেও কত জ্বালা যন্ত্রণা থাকে পুরুষ মানুষেরা বোঝে না। তারা মনে করে সুখটা হল পুরুষ কেন্দ্রীক। মহিলাদেরও যে সুখ পাবার সমান অধিকার আছে, সেটা তারা বোঝে না। এই অপদার্থ লোকটা প্রতি রাতে ঠিক এমনই করে এসেছে আমার সাথে। আমি মুখ বুজে সব সহ্য করেছি। তারপর অঝোরে কেঁদেছি সারারাত ধরে। মিলন অপূর্ণই রয়ে গেছে এতদিন ধরে। আমি আজ তাই আর কোন বাঁধা মানি না। এই সতী সাবিত্রীর তকমাটা গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাই। নিজের দোষকে স্বীকার করার মতন যার গার্ডস নেই। তাকে আমি এভাবেই শিক্ষা দিতে চাই। তুমিও নিজেকে খারাপ ভেবো না বুবাই। যা বলছি, আমার কথা মতন করো। ঘন্টা দুয়েক এভাবেই কেটে যাবে। ওই অপদার্থ রাহুল টেরও পাবে না।
আমার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে রয়েছে বুবাই। শুধু বলল, বাপ্পা। এরপর-
বুবাইকে বললাম, থামলি কেন? কি হল তারপরে? বল?
বুবাই বলল, ঠিক তখন কেমন একটা অপরাধ বোধে ভুগছি আমিও। মনে মনে ভাবছি, ম্যাডাম আমাকে জোর করছেন, অথচ আমি ভাবছি যতই হোক এ তো রাহুল স্যারকে ঠকানো হয়ে যাচ্ছে। হতে পারে, ম্যাডাম হয়তো আজ একটা মনোস্কামনা পূর্ণ করতে চাইছেন। কিন্তু আমিই বা ওনার সাথ দিই কি করে? রাহুল স্যার আমার কাছে গিয়েছিল আর এই স্ত্রীর কথাই আমার কাছে বারবার বলেছেন। শেষ পর্যন্ত আমি কিনা উনার স্ত্রীর সাথেই? না না এরকম কাজ করা ঠিক হবে না। আমি পাপী হয়ে যাব। উচিৎ কাজ হবে না এটা।
আমি বললাম, তাহলে কি?
বুবাই বলল, তাহলে কি? ভাবছিস, ম্যাডাম আমাকে জোর করল। তাই তো?
আমি বললাম, মনে তো হচ্ছে তাই।
বুবাই বলল, জোর করেননি উনি। আমিও করিনি। অথচ তারপরেই কেমন যেন সব হঠাৎই হয়ে গেল।
আমি বললাম, কিভাবে?
বুবাই বলল, বলছি।
আমি বুবাইয়ের চোখের ওপর থেকে চোখ সরাতে পারছি না। এমন একটা চরম অভিজ্ঞতা। বুবাই আমাকে তার সেদিনের ঘটে যাওয়া হঠাৎই সেই চরম সুখের কাহিনীর বর্ণনা করছে। মনে হল বুবাই আমাকে মনে হয় কিছু লুকোচ্ছে। সবটাই খুলে বলছে না। ম্যাডাম ওকে জোর করেননি। অথচ ও ম্যাডামের সঙ্গে দৈহিক কার্যাকলাপে লিপ্ত হল কোন রকম ইচ্ছে ছাড়াই। এ কি করে সম্ভব? বুবাই নিশ্চই কিছু একটা করতে চেয়েছে। নয়তো ম্যাডাম। দুজনের দুজনের প্রতি সন্মতি না থাকলে কি করে এটা ঘটা সম্ভব? আমার তো অবাস্তব মনে হচ্ছে।
বুবাই বলল, ম্যাডাম স্টোররুমের ভেতরে তখন আমার হাতটা ধরে আমাকে আরও কাছে টানার চেষ্টা করছেন। আমি এক ধাক্কা দিয়ে ওনাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বললাম, ছিঃ। এ আপনি কি করছেন? না না। এটা ঠিক নয়। আমি আপনার উপকার করতে এসেছি, তার মানে এই নয় আপনি আপনার সাধ পূরণ করবেন আমাকে নিয়ে। রাহুল স্যারের সাথে বেইমানি আমি করতে পারব না। উনি আপনার যোগ্য বা উপযুক্ত নন, সে কথা আমি মানছি। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন। লোকটা এখন মত্ত বেহুশ হয়ে অচৈতন্য অবস্থায় খাটে পড়ে রয়েছে। প্রথমে আমি তাই ভেবেছিলাম। কিন্তু একটু আগেই আমি ওনাকে দেখলাম, এপাশ ওপাশ করছেন। যদি চোখ খুলে আপনাকে পাশে দেখতে না পায়, কেলেঙ্কারী কান্ড ঘটে যাবে। উনি বিছানা থেকে উঠে স্টোর রুমের দিকে আসবেন। তারপর ঘরের মধ্যে যদি দেখেন, আমি আর আপনি। কি অবস্থা হবে বলুন তো? আপনি সব জেনেশুনে আমাকে বিপদে ফেলবেন? লোকে তো আপনাকে কিছু বলবে না। ছি ছি করবে আমাকে। এটাই বলবে, স্বামীর অক্ষমতার সুযোগ নিয়ে আপনার সাথে স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়েছি আমি। আমি গ্যারেজ চালিয়ে সামান্য কিছু অর্থ উপার্জন করি। সমাজের উঁচু স্তরের লোকেদের দিকে কেউ আঙুল তোলে না। কিন্তু আমরা যারা ছাপোসা গরীব। তাদেরকেই লোকে হ্যাটা করে। কেউ এটা দেখবে না, কি পরিস্থিতিতে কি ঘটনা ঘটেছিল? সবাই এটাই বুঝবে, ঘটনাটা ইচ্ছে করেই ঘটনো হয়েছে। তার প্রধান কান্ডারী হলাম আমি। আমিই রাতদুপুরে আপনাদের ফ্ল্যাটে এসে একটা নির্লজ্জ বেহায়াপনা কাজ করে বসে আছি। রাহুল স্যার জানতে পারলে আমাকে থানায় চালান করে দিতে পারেন। সেটা জানেন?
এতটা বলার পর বুবাই বলল, এরপরে ম্যাডামকে দেখলাম ওই চুপচাপ অবস্থায় স্টোর রুমে চৌকিটার এক কোনে বসে আছেন। উলঙ্গ শরীর। গায়ে সূতোটি পর্যন্ত অবস্থিত নেই। উনি হয়তো ভাবছেন, আমি যা বলেছি, ঠিকই বলেছি। কেনই বা জেদ পূরণ করতে আমি ওনার সঙ্গ দেবো? এক রাতের খোরাক। উনি শখ আল্হাদ মিটিয়ে তারপর আমাকে আর মনেও রাখবেন না। হয়তো দেখা হলে কোনদিন চিন্তেও পারবেন না। বা কিছু খারাপ পরিণতি ঘটলে উনি পুরো দোষটাই আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারেন। বড়লোকি মানুষ যারা, তারা সব পারে। দুনিয়ায় সবাই কখনও সাচ্চা হয় না।
বুবাই বলল, তারপরই একটা অদ্ভূত জিনিষ লক্ষ্য করলাম। দেখলাম, ম্যাডাম ফুপিয়ে ফুপিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কাঁদলেন। আমি ওনার কান্না দেখছি। তাও আমার মন গলছে না। এরপরে উনি বললেন, বুবাই ভুলটা আমারই হয়েছে। আই অ্যাম ভেরি মাচ সরি। আবেগের বশেতে কোন কিছু করাটা একেবারেই ঠিক নয়। তুমি ঠিকই বলেছ। আমি শুধু শুধু তোমাকে কেন এরমধ্যে জড়াবো? আমার এখন উচিৎ এক্ষুনি ও ঘরে ফিরে যাওয়া। রাহুল ঘুমোচ্ছে, আমি চুপচাপ ওর পাশে গিয়ে শুধু শুয়ে পড়ব। সকাল হলেই ও আবার ন্যাকামো শুরু করবে। রাতের কথা বেমালুম ভুলে যাবে। তাও আমি তোমাকে আর জোর করব না। মনে করো, তোমার জীবনে এরকম কোন ঘটনা কোনদিন ঘটেনি। আর তুমিও জীবনে এমন অবস্থার সন্মুখীন কোনদিন হও নি। তোমাকে কেউ কোনদিন বাজে কথা আর বলতে পারবে না। বলে ম্যাডাম এবার উঠে পড়লেন। স্টোর রুম থেকে বেরিয়ে উনি তখন নিজের ঘরে ফেরার জন্য পা বাড়িয়েছেন।
সব শুনে আমি বললাম, যা বাব্বা। তাহলে আর হলটা কি? এত চরম সুখের গল্প আর হল না। ম্যাডাম তো তাহলে হাতছাড়া হয়ে গেল।বুবাই বলল, তারপরই তো ঘটল সেই সাংঘাতিক ঘটনাটা। কেউ কোনদিন চিন্তাই করতে পারবে না।
আমি বললাম, কি রকম?
বুবাই বলল, চিন্তা করতে পারিস? ম্যাডাম এতক্ষণ নগ্ন হয়ে বসে আমার সাথে স্টোররুমে কথা বলছিলেন। ওর স্বামী যদি টের পেয়ে উঠে চলে আসত। আমাদের দুজনকে একসাথে দেখে ফেলত, কি কান্ডটাই না ঘটত?
কথাটা শুনে আমার গা টা কেমন ছ্যাঁক করে উঠল। বুবাইকে বললাম, সেকীরে? সেরকম কিছু হয়েছে নাকি?
বুবাই বলল, হতে যাচ্ছিল আর একটু হলেই।
আমি বললাম, কি রকম?
বুবাই বলল, ম্যাডাম এরপরে স্টোররুম থেকে বেরুলেন। রাহুল স্যার ওদিকে ততক্ষণে বিছানার উপর উঠে বসে আছেন। একটু আগেই খুব প্রচন্ড আওয়াজ করে একটা বাজী ফেটেছে। ওই শব্দে ওনার ঘুম ভেঙে গেছে। কালীপূজোর রাত। ঘুমোনো এমনিতেই কঠিন। আতসবাজীর শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। প্রিয়াম্যাডাম আশাই করেননি, রাহুল স্যার বিছানায় উঠে বসে থাকবেন। উনি ওই অবস্থায় আবার ঘরে ঢুকেছেন। আর এদিকে আমি স্টোররুমে বসে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। ভাবছি আজ এক বিপদ থেকে আমি রক্ষা পেলাম। মনে মনে ভাবছি, না প্রিয়া ম্যাডাম সত্যিই ভালো। উনিও তো আমায় শেষ পর্যন্ত জোর করেননি। আবেগের বশে একটা ভুল কাজ উনি করতে যাচ্ছিলেন, সেটা প্রিয়া ম্যাডামও বুঝেছেন। আমিও যেন এখন ভীষন স্বস্তি পাচ্ছি। আর তখনই শুনলাম, রাহুল স্যারের প্রচন্ড কর্কশ গলা। আমি স্টোররুমের ভেতর থেকে চমকে উঠলাম।
-কোথায় গিয়েছিলে প্রিয়া?
-এই একটু বাথরুমে গিয়েছিলাম। কেন কি হয়েছে?
-আমি বিছানায় পড়ে অকাতরে ঘুমোচ্ছি। নেহাতই বাজীর শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেল। আর তুমি আমাকে ফেলে চলে গেলে?
-কি আশ্চর্য্য আমি কি বাথরুমেও যেতে পারব না নাকি? সারারাত এমনিতেই ঘুমোতে পারব না। তুমি যা অবস্থা করে ছেড়েছ আমার। তারপর আবার গলাবাজী করছ? আমার ওপর চোটপাট দেখাচ্ছ? কিসের জন্য?
-প্রিয়া মুখ সামলে কথা বলো।
-কেন তোমার ভয় নাকি?
-আবার কথা? অন্যায় করে আবার কথা?
-কি অন্যায় করেছি আমি? যে আমাকে গলাবাজি করছ?
-ন্যাকা। বউ হয়ে স্বামীকে সুখ দিতে পারে না। আবার ন্যাকামো হচ্ছে।
-মানে? নিজের কোন ক্ষমতা নেই, সেটা কেন বলছ না? আমি কি তোমায় জোর করেছিলাম? তুমিই তো জোর করলে। আমি তো জানি তোমার কত ক্ষমতা। ধোন দাঁড়ায় না। বীর্য বেরোয় না। আবার বউয়ের উপর কপচাতে আসে। ছিঃ লজ্জ্বা করে না তোমার?
বুবাই বলল, আমি স্টোররুমে বসে শুনছি রাহুলস্যার এবার ঠাস করে একটা চড় মারলেন বউয়ের গালে। কি বিচ্ছিরি নোংরা ভাষায় গালাগাল। পারলে স্ত্রী কে সত্যি সত্যি খুন করে দেন।
বুবাই বলল, চিন্তা করতে পারিস? ম্যাডাম এতক্ষণ নগ্ন হয়ে বসে আমার সাথে স্টোররুমে কথা বলছিলেন। ওর স্বামী যদি টের পেয়ে উঠে চলে আসত। আমাদের দুজনকে একসাথে দেখে ফেলত, কি কান্ডটাই না ঘটত?
কথাটা শুনে আমার গা টা কেমন ছ্যাঁক করে উঠল। বুবাইকে বললাম, সেকীরে? সেরকম কিছু হয়েছে নাকি?
বুবাই বলল, হতে যাচ্ছিল আর একটু হলেই।
আমি বললাম, কি রকম?
বুবাই বলল, ম্যাডাম এরপরে স্টোররুম থেকে বেরুলেন। রাহুল স্যার ওদিকে ততক্ষণে বিছানার উপর উঠে বসে আছেন। একটু আগেই খুব প্রচন্ড আওয়াজ করে একটা বাজী ফেটেছে। ওই শব্দে ওনার ঘুম ভেঙে গেছে। কালীপূজোর রাত। ঘুমোনো এমনিতেই কঠিন। আতসবাজীর শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। প্রিয়াম্যাডাম আশাই করেননি, রাহুল স্যার বিছানায় উঠে বসে থাকবেন। উনি ওই অবস্থায় আবার ঘরে ঢুকেছেন। আর এদিকে আমি স্টোররুমে বসে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। ভাবছি আজ এক বিপদ থেকে আমি রক্ষা পেলাম। মনে মনে ভাবছি, না প্রিয়া ম্যাডাম সত্যিই ভালো। উনিও তো আমায় শেষ পর্যন্ত জোর করেননি। আবেগের বশে একটা ভুল কাজ উনি করতে যাচ্ছিলেন, সেটা প্রিয়া ম্যাডামও বুঝেছেন। আমিও যেন এখন ভীষন স্বস্তি পাচ্ছি। আর তখনই শুনলাম, রাহুল স্যারের প্রচন্ড কর্কশ গলা। আমি স্টোররুমের ভেতর থেকে চমকে উঠলাম।
-কোথায় গিয়েছিলে প্রিয়া?
-এই একটু বাথরুমে গিয়েছিলাম। কেন কি হয়েছে?
-আমি বিছানায় পড়ে অকাতরে ঘুমোচ্ছি। নেহাতই বাজীর শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেল। আর তুমি আমাকে ফেলে চলে গেলে?
-কি আশ্চর্য্য আমি কি বাথরুমেও যেতে পারব না নাকি? সারারাত এমনিতেই ঘুমোতে পারব না। তুমি যা অবস্থা করে ছেড়েছ আমার। তারপর আবার গলাবাজী করছ? আমার ওপর চোটপাট দেখাচ্ছ? কিসের জন্য?
-প্রিয়া মুখ সামলে কথা বলো।
-কেন তোমার ভয় নাকি?
-আবার কথা? অন্যায় করে আবার কথা?
-কি অন্যায় করেছি আমি? যে আমাকে গলাবাজি করছ?
-ন্যাকা। বউ হয়ে স্বামীকে সুখ দিতে পারে না। আবার ন্যাকামো হচ্ছে।
-মানে? নিজের কোন ক্ষমতা নেই, সেটা কেন বলছ না? আমি কি তোমায় জোর করেছিলাম? তুমিই তো জোর করলে। আমি তো জানি তোমার কত ক্ষমতা। ধোন দাঁড়ায় না। বীর্য বেরোয় না। আবার বউয়ের উপর কপচাতে আসে। ছিঃ লজ্জ্বা করে না তোমার?
বুবাই বলল, আমি স্টোররুমে বসে শুনছি রাহুলস্যার এবার ঠাস করে একটা চড় মারলেন বউয়ের গালে। কি বিচ্ছিরি নোংরা ভাষায় গালাগাল। পারলে স্ত্রী কে সত্যি সত্যি খুন করে দেন।
-যা না হারামজাদী মাগী। পারলে অন্য কোন মরদের কাছে যা না। যার ধোন দাঁড়ায় তার কাছেই যা। আমার কাছে পড়ে আছিস কেন? আমি কি তোকে জোর করে আটকে রেখেছি নাকি?
-দেখো, আজেবাজে কথা বলবে না বলে দিচ্ছি। আমি কিন্তু সত্যি তোমাকে ছেড়ে চলে যাব। এই আমি বলে দিচ্ছি।
-কি? আমাকে ছেড়ে চলে যাবি? দেখ তোর মজা আমি এবার বের করছি।
বুবাই বলল, আমি স্টোররুমের ভেতরে বসে বুঝতে পারছি তুমুল ঝগড়াঝাটি চলছে ভেতরে। কি সাংঘাতিক কান্ড। অথচ আমি নিরুপায়। ওখান থেকে বেরুতে পারছি না। কিছু করতেও পারছি না।
আমি বললাম, তারপর কি হল?
বুবাই বলল, রাহুলস্যার এবার ওনার পুরুষালি ক্ষমতা দেখানো শুরু করেছেন, বউয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে।
আমি বললাম, কি রকম?
বুবাই বলল, ওনার চুলের মুঠি ধরে তারস্বরে চেঁচাতে শুরু করেছেন বদমায়েশ স্বামীটা। একটা ধ্বস্তাধ্বস্তির শব্দ। প্রিয়াম্যাডামের করুন আর্তনাদ।-ছেড়ে দাও। ছেড়ে দাও বলছি। দোহাই আমাকে তুমি মেরো না।
আমি বললাম, সেকীরে? বউকে ধরে মারতে শুরু করেছে কোন কারন ছাড়াই?
বুবাই বলল, হ্যাঁ খুব করুন দৃশ্য। অথচ আমি কেমন হতভাগা দেখ, ওই অবস্থায় না পারছি ঘর থেকে বেরুতে না প্রিয়া ম্যাডামকে ওনার হাত থেকে রক্ষা করতে।
আমি বললাম, তারপর কি হল?
বুবাই বলল, অনেক্ষণ ধরেই বিশ্রী চোটপাট চলছে। আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। স্টোর রুম থেকে বেরিয়ে পড়লাম। মনে পড়ল সেই কথাটা। যে উদ্দেশ্য ম্যাডামকে বাঁচাতে ওনাকে সাবধান করতে আমি এখানে এসেছিলাম, সেটাই আমার সামনে ঘটছে। অথচ আমি থেকেও কিছু করতে পারছি না। ভয় আমার হাত পায়ে শিকল বেঁধে দিয়েছে। এখন এই অবস্থায় যদি ম্যাডামকে বাঁচাতে আমি না যাই, তাহলে কোনদিনই আর বাঁচাতে পারব না। স্বয়ং ভগবানও আমাকে ক্ষমা করবে না। আমাকে কিছু একটা করতেই হবে।
আমি বললাম, তারপর?
বুবাই বলল, সব ভয়কে কাটিয়ে স্টোররুম থেকে বেরিয়ে সেই জানলাটার কাছে আবার দাঁড়িয়েছি। দেখছি রাহুলস্যার ম্যাডামকে মারতে মারতে বিছানা থেকে ফেলে দিয়েছেন। ম্যাডাম মেঝেতে নগ্ন অবস্থায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন। হাউ হাউ করে কাঁদছেন। রাহুলস্যারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ওই অবস্থাতেও ওনার শরীরে কোন মায়াদয়া নেই। বিছানার উপর থেকেই ম্যাডামকে বললেন, থাক পড়ে তুই মুখপুড়ি। আমি আবার বেরিয়ে যাচ্ছি। আজ রাতে আর ফিরব না। কালই ফিরে এসে তোকে ডিভোর্স দিয়ে দেব। তারপর যার সাথে তুই পারিস তোর মনস্কামনা পূরণ কর। ঘর করা তো আর সম্ভব নয়। এরপরে তোকে না হলে আমি সত্যি সত্যি খুন করে দেব।
বুবাই বলল, কি অদ্ভূত লোক। আমি এমন জঘন্য মানসিকতার লোক দেখিনি। নিরীহ বউটার উপর অত্যাচার করল। আমার ইচ্ছে করছিল তখুনি লোকটার টুঁটি চেপে ধরতে। কিন্তু ম্যাডামের সুরক্ষার জন্যই আমি নিজেকে সংযত করলাম। দেখলাম রাহুল স্যার বিছানা ছেড়ে উঠছেন। আমি তাড়াতাড়ি জানলার পাশ থেকে আবার সরে গেলাম।সেদিন কি ঘটেছিল? বুবাই একটার পর একটা তার বর্ণনা দিয়ে চলেছে। কিন্তু আমার কৌতূহল কিছুতেই মিটছে না। প্রিয়া ম্যাডামের সঙ্গে শারীরিক মিলন সেদিন যে ঘটেছিল। সেটা কিভাবে?
বুবাই এরপরে বলল, জানলার সামনে থেকে সরে না গেলে, রাহুল স্যার হয়তো আমাকে দেখতেই পেয়ে যেতেন। দড়াম করে সদোর দরজাটা খুলে উনি বেরিয়ে গেলেন বাইরে। আমি তখন স্টোর রুমের ভেতর থেকে আবার বেরিয়ে এসেছি। জানি ভেতরের ঘরে প্রিয়া ম্যাডাম একাই রয়েছেন। আমার ভেতরটা কষ্টে কষ্টে ফেটে যাচ্ছে। ম্যাডামের জন্য অনুশোচনা যাচ্ছে না। বুঝতে পারছি এখন ওনার ভীষনভাবে সহানুভূতির প্রয়োজন। প্রয়োজন কারুর সহচর্য। কষ্টটা যাতে সে সহজেই লাঘব করতে পারে।-দেখো, আজেবাজে কথা বলবে না বলে দিচ্ছি। আমি কিন্তু সত্যি তোমাকে ছেড়ে চলে যাব। এই আমি বলে দিচ্ছি।
-কি? আমাকে ছেড়ে চলে যাবি? দেখ তোর মজা আমি এবার বের করছি।
বুবাই বলল, আমি স্টোররুমের ভেতরে বসে বুঝতে পারছি তুমুল ঝগড়াঝাটি চলছে ভেতরে। কি সাংঘাতিক কান্ড। অথচ আমি নিরুপায়। ওখান থেকে বেরুতে পারছি না। কিছু করতেও পারছি না।
আমি বললাম, তারপর কি হল?
বুবাই বলল, রাহুলস্যার এবার ওনার পুরুষালি ক্ষমতা দেখানো শুরু করেছেন, বউয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে।
আমি বললাম, কি রকম?
বুবাই বলল, ওনার চুলের মুঠি ধরে তারস্বরে চেঁচাতে শুরু করেছেন বদমায়েশ স্বামীটা। একটা ধ্বস্তাধ্বস্তির শব্দ। প্রিয়াম্যাডামের করুন আর্তনাদ।-ছেড়ে দাও। ছেড়ে দাও বলছি। দোহাই আমাকে তুমি মেরো না।
আমি বললাম, সেকীরে? বউকে ধরে মারতে শুরু করেছে কোন কারন ছাড়াই?
বুবাই বলল, হ্যাঁ খুব করুন দৃশ্য। অথচ আমি কেমন হতভাগা দেখ, ওই অবস্থায় না পারছি ঘর থেকে বেরুতে না প্রিয়া ম্যাডামকে ওনার হাত থেকে রক্ষা করতে।
আমি বললাম, তারপর কি হল?
বুবাই বলল, অনেক্ষণ ধরেই বিশ্রী চোটপাট চলছে। আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। স্টোর রুম থেকে বেরিয়ে পড়লাম। মনে পড়ল সেই কথাটা। যে উদ্দেশ্য ম্যাডামকে বাঁচাতে ওনাকে সাবধান করতে আমি এখানে এসেছিলাম, সেটাই আমার সামনে ঘটছে। অথচ আমি থেকেও কিছু করতে পারছি না। ভয় আমার হাত পায়ে শিকল বেঁধে দিয়েছে। এখন এই অবস্থায় যদি ম্যাডামকে বাঁচাতে আমি না যাই, তাহলে কোনদিনই আর বাঁচাতে পারব না। স্বয়ং ভগবানও আমাকে ক্ষমা করবে না। আমাকে কিছু একটা করতেই হবে।
আমি বললাম, তারপর?
বুবাই বলল, সব ভয়কে কাটিয়ে স্টোররুম থেকে বেরিয়ে সেই জানলাটার কাছে আবার দাঁড়িয়েছি। দেখছি রাহুলস্যার ম্যাডামকে মারতে মারতে বিছানা থেকে ফেলে দিয়েছেন। ম্যাডাম মেঝেতে নগ্ন অবস্থায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন। হাউ হাউ করে কাঁদছেন। রাহুলস্যারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ওই অবস্থাতেও ওনার শরীরে কোন মায়াদয়া নেই। বিছানার উপর থেকেই ম্যাডামকে বললেন, থাক পড়ে তুই মুখপুড়ি। আমি আবার বেরিয়ে যাচ্ছি। আজ রাতে আর ফিরব না। কালই ফিরে এসে তোকে ডিভোর্স দিয়ে দেব। তারপর যার সাথে তুই পারিস তোর মনস্কামনা পূরণ কর। ঘর করা তো আর সম্ভব নয়। এরপরে তোকে না হলে আমি সত্যি সত্যি খুন করে দেব।
বুবাই বলল, কি অদ্ভূত লোক। আমি এমন জঘন্য মানসিকতার লোক দেখিনি। নিরীহ বউটার উপর অত্যাচার করল। আমার ইচ্ছে করছিল তখুনি লোকটার টুঁটি চেপে ধরতে। কিন্তু ম্যাডামের সুরক্ষার জন্যই আমি নিজেকে সংযত করলাম। দেখলাম রাহুল স্যার বিছানা ছেড়ে উঠছেন। আমি তাড়াতাড়ি জানলার পাশ থেকে আবার সরে গেলাম।সেদিন কি ঘটেছিল? বুবাই একটার পর একটা তার বর্ণনা দিয়ে চলেছে। কিন্তু আমার কৌতূহল কিছুতেই মিটছে না। প্রিয়া ম্যাডামের সঙ্গে শারীরিক মিলন সেদিন যে ঘটেছিল। সেটা কিভাবে?
আমি বললাম, তারপর কি হল?
বুবাই বলল, রাহুল স্যার বেরিয়ে যাবার পরই আমি ওদের শোবার ঘরে গিয়ে ঢুকলাম। ম্যাডাম তখনও মাটিতে শুয়ে অঝোরে কেঁদে চলেছেন। আমার ওনার প্রতি ভীষন মায়া জেগে উঠেছে। হাতটা বাড়িয়ে ওনাকে বললাম, ম্যাডাম আপনি উঠে পড়ুন। উনি এখন বাইরে বেরিয়ে গেছেন।
ম্যাডাম তখন পাশ ফিরে কেঁদেই চলেছেন। হাতটা বাড়িয়ে রেখেই বললাম, আপনি কাঁদছেন কেন? শুধু শুধু নিজেকে কষ্ট দেবেন না। আপনার জীবনটা তো ওনার দয়ায় আর চলছে না। চোখের সামনে সবই তো দেখলাম। এত ঘৃণ্য, পশুর মত আচরণ। আমি এমন খারাপ লোক জীবনে দেখিনি।
ম্যাডাম তবুও কোন সাড়া দিচ্ছেন না। আমার কথার উত্তর দিচ্ছেন না। বললাম, ম্যাডাম এই রাত বিরেতে আপনার বাড়ীতে এসে আমিই বিপদে পড়ে গেছি। আমি বুঝতে পারছি আপনার মনের কষ্টটা। দয়া করে আমার অনুরোধটুকু এবারে রাখুন। ঠান্ডা মাথায় বসে ভেবে, এবারে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ম্যাডাম আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আমাকে কি সিদ্ধান্ত তুমি নিতে বলছ বুবাই?
আমি বললাম, এরপরে যে আপনি রাহুল স্যারের সাথে আর ঘর করবেন না এটা সত্যি। এখন কথা হচ্ছে, ডিভোর্সটা কত তাড়াতাড়ি সেরে ফেলা যায়। আমার মতে, কাল উনি ফিরে এলে, আপনার সোজা সাপ্টা বলে দেওয়া উচিত। আপনি আর ঘর করবেন না, এটা আপনিই এবার ওনার মুখের ওপর বলে দিন। ওনারও পরিষ্কার জেনে নেওয়া উচিত। বুঝে নেওয়া উচিত, ভালোবাসা দিয়ে বউকে কাছে না রাখতে পারলে, সে বউ কখনও ঘর করে না। স্বামীর অত্যাচার, স্ত্রীর বেশিদিন মুখ বুজে সহ্য করা সম্ভব নয়।
ম্যাডাম এবার উঠলেন, বললেন, তুমি ঠিকই বলেছো। এতদিন ওর সাথে ভালো ব্যবহারই করে এসেছি। নরম মনোভাব দেখিয়ে এসেছি। এবার আমার শক্ত হওয়ার পালা। প্রিয়া সব সহ্য শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। আর আমি কিছুতেই ওকে দয়া দেখাবো না।
খাটের ওপর উঠে বসে প্রিয়া ম্যাডাম ওনার উন্মুক্ত স্তনযুগল, হাত দিয়ে ঢাকবার চেষ্টা করছেন। হঠাৎই সন্মিত ফিরেছে। ছেলেমানুষিটাকে ওইভাবেই আড়াল করতে চাইছেন। আমি মুখটাকে পাশ ফিরিয়ে নিয়ে বললাম, সরি। আমি বরঞ্চ ঘর থেকে আবার বেরিয়ে যাচ্ছি। আপনি পোষাকটাকে আবার গায়ে দিয়ে দিন।
অন্ধকারে রাত পোষাকটা কোথায় ছেড়ে রেখেছেন, খুঁজেই পাচ্ছেন না। আমাকে বললেন, লাইটটা একবার জ্বালাবে বুবাই? ধ্বস্তাধ্বস্তিতে নাইটি টা যে কোথায় ছিটকে গেছে, খুঁজেই পাচ্ছি না।বুবাই বলল, আমি জানি, লাইট জ্বালালেই উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে ওনার শরীরটা। ঝলমল করে উঠবে বুকদুটো। চোখের সামনে উজ্জল আলোয়, মেয়েছেলেদের নগ্ন স্তন দেখা, সে এক ভারী বিড়ম্বনা। আমি তো আর সেই ধরণের ছেলে নই। ভারী ইতস্তত বোধ করছি।
ম্যাডাম এবার হেসেই বললেন, লজ্জ্বা পাচ্ছো কেন? সব তো দেখেই ফেলেছো আমার। এবার নয় লাইটের আলোতেই দেখবে। নইলে এভাবে নেকেড হয়ে কতক্ষণ বসে থাকবো? তোমার কি তখন ভালো লাগবে?
বুবাইয়ের কথা শুনে আমি বললাম, দারুন ইন্টারেস্টিং। এরপরে?
বুবাই বলল, ম্যাডাম আমাকে ঘর থেকে বেরুতে নিষেধ করছেন। আর আমিও জবুথবু হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি। সুইচ বোর্ডের কাছে গিয়ে যে লাইটটা জ্বালবো, তাতেও কেমন লজ্জ্বাবোধ হচ্ছে। এবার একটু অভয় দিয়েই ম্যাডাম বললেন, আমি কিন্তু জোর করে আমার দিকে তোমায় তাকাতে বলছি না। তুমি শুধু লাইটটা জ্বালবে। আমাকে নাইটিটা খুঁজে দিতে সাহায্য করবে। তুমি জ্বালবে কি জ্বালবে না?
আমি বললাম, হ্যাঁ, হ্যাঁ। জ্বালছি। বলে সুইচবোর্ডের দিকে এবার এগিয়ে গেলাম।
আর ঠিক তখুনি প্রিয়া ম্যাডাম, খাটে বসে এবার বললেন, জীবনে এমন অভিজ্ঞতার কথা, তোমার বোধহয়, সারাজীবন মনে থাকবে। কি বলো?
হাসতে হাসতেই এবার বললেন, সত্যি কোন ম্যাডামের পাল্লায় যে তুমি পড়েছিলে। হয়তো সারাজীবন তুমি আফসোস করে মরবে। একটা সুন্দরী মেয়েকে তার স্বামীর হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে কি বিপত্তি। কেন যে মরতে এখানে এলে? তাই হয়তো তুমি ভাবছো। তাই না?
বুবাই বলল, এবার আমি ম্যাডামের দিকে ফিরে তাকালাম। আড়ষ্টতা কাটিয়ে খুব সহজ ভাবেই ম্যাডামকে বললাম, আমি রাহুলস্যারকে ঠকাতে চাইনি। জানি ওটা আমার ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এটাও তো ঠিক, আমার কিন্তু আপনার প্রতি কোন লোভ নেই। আমিও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে এখানে আসিনি। আমি আপনাকেও খুব ভাল ভাবে বোঝবার চেষ্টা করেছি। আপনার মনের মধ্যে কোন পাপ নেই। আপনি স্বামীর ব্যবহারে তিতি বিরক্ত হয়ে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছিলেন। কিন্তু আপনি, পরে যখন দেখলেন, আমার ওতে সায় নেই। আপনি আমাকেও আর জোর করেননি। সুতরাং, আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধাটা কোন অংশে কমেনি। বরং বেড়ে গেছে। এখন এই পরিস্থিতিতে আপনি আমার সন্মন্ধে যাই ই ভাবুন। আর আমিও আপনার সন্মন্ধে কি ভাবি, কিছুই যায়ে আসে না। কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায়। ভগবান এর সঠিক বিচার করেন। সুতরাং আপনিও কোন পাপ করছেন না। আর আমিও কোন পাপ করছি না।
আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি বুবাইয়ের কথা শুনে। বুবাই এরপরে বলল, লাইটটা জ্বেলে খুব সপ্রতিভ ভাবে এবার আমি ম্যাডামের দিকে তাকালাম। ম্যাডামও আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছেন। ওনার বক্ষযুগল উদ্ভাসিত। পরিপূর্ণা এক যৌবনবতী নারী। সুন্দরী রমনী তার রত্নভান্ডার নিয়ে আমাকে চাক্ষুস উপভোগ করাচ্ছেন। কিন্তু আমার মনের মধ্যে কোন পাপ নেই। আমি জানি, ম্যাডামও কোন তীব্র আকাঙ্খা বোধ করছেন না। তবুও কেন জানি না, নিজের মধ্যে একটা সংযত ভাব থাকা ভালো। আমি মুখটা সবেমাত্র নামিয়ে নিয়েছি, ম্যাডাম সেই সময় বললেন, বুবাই, একটা কথা বলবো? মনে কিছু করবে না? আজ রাতটা তুমি আমার পাশে শোবে? আমি কিন্তু মনে কোন পাপ না রেখেই বলছি। আমার মনে কোন পাপ নেই।
বুবাই বলল, ম্যাডামের কথাটা শুনে, আমি তখন অবাক হয়ে চেয়ে আছি ওনার দিকে।এবারই যেন সেই চরম মূহূর্ত। ইচ্ছে নেই তবুও মনের মধ্যে হঠাৎই পাপবোধটা উধাও। আমি জানি না ম্যডাম কেন আমাকে ওনার পাশে শুতে বলছেন। এটা কি নিছকই কোন সান্তনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে? না উদ্দেশ্যটা অন্য?
আমি বুঝতে পারছি না কি করবো? ম্যাডাম আবারো বললেন, বুবাই এই তুমি বললে, আমার প্রতি তোমার শ্রদ্ধা কোন অংশে কমে নি। তাহলে আমি কাছে ডাকছি। তুমি আসছো না কেন?
আমি দেখছি বুবাই কথা বলতে বলতে এবার ঘামতে শুরু করেছে। ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, তোর নিশ্চই সেই সময় খুব টেনশন হচ্ছিল? কোনদিন যার পাশে তুই শুসনি। যার সাথে তোর দৈহিক মিলন হয়নি। এবারই সেই মূহুর্তটা হাতছানি দিয়ে তোকে ডাকছে। আমি বুঝতে পারছি, ওই সময় আমি থাকলে আমার কি অবস্থা হত তখন?
বুবাই বলল, সেদিনও ঠিক এভাবেই ঘামতে শুরু করেছিলাম, জানিস তো? কোনদিন তো এরকম অবস্থায় আগে কখনও পড়িনি।
আমি বললাম, স্বাভাবিক। তারপর কি হল বল?
বুবাই বলল, আমি আসতে আসতে এবার বিছানার দিকে এগিয়ে গেলাম। ম্যাডাম তখন দুহাত বাড়িয়ে আমাকে আহ্বান করছে। বুঝতে পারছি ওনার এই আচরণ আমাকে কতটা অস্বস্তিতে ফেলছে। আবার এটাও বুঝতে পারছি, ষোলোআনা মানুষ যখন কাউকে বিশ্বাস করতে শেখে, তখন তার মধ্যে এই দৃঢ় প্রত্যয়টা তৈরী হয়। উনি আমাকেও ঠাওরে নিয়েছেন, আর যাই হোক বুবাই ছেলেটা খারাপ নয়। সে তো এখানে কোন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আসেনি। একে অপরকে ঠিকমত বোঝার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছি আমরা। সুতরাং এটাকে খারাপ মনে না করে, ম্যাডামের একান্ত অনুরোধ বা আবদার, চেষ্টা করলে রাখতেই পারি আমি। একজন মহিলা আমার কাছে নিজেকে সমর্পিত করতে চাইছে। এই অসম্ভব মূহুর্তটা একটা অসম্ভব ভালো লাগা থেকে তৈরী হয়েছে। ম্যাডাম হয়তো ভাবছেন, বুবাইয়ের মতন ছেলে কি দ্বিতীয় উনি আর আদৌ খুঁজে পাবেন? এক বিবাহিত মহিলা তার স্বামীর সাথে চিরকালের মতন বিচ্ছেদ হয়ে গেলে, আগামী দিনে নতুন কোন সাথীকে খুঁজে পাবেন, কি পাবেন না। নাকি উনি নিঃসঙ্গ জীবন কাটাবেন? কেউ আগে থেকে বলতে পারে না। কিন্তু এই চরম মূহুর্তটা আবারো জীবনে যে ফিরে আসবে, বুবাইয়ের মতন বিশ্বাসী সৎ ছেলে উনি দ্বিতীয়টি যে খুঁজে পাবেন, সেটাও তো কেউ বলতে পারে না। তাই না? অগত্যা উনি-
আমি বললাম, অগত্যা উনি মানে?
বুবাই বলল, ভাবতে পারিস? উনি আমার ওপর কতটা কনফিডেন্ট। উনি জানেন, আমি নিজে থেকে ওনাকে স্পর্ষ করবো না। নগ্ন শরীরটাকে ছিঁড়ে খুঁড়ে ওই সময় আমি খেয়ে ফেলতে পারি। কিন্তু আমি জেনে শুনে তা করবো না। শুধু ওনার পাশে চুপটি করে শুয়ে থাকবো। আর উনি যদি ইচ্ছে পোষণ করেন, তখন হয়তো-
বুবাইকে বললাম, এতকিছু তো শুনলাম। কিন্তু এখনও আসল কাজটাই তো হল না। আদৌ কি ম্যাডামের সঙ্গে তোর কোন চরম সুখ হয়েছে? না সারা রাত ম্যাডামের পাশে শুয়েই কাটিয়ে দিয়েছিলিস সেই ভোর অবধি? দৈহিক মিলন অধরাই থেকে গেছে চিরকালের মতন।হাসতে হাসতে বুবাই বলল, হ্যাঁ হয়েছে। ওনার পাশে বসে আমি ওনাকে কিন্তু কোন স্পর্ষ করিনি। তাও হয়েছে। সেটাই তো বলছি।
অধৈর্য হয়ে বললাম, বল শীগগীর।
বুবাই বলল, ম্যাডামের আহ্বানে আমি ওনার পাশে গিয়ে বসলাম। ঘরের উজ্জ্বল আলোতে ওনার নগ্ন শরীর আমার দুচোখকে পাথরের মত করে দিচ্ছে। তবুও আমি নিজেকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখবার চেষ্টা করছি। ম্যাডাম ঠিক সেই সময় বলে উঠলেন, বুবাই কাউকে জীবনে কোনদিন বলতে চেষ্টা কোরো না। তবুও আমি তোমাকে বলছি, মনের মধ্যে পাপ না রেখেও যৌন চেতনাকে জাগ্রত করা যায়। মনে করো একটা মেয়েকে তুমি খুব ভালবেসে ফেলেছো। মেয়েটারও তোমার প্রতি একটা টান অনুভব হয়েছে। তখন কি স্বাভাবিক কারনেই তাদের যৌন মিলন হয় না? একটা মানুষকে আমরা জানি না, চিনি না। অথচ বিয়ে করে তার সাথে একই শয্যায় সহবাস করতে আরম্ভ করি। মন ও আত্মার মিলন ঘটে। সেই সাথে শুরু হয়ে যায় শারীরিক মিলন। স্ত্রী তাকে বিশ্বাস করে সবকিছু সমর্পণ করে দেয়। স্বামীও স্ত্রীকে বিশ্বাসের মর্যাদা দেয়। তাকে সুখ দেয়। মনে করো না, আমাকে তুমি সেইরকমই কিছু একটা সুখ দিলে। শুধু একটি রাত। আমি জানি, চিরজীবনের জন্য তুমি হয়তো মন থেকে আমায় মেনে নিতে পারছো না। আমার বয়সটা তোমার থেকে বেশি হয়তো সেই কারনে। ভাবছো ম্যাডামকে নিয়ে কি আর ঘর করা যায়? সেই কারনে। কিন্তু শুধু আজ রাতটুকুর জন্য আমরা একে অপরের বিশ্বাস অর্জন যখন করেছি। সুখটুকু আদান প্রদান করতে অসুবিধে কি? কেন তুমি এখনও ইতস্তত বোধ করছো বুবাই? এখনও কি তোমার মনে হচ্ছে, মনে পাপ নিয়ে আমি একথা তোমাকে বলছি?
আমি অবাক হয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মত চেয়ে বুবাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম, এর পরে?
বুবাই বলল, আমার পৌরুষ হয়তো জাগ্রত ছিল না। তুই হয়তো এটাই ভাবছিস। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি বিবেক আমাকে তার একটু আগে কিছু করতে বাঁধা দিচ্ছিল। সেইখান থেকে নিজেকে পুরোপুরি এবার পাল্টে ফেললাম। মনে হল, আমি যদি অন্যায় কিছু করে থাকি, ভগবানই তার বিচার করুক। কিন্তু আমার মন এখন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আমাকে বলছে, আমি সত্যি কোন অন্যায় করছি না। যা ঘটছে একেবারে স্বাভাবিক নিয়মেই ঘটছে।
আমি উত্তেজিত হয়ে বুবাইকে বললাম, তারপর তুই প্রিয়া ম্যাডামকে কি করলি সেটা বল।
বুবাই বলল, আমি অতি স্বাভাবিক ভাবে ম্যাডামের মুখটা দুহাতে ধরে প্রথমে গালে একটা চুমু খেলাম। কপাল থেকে চোখের পাতার ওপর চুম্বন রেখা আঁকতে আঁকতে ক্রমশ ঠোঁটদুটোকে নিয়ে গেলাম ম্যাডামের ঠোঁটের ওপরে। দেখলাম থরথর করে কেঁপে উঠছে ম্যাডামের ঠোঁটদুটো। ক্রমশ ওটা মেলে ধরতে লাগল আমার ঠোঁটকে ঘন আবদ্ধে জড়িয়ে নেবার জন্য। নিমেষের মধ্যে আমরা যখন চুম্বিত হলাম তখন ম্যাডাম ওনার নগ্ন শরীর দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। মিশে যাচ্ছে শরীরদুটো। একে অপরের প্রতি বিশ্বাসে সমর্পিত। ঠোঁটে ঠোঁটে আবদ্ধ হয়েই ম্যাডাম একটা গোঙানির মতন আওয়াজ করে উঠে বলল, বুবাই, বলতে ভুলে গিয়েছি। লাইটটা তুমি নিভিয়ে দাও। ওটা এখন জ্বেলে রাখার কোন দরকার নেই।বলতে বলতে বুবাই এবার উত্তেজিত হয়ে উঠছে। আমি বললাম, ম্যাডামের ঠোঁটে তুই চুমু খেতে শুরু করেছিস। সেই সময় তোর উপলব্ধি আর অনুভূতিটা কি রকম?
বুবাই বলল, সে এক শিরশিরানি অনুভূতি। এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে আমি চুম্বনে আবদ্ধ হয়েছি, ম্যাডাম বারবার আমার ঠোঁটটাকে নিজের ঠোঁটের মধ্যে টেনে নিচ্ছিলেন। সুখ পাখী ডানা ঝাপটে দেবার মতন, মনের মধ্যে কোন বাঁধা নেই, আর কারুর তোয়াক্কা নেই। কাঙালিনী প্রিয়া ম্যাডাম, যেন এতদিন পরে তার শরীরে অসম্ভব পুলক জেগে উঠেছে। সেই সময় ওনার ঠোঁট থেকে এতটাই মিষ্টতা ছড়াতে লাগল, আমিও চুমুক দেবার মতন সেটা একনাগাড়ে পান করতে লাগলাম।
দেহগত প্রেমের গোপণ রহস্য উদঘাটিত হয়েছে আমার সামনে। আমিও বুঝতে পারলাম, প্রিয়া ম্যাডাম এই মূহূর্তে কতটা পাগল হয়ে উঠেছেন। ভীষন একটা ছটফটানি লক্ষ্য করলাম ওনার মধ্যে।
বুবাই বলল, এরপরে আমি ম্যাডামকে ছেড়ে ঘরের লাইটটা নিভিয়ে দিলাম। বিছানায় এসে আবার ওনার পাশে বসলাম। উনি আমাকে আবার আগের মতন জড়িয়ে ধরলেন। চুম্বনের উত্তেজনা তখনও কাটেনি। এরপরে যখন ওনার সাথে চূড়ান্ত শৃঙ্গারে অবতীর্ণ হবো তখন কোথায় আমরা দুজনে হারিয়ে যাব কেউ জানি না। আমার ঠোঁটকে দ্বিতীয়বার আঁকড়ে ধরার আগে উনি বললেন, বুবাই মনে করো, তুমি কাউকে ভালোবাসো। তোমার ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে সে তোমাকে কিছু দিতে চায়। তারজন্য এই রাতটিকে, এই মূহূর্তটাকে সে বেছে নিয়েছে। ভীষন ব্যাকুল এক নারী, তার নাম প্রিয়া। আজ প্রিয়া তোমাকে উজাড় করে সব কিছু দিয়ে দিতে চায়। তুমি নেবে না? আমি যদি স্বেচ্ছায় তোমাকে সব দিতে চাই?
আমি শুনছি বুবাইয়ের কথা। বুবাই বলল, আমার তখন প্রিয়া ম্যাডামের কথার উত্তর দেবার মত অবস্থা নেই। শুধু বুঝতে পারছি, মনে এক অসম্ভব জোর নিয়ে আমি আজ শৃঙ্গারের সূচনা করেছি। সুতরাং এর শেষ আমাকে আজ করতে হবেই। আমি ম্যাডামকে কোনদিন দেখিনি। কোনদিন তার প্রেমে পাগল হইনি। জীবনে আজ পর্যন্ত কোন মেয়েকেও আমি ভালোবাসিনি। কিন্তু আজ, এই মূহূর্তে ম্যাডামের প্রতি আমিও কেমন যেন দূর্বল হয়ে পড়েছি। বুঝতে পারছি, আসতে আসতে আমার শরীরে এবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎই একটা প্রেমের সাপ কামড়েছে আমায়। সেই জ্বালা থেকে আমি কেমন ভাবে মুক্তি পাবো বুঝতে পারছি না।
উনি আমার সাথে আবার গাঢ় চুম্বনে আবদ্ধ হলেন। গভীর আর ব্যাকুল চুমু আমাকে আচ্ছন্ন করে দিচ্ছে। উত্তাপ, উত্তেজনা মিলে মিশে একাকার। দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস পড়ছে আমার। অনুভব করলাম, ওর শরীরে তখন এক ভীষন প্রত্যাশা। যদি একটি বারের জন্যও আমি যৌনসংসর্গে মিলিত হই এই মূহূর্তে।
আমি অবাক চোখে বুবাইয়ের দিকে চেয়ে বললাম, এরপর?
বুবাই বলল, ম্যাডাম এরপরে শুয়ে পড়লেন, নগ্ন অবস্থায়। এবং আমাকে ওনার ওপরে উঠে আসতে বললেন। আমাকে বিবস্ত্র হতে বলছেন। আবদার করে বললেন, বুবাই, জামা আর প্যান্টটা ছেড়ে উঠে এসো আমার ওপরে। দেরী কোরো না। আর কিন্তু বেশী রাত বাকী নেই। আমাদের যা করার তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে হবে।
আমি বললাম, তুই ম্যাডামের শরীরের ওপর উঠলি?
বুবাই বলল, হ্যাঁ, উঠলাম। প্যান্টটা যখন ছাড়ছিলাম, আমার মনের মধ্যে তখন কোন সংশয়, আড়ষ্টতা, ভয় বা লজ্জার বিন্দুমাত্র রেশ নেই। আমি ভীষন স্বাভাবিক। শরীরের ওপর উপগত হয়ে আমি ওনাকে জড়িয়ে ধরলাম। ম্যাডামও আমার পিঠটাকে জড়িয়ে ধরলেন।বেশ উত্তেজিত হয়ে উঠেছি আমিও। বুবাইকে বললাম, তারপর?
বুবাই বলল, চরম সুখের যে অসীম আনন্দ। আমি তখন ঠিক তার দোড়গোড়ায়। বুঝতে পারছি, ম্যাডাম ওনার অভ্যন্তরে আমাকে গভীর ভাবে কামনা করছেন। একবার প্রবিষ্ট হলেই শুরু হবে সঙ্গম। আমি জীবনে কোন মেয়ের সাথে ইন্টারকোর্স করিনি। কিন্তু আজ আমি স্বর্গের খুব কাছাকাছি এসে গিয়েছি। এবার চূড়ান্ত সঙ্গমের পালা শুরু।
আমি বললাম, কি করলি এরপর?
বুবাই বলল, প্রিয়া ম্যাডাম আমার পিঠটাকে দুহাতে জড়িয়ে নিয়ে পা দুটো তখন ফাঁক করে ফেলেছেন। আমারও একমূহূর্ত দেরী হল না। আসতে আসতে ফাঁকের মধ্যে ঢোকাতে লাগলাম ডান্ডাটাকে। একবার ভাবলাম, তাড়াহুড়োয় উনি যদি ব্যাথা পেয়ে যান। ম্যাডামই আমাকে আস্বস্ত করলেন। বললেন, বুবাই, অসুবিধে নেই। তুমি ঢোকাও আমি পা ফাঁক করে রেখেছি।
পুরোটা প্রবিষ্ট হলাম। মনে হল বেশ খানিকটা ভেতরে চলে গিয়েছি। অনেক গভীরে। এবার আমাকে যাওয়া আসা শুরু করতে হবে। ডান্ডাটাতে যোনী দিয়ে চেপে ধরে রেখেছেন প্রিয়া ম্যাডাম। সারা শরীরে তরঙ্গ বইতে শুরু করেছে। একবার শুধু ওনার মুখের দিকে চেয়ে বললাম, ম্যাডাম আমি আপনাকে শেষপর্যন্ত-
প্রিয়া ম্যাডামই আরও সাহস জুগিয়ে আমাকে বললেন, শেষ পর্যন্ত তুমি আমার ভেতরে আসতে পারলে। আমি তো তোমাকে শুরুতেই বুঝেছি। তুমি ছেলে হিসেবে খুব ভাল। আমাকে আজ নিজের ইচ্ছেমতন, যা খুশি ভাবে ভোগ করো বুবাই। আমি কিছু মনে করবো না। কেউ জানবে না আমাদের এই মূহূর্ত। শুধু তুমি আর আমি। শুরু করো বুবাই। বুবাই-
আমি হঠাৎই দেখলাম, বুবাই কেমন ভাবুক মতন হয়ে গেছে। ওকে বললাম, থামলি কেন? বল?
বুবাই তখনও ভাবুক। ওর গায়ে ঠেলা মারতেই বুবাই বলল, সেদিনের সেই চরম মূহূর্তটা ভাবলেই গা কেমন শিরশির করে ওঠে। তার ওপর আমি তো তোকে পুরো ঘটনারই বিবৃতি দিচ্ছি। চিন্তা করতে পারিস, তারপর আমি যে সুখটা পেলাম, তার আশায় কত পুরুষমানুষের গভীর আকাঙ্খা করে থাকে। সঙ্গম সুখের যে কোন বিকল্প হয় না, ম্যাডামকে পুরোদস্তুর ভোগ করে আমি সেদিন অনুভব করেছি। এক একটা স্ট্রোক, ঢেউ খেলানো দুটো শরীর। একাকার হয়ে মিশে যাচ্ছে দুটো দেহ। আমরা দুজনে তখন দেহের ভেলায় ভেসে ভেসে এক অনন্ত সুখের যাত্রায় পাড়ি দিয়েছি। বুঝতে পারছি যেভাবে দুজনে এই যৌনক্রীড়ায় মত্ত হয়েছি। সহজে এর থেকে রেহাই পাওয়ার কোন নিস্তার নেই। আমি জীবনে কোনদিন এরকম চরম সুখ পাইনি। ম্যাডাম ওনার দেহ সমর্পন করে পুরোপুরি ভরিয়ে দিচ্ছেন আমাকে। ইন্টারকোর্স চলাকালীনই অজস্রবার আমার ঠোঁটে চুমু খেয়ে চলেছেন। আমার চুলের মুঠিটা ধরে সেই সময় আমাকে বুকের মধ্যে আঁকড়ে নিলেন। স্তনের বোঁটাটাকে আমার ঠোঁটের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে আমাকে চুষতে বললেন। আমি নিয়ন্ত্রণহীন, সঙ্গম উচ্ছ্বাসে, উদ্দীপ্ত এক যুবক। বুঝতে পারছি, এই মূহূর্তে ম্যাডামকে লাগাতার স্ট্রোক করতে করতে ওনার স্তনের বোঁটা মুখে নিয়ে চুষতে শুরু করলে আমার শরীরের স্নায়ুতন্ত্রীগুলো কেমন সাংঘাতিক ভাবে অনুভূত হবে। প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিতে পারলাম না। প্রবল বেগে ওনার স্তন মুখে নিয়ে চুষতে শুরু করলাম। আগুন ঝরানো দেহ থেকে উত্তাপ গলে গলে পড়ছে। আমি প্রিয়া ম্যাডামকে লাগাতার স্ট্রোক করে চলেছি, সেই সাথে স্তনচোষনে আমি যেন আরো উদ্দাম, ক্রমশ বুঝতে পারছি একটা অদ্ভূত নেশা যেন আমাকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। হঠাৎই আমার মধ্যে, সুখকে সহজেই জয় করার সুযোগপ্রাপ্তি ঘটবার পরেই এখন মনে হচ্ছে, আমি যেন পৃথিবীর একমাত্র পুরুষ, যেখানে সুখ আমার কথায় চলবে। তাকে যেরকম ভাবে চালাবো। সে সেরকমই চলবে। আর সেই সুখদাত্রী প্রিয়াম্যাডামও এখন আমার হাতের পুতুল। ওনাকে ভোগ করবার আমি এখন অবাধ লাইসেন্স পেয়ে গেছি। সুতরাং ম্যাডামের এই দেহটা নিয়েও আমি যা খুশি করতে পারি। চটকাতে পারি, খেতে পারি, চুষতে পারি। কারণ ম্যাডামও তো আমাকে ভালো ছেলের তকমা অলরেডী দিয়ে রেখেছেন।আমি অবাক হয়ে বুবাইয়ের দিকে চেয়ে বললাম, তারপর?
বুবাই বলল, তারপরই আমি কেন যেন কেমন হয়ে গেলাম জানিস বাপ্পা। সঙ্গমের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ তখন আমার হাতে। ওনার দুটো স্তনই হাতে নিয়ে পালা করে চুষছি, সেই সাথে একের পর এক স্ট্রোক অব্যাহত। ম্যাডাম চোখ বুজে রয়েছেন, আর আমি ওনাকে স্ট্রোক করতে করতে ওনার বুক খেয়ে চলেছি। একটু গোঙানির মতন স্বর করে উনি বলে উঠলেন, বুবাই তুমি খুব উত্তেজিত। তাই না বুবাই?
আমিও আচ্ছন্ন, ঘোরের মতন বলে উঠলাম, হ্যাঁ ম্যাডাম। আমি ভীষন উত্তেজিত। আমার ভেতরটা তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। আমি আপনাকে-
ম্যাডামও বললেন, করো করো বুবাই। আজ আমিও তোমাকে না করবো না। তোমার যা ইচ্ছে, তুমি তাই করো আমাকে নিয়ে।
চোখ কপালে উঠে গেছে। আমি অবাক বিস্ময়ে বুবাইয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। বুবাই বলল, স্তনের বোঁটাটা দুটো মুখে নিয়ে এমন ভাবে শিশুর মতন চুষতে লাগলাম, যেন কোন মেয়েছেলের বুকের দুধ খাচ্ছি। স্ট্রোক করছি, ওনার শরীরটাকে কামনার শেষ বিন্দুতে পৌঁছে যাবার মতন ভোগ করছি। হঠাৎ উত্তেজনার বশে ডান্ডাটাকে যোনির ভেতর থেকে বাইরে এনে সেখানে আমি সেখানে মুখ দিয়ে বসলাম। ম্যাডাম উত্তেজনার বশে বলে উঠলেন, কি করছো বুবাই?
আমি কোন উত্তর দিলাম না। উনিও আমাকে বাঁধা দিতে পারলেন না। পা দুটো দুহাত দিয়ে দুপাশে সরিয়ে রেখে যোনিমুখ উন্মুক্ত অবস্থায় রেখে আমার জিভটাকে ছোঁয়ালাম ফাটলের ওপর। ম্যাডাম কঁকিয়ে উঠে বললেন, বুবাই? বলেই,পরক্ষণেই উনি আবার চোখ বুজলেন। আমি তখন ওনার যোনির স্বাদ জিভ দিয়ে ঘষটাতে ঘষটাতে উপভোগ করে চলেছি। বিছানায় কিছুক্ষণ ছটফট করতে করতে উনি এবার শান্ত হয়ে গেলেন। আগ্নেয়গিরি, লাভায় উত্তপ্ত এক গহ্বর। আমার ভেতরে জেগে উঠেছে ভয়ঙ্কর এক উন্মাদনা। একনাগাড়ে ওনার যোনি ফাটলটা আমি জিভ দিয়ে চেটে যাচ্ছি। কিভাবে নিজেকে সামলাবো বুঝতে পারছিলাম না। কামরস ঝরিয়ে প্রিয়া ম্যাডাম তখন আমাকে তুরীয় আনন্দে পৌঁছে দিচ্ছেন। মনে হল এই চরম সুখটা পেয়ে আমি যেন ভীষন এক সুখী মানুষ। শরীরি সুখের সাথে অভূতপূর্ব ভালোলাগার সুখ। মিলনের সুখ, চরম সুখে আমি এক আত্মহারা যুবক।
বুবাই বলল, বিশ্বাস কর বাপ্পা। আমি যেন তখন ছেলেখেলা করছি ম্যাডামের শরীরটাকে নিয়ে। দেহটাকে তছনছ করেও আমার আঁশ মিটছে না। ডান্ডার মতই ওনার যোনির ভেতরে প্রবিষ্ট হয়ে গেছে আমার জিভটা। তরল আঠালো এক স্বাদ। প্রিয়া ম্যাডামও উত্তেজনায় কামরস ভেতর থেকে উৎসারিত করছেন আর আমি লালা মিশ্রিত জিভকে নিয়ে সেই রসের সাথে খেই হারিয়ে ফেলছি। মনে হল আমি যেন সর্বোৎকৃষ্ট সুখ লাভ করছি। আর প্রিয়া ম্যাডামও সেই সুখে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন, আমার জীবনে আর কিছু পাওয়ার নেই। সব পাওয়া আজ ম্যাডামের ফ্ল্যাটে এসেই আমার পাওয়া হয়ে গেছে।অবাক হয়ে বুবাইয়ের দিকে চেয়ে বললাম, তুই কি করেছিস রে? এতো চরম সুখ। ম্যাডামকে তুই রীতিমতন ভোগ করেছিস।
বুবাই বলল, হ্যাঁ। রীতিমতন। সবকিছু। সব একরাতেই। আমার জীবনে যেন আর কিছু পাওয়ার নেই। সব পাওয়া আমার একরাতেই হয়ে গেছে।
বুবাইকে বললাম, তারপর কি হল?
বুবাই বলল, তারপর আবার কি? অনেক্ষণ এভাবে মাথা চেপে কামনার জারক রস জিভ দিয়ে উপভোগ করলাম। ম্যাডাম বললেন, আবার আমার ওপরে এসো বুবাই। আমাকে করো। আমি আর পারছি না।
বুবাই বলল, যোনির ভেতর থেকে জিভটাকে বার করে আমি ওখানে আবার ডান্ডাটাকে প্রবিষ্ট করালাম। মেশিনের মতন ওঠানামা করতে লাগলাম ওনার ওপরে। স্ট্রোকে স্ট্রোকে বিছানায় তখন তুমুল ঝড় উঠেছে। মাত্র একটিবারই ম্যাডাম আর্তনাদ করে উঠলেন। তখন একেবারে শেষ পর্যায়ে। আমারও বীর্য ধরে রাখবার তখন আর ক্ষমতা নেই। একেবারে তোড়ে ভাসাতে লাগলাম ওনার যোনীর ভেতরটা। শরীর থেকে এতটা পরিমান বীর্য বেরোলো, মনে হল এই প্রথম। আগে কখনও এরকম হয়নি।
বুবাই যে ম্যাডামকে চরম ভাবে ভোগ করে চরম সুখ অর্জন করেছে আজ তা খোলসা করে দিল আমার কাছে। মনে একটা প্রশ্ন থেকেই গেল। বুবাইকে বললাম, সবই তো বুঝলাম। ম্যাডামের সঙ্গে তোর একরাতেই এতকিছু হলো। এরপরে নিশ্চই ম্যাডাম তোকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারে না? এর পরেও ম্যাডামের সঙ্গে তোর যৌনসঙ্গম হয়েছে?
বুবাই বলল, হ্যাঁ হয়েছে। তারপরেও পুরো একটা দিন। আরও এক রাত্রি।
আমি বললাম, কিভাবে? বুবাই বলল, বলছি।একটু বিরতি নিয়ে বুবাই আবার বলা শুরু করলো। আমাকে বলল, তোকে, আমার আর ম্যাডামের মধ্যে যা যা ঘটেছে, সব একে একে বলে যাচ্ছি। ম্যাডাম যেন কোনদিন জানতে না পারেন। তাহলে কিন্তু বিশ্বাসের জায়গাটা নষ্ট হয়ে যাবে। তুই ভুলেও ওনাকে এসব কিছু বলিসনা।
বুবাইকে বললাম, তোর কি মাথা খারাপ? না আমি পাগল? যে ম্যাডামকে এসব ঘনিষ্ঠতার কথা যেচে আমি বলবো। তাছাড়া-
বুবাই বলল, তাছাড়া আর কি? তুই আর ম্যাডামের কাছে ফিরে যাবি না। এই তো? ওফ আমিও এক বোকা। কেন যে আগবাড়িয়ে তোকে এইসব কথা বলতে গেলাম। না বললেই ভালো হত।
বুবাইকে আস্বস্ত করে বললাম, তাতে কি হয়েছে? আমারও কৌতূহল ছিল। তাই তুই আমাকে বলেছিস। এতে দোষের কি আছে? আমি তো তোকে খারাপ কিছু বলিনি।
বুবাই বলল, তুই সত্যি ম্যাডামের কাছে আর যাবি না? তাই না?
ওকে বললাম, আমাকে বিশ্বাস করে ম্যাডামের কাছে ড্রাইভারের কাজে পাঠাচ্ছিস। শেষকালে আমিও যদি তোর মত ম্যাডামের সঙ্গে রাতের পর রাত।
বুবাই বলল, সুযোগ নিয়ে দেখতে পারিস। তবে ম্যাডাম তোকে সে সুযোগ দেবে না। আমার টাতো অ্যাক্সিডেন্টালি হয়ে গেছে।
আমি হেসে বুবাইকে বললাম, তুই বলছিস তারপরেও একদিন ম্যাডামকে নিয়ে ফুল মস্তি ওই যেটাকে বলে চরম সুখ। তাই উপভোগ করেছিস। দু দুটো দিন? অ্যাক্সিডেন্টালি কি করে হয়?
বুবাই বলল, দূর বোকা। প্রথম দিনই অতটা গভীরে চলে যাবার পর। দ্বিতীয়দিন কি ডুব দিতে আর অসুবিধে হয়? একি নতুন সাঁতারু নাকি? আমি তো অলরেডী ডুব দিয়ে ফেলেছি।
আমি বললাম, তারপর কি হল বল?
বুবাই শর্ত রেখে বলল, বলতে পারি। কিন্তু তোকে ড্রাইভারের কাজটা কিন্তু আবার নিতে হবে। না করবি না বল?
বুবাইকে আমিও কথা দিলাম। বললাম, ঠিক আছে করবো। তারপর কি হল বল?
বুবাই বলল, বীর্যপাতের পর আমি তখনও ম্যাডামের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি। ম্যাডাম ওই অবস্থায় আমাকে তখনও আঁকড়ে ধরে শুয়ে আছেন। কিছুক্ষণ পর আমি বললাম, ম্যাডাম, বড্ড তাড়াতাড়ি সবকিছু হয়ে গেল। আমি বোধহয় চরম সুখটা একাই ভোগ করলাম। আপনাকে আমি কিছু পেতে দিলাম না। একতরফা সুখ হলো। এ আমি কি করলাম?
ম্যাডাম আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, কে বলেছে তোমায় বুবাই? যে আমি সুখ পাইনি। আমিও তো চরম সুখ পেয়েছি। বলে ওই অবস্থায় উনি আমার ঠোঁটে চুমু খাবার জন্য আবার উদ্যত হলেন। আমি বললাম, অনেকদিন এই প্রাপ্য সুখ থেকে আপনি বঞ্চিত ছিলেন, সেইজন্যই আপনি আমার পাগলামোটাকে মেনে নিলেন। আসলে আমি নিজেকে কনট্রোল করতে পারিনি। একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি।
ম্যাডাম আমার ঠোঁটে পর্যাপ্ত চুমু খেয়ে বললেন, তুমি কিছু বাড়াবাড়ি করো নি। উত্তেজনায় এমনটা তো হয়েই থাকে। আসলে তুমি আমাকে বিশ্বাসের প্রতিদান দিচ্ছিলে। কি ঠিক বলছি কিনা বলো?
আমি কোন উত্তর দিতে পারলাম না। দেখলাম উনি তখনও সোহাগী খেলায় মত্ত। হঠাৎই একটা ছেলেকে শয্যাসঙ্গী হিসেবে উচ্ছ্বাস আনন্দ চেপে ধরে রাখতে পারছেন না। মাঝে মধ্যেই আমার গাল দুটো দুপাশ দিয়ে ধরে মজা করে আঙুল দিয়ে টানছেন। কখনও জিভ বার করে আমার ঠোঁটের মধ্যে প্রবিষ্ট করার চেষ্টা করছেন। সবই যেন মজা আর খেলা। তারমধ্যেই আবার চলে এলো একটা দুরন্ত আবেগ। আমি ওনার ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে একাকার হয়ে লিপ্ত হলাম। সেই মূহূর্তে আমি ওনার ঠোঁট ছাড়তে চাইছি না। উনিও তাই। চুম্বনের তীব্রতা উত্তেজনাকে আবার তুঙ্গে পৌঁছে দিতে চাইছে। আমার ওই নরম তুলতুলে নগ্ন শরীরটাকে আরো কিছুক্ষণের জন্য সম্বল করে থাকা ছাড়া গতি নেই। তখন আর খেলা আর মজা নয়। আবেগকে ভাসিয়ে দিয়ে জোড়া স্তনের ওপর আবার ডুব দিলাম। স্তনের বোঁটা কামড়ালাম, গোলাকার চারিপাশটা চেটেপুটে সিক্ত করলাম। বোঁটা কামড়ে সুখ সমুদ্রে ডুব দেবার আবার প্রয়াস চালাচ্ছি। ম্যাডাম আমাকে বললেন, বুবাই তুমি যেন ঠিক উল্টো। আমার এই অপদার্থ স্বামীটার শরীরে কোন সেক্স নেই। আর তোমার শরীরে এত সেক্স। আমি কিন্তু খুব উপভোগ করছি। বুবাই বলল, তাছাড়া আর কি? তুই আর ম্যাডামের কাছে ফিরে যাবি না। এই তো? ওফ আমিও এক বোকা। কেন যে আগবাড়িয়ে তোকে এইসব কথা বলতে গেলাম। না বললেই ভালো হত।
বুবাইকে আস্বস্ত করে বললাম, তাতে কি হয়েছে? আমারও কৌতূহল ছিল। তাই তুই আমাকে বলেছিস। এতে দোষের কি আছে? আমি তো তোকে খারাপ কিছু বলিনি।
বুবাই বলল, তুই সত্যি ম্যাডামের কাছে আর যাবি না? তাই না?
ওকে বললাম, আমাকে বিশ্বাস করে ম্যাডামের কাছে ড্রাইভারের কাজে পাঠাচ্ছিস। শেষকালে আমিও যদি তোর মত ম্যাডামের সঙ্গে রাতের পর রাত।
বুবাই বলল, সুযোগ নিয়ে দেখতে পারিস। তবে ম্যাডাম তোকে সে সুযোগ দেবে না। আমার টাতো অ্যাক্সিডেন্টালি হয়ে গেছে।
আমি হেসে বুবাইকে বললাম, তুই বলছিস তারপরেও একদিন ম্যাডামকে নিয়ে ফুল মস্তি ওই যেটাকে বলে চরম সুখ। তাই উপভোগ করেছিস। দু দুটো দিন? অ্যাক্সিডেন্টালি কি করে হয়?
বুবাই বলল, দূর বোকা। প্রথম দিনই অতটা গভীরে চলে যাবার পর। দ্বিতীয়দিন কি ডুব দিতে আর অসুবিধে হয়? একি নতুন সাঁতারু নাকি? আমি তো অলরেডী ডুব দিয়ে ফেলেছি।
আমি বললাম, তারপর কি হল বল?
বুবাই শর্ত রেখে বলল, বলতে পারি। কিন্তু তোকে ড্রাইভারের কাজটা কিন্তু আবার নিতে হবে। না করবি না বল?
বুবাইকে আমিও কথা দিলাম। বললাম, ঠিক আছে করবো। তারপর কি হল বল?
বুবাই বলল, বীর্যপাতের পর আমি তখনও ম্যাডামের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি। ম্যাডাম ওই অবস্থায় আমাকে তখনও আঁকড়ে ধরে শুয়ে আছেন। কিছুক্ষণ পর আমি বললাম, ম্যাডাম, বড্ড তাড়াতাড়ি সবকিছু হয়ে গেল। আমি বোধহয় চরম সুখটা একাই ভোগ করলাম। আপনাকে আমি কিছু পেতে দিলাম না। একতরফা সুখ হলো। এ আমি কি করলাম?
ম্যাডাম আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, কে বলেছে তোমায় বুবাই? যে আমি সুখ পাইনি। আমিও তো চরম সুখ পেয়েছি। বলে ওই অবস্থায় উনি আমার ঠোঁটে চুমু খাবার জন্য আবার উদ্যত হলেন। আমি বললাম, অনেকদিন এই প্রাপ্য সুখ থেকে আপনি বঞ্চিত ছিলেন, সেইজন্যই আপনি আমার পাগলামোটাকে মেনে নিলেন। আসলে আমি নিজেকে কনট্রোল করতে পারিনি। একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি।
ম্যাডাম আমার ঠোঁটে পর্যাপ্ত চুমু খেয়ে বললেন, তুমি কিছু বাড়াবাড়ি করো নি। উত্তেজনায় এমনটা তো হয়েই থাকে। আসলে তুমি আমাকে বিশ্বাসের প্রতিদান দিচ্ছিলে। কি ঠিক বলছি কিনা বলো?
বুবাই বলল, ম্যাডাম কিন্তু আমাকে উস্কানি দেবার জন্য বলেনি কথাটা। কিন্তু আমি এক অন্যজীবনে প্রবেশ করেছি। কেন জানি না আমার শুধু মনে হচ্ছে। এরপর থেকে যখনই আমি এই ফ্ল্যাটে আসব। ম্যাডামকে ইচ্ছে করলেই এভাবে পাবো। তাকে চরম ভাবে ভোগ করতে পারব। শরীরটাকে নিয়ে দলাই মালাই করতে পারবো। এখানে আমাকে বাঁধা দেবার কেউ নেই।
সারারাত্রি প্রিয়া ম্যাডামের স্তন চুষে আর ওনার আদর খেয়ে কিভাবে ভোর অবধি আমি কাটিয়ে দিলাম আমি নিজেই জানি না। যখন সকাল বেলা পাখীর কিচির মিচির ডাক শুরু হয়েছে, প্রিয়া ম্যাডাম বললেন, বুবাই আমার বলতে খারাপ লাগছে। কিন্তু তবুও বলছি। এখন কিন্তু তোমার এখানে থাকাটা নিরাপদ নয়। ওই জানোয়ারটা আবার এই সাতসকালেই আবার ফিরে আসতে পারে। তোমাকে এখানে এসে দেখলে আমাকে খুন করে ফেলবে। তার চেয়ে তুমি এখন যাও। আমি তোমাকে আবার ডেকে নেবো।
বুবাই বলল, আমার প্রথমে কিছুটা অবাক লেগেছিল প্রিয়া ম্যাডামের কথা শুনে। পরে ভেবে দেখলাম, ম্যাডাম ঠিকই বলছে। বিপদ আসার আগে থেকেই সাবধান হয়ে যাওয়া ভালো। ওই মাতালের কিছু বিশ্বাস নেই। ভোর হতে না হতেই হয়তো এসে হাজির হল। তারপর আমাকে এক বিছানায় দেখলে মাথায় সত্যি সত্যি খুন চেপে যাবে।
আমি বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লাম। তাড়াতাড়ি জামাকাপড় আবার পড়ে নিলাম। ঘড়িতে তখন বাজে পাঁচটা। ম্যাডাম আমাকে দরজা অবধি এগিয়ে দিতে এলেন। বাইরে বেরিয়ে একবার দেখে নিলাম এদিক ওদিক কেউ নেই। আমি নিশ্চিন্ত মনে গ্যারেজের দিকে রওনা দিলাম। একটু দূরে চলে আসার পর পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম, ম্যাডাম তখনও দাঁড়িয়ে আছেন, দরজার সামনে। আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছেন। আমিও হাত নাড়লাম। বুঝলাম এই সুখ রজনী আমার জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো। আমি হঠাৎই মেঘ না চাইতেই জল পাওয়ার মতন এক উল্লাসিত পথিক। ঠিক এই মূহুর্তে এক বিবাহিত হতভাগা সুন্দরী নারী, চরম সুখদাত্রী হিসেবে আমার জীবনে অবতীর্ণ হয়েছে। এই ম্যাডামের সঙ্গে আবার যখন আমার দেখা হবে, ম্যাডাম কিভাবে আবার বিছানায় শয্যাসঙ্গী হবার জন্য আমাকে আহ্বান করবেন, আমার নিয়ন্ত্রণহীন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, ঠিক আজকেরই মতন, আবার হয়তো কোনদিন, উনি কিভাবে মেনে নেবেন। ভাবতেই আমার গা টা আবার শিরশির করে উঠছে।বুবাই বলল, আমি গ্যারেজে ফিরে এলাম। এবার ঘুমিয়েও পড়লাম। ঘুম থেকে উঠে সারাটা দিন কাজের মধ্যেই কেটে গেল। এর মধ্যেই ম্যাডামকে নিয়ে বহুবার চিন্তা করেছি। রাহুল স্যার ফিরে এসেছে কিনা? ওনার সাথে রাহুল স্যারের বিচ্ছেদের কতদূর কতকি গড়ালো? এসব ভেবে ভেবেও কিছুটা সময় পার হয়েছে। একবার ভাবছি, আবার কোন বিপদ হলো না তো? ওই হতভাগা স্বামীটা কাল যেমন আমারই সামনে স্ত্রীকে মারধোর করা শুরু করেছিল, আজ আবার তেমন কিছু করে বসে নি তো? প্রিয়া ম্যাডাম ঠিক আছেন তো? আমার কিন্তু ওনার জন্য বড় চিন্তা হচ্ছে।
ঠিক সন্ধেবেলা কাজের শেষে আমি আর গ্যারেজে মন বসাতে পারলাম না। ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করার জন্য ফের ওনার ফ্ল্যাটের দিকে রওনা দিলাম। এমনই কপাল আমার। দূর থেকে দেখলাম, ফ্ল্যাটের কিছুটা দূরেই একটা ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাহুল স্যার ডিকিতে কিছু মালপত্র তুলছেন। স্যুটকেশ, ব্যাগ জাতীয় কিছু সামগ্রী। ওনার সাথে প্রিয়া ম্যাডাম নেই। দেখে মনে হল উনি বউকে রেখে নিজের জিনিষপত্র নিয়ে এখান থেকে পাততারী গোটাচ্ছেন। তারমানে বউয়ের সাথে সম্পর্ক চিরকালের মতন শেষ। আর এ বাড়ীতে ভুলেও উনি কোনদিন ফিরে আসবেন না।
মনটা আনন্দে নেচে উঠলো আমার। ট্যাক্সিটা আমার সামনে দিয়েই হুশ করে বেরিয়ে গেল। আমি একটু আড়ালে সরে গেলাম। ট্যাক্সি চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে গেল নিমেষে। আমি ক্রমশই ফ্ল্যাটের দিকে আরও এগোতে লাগলাম।প্রিয়া ম্যাডামের স্বামী রাহুলস্যারের সঙ্গে ম্যাডামের সম্পর্ক চিরকালের মতন শেষ হয়ে গেল। রাহুলস্যার, কোনদিনই আর ওই ফ্ল্যাটে ফিরে আসবেন না। দুজনের মধ্যে কি কথা হয়েছে আমি জানি না। রাহুল স্যার কালকের ওই ঘটনার পরে নিশ্চই ম্যাডামের কাছে অনুশোচনা করেছেন, বা হয়তো, নিজের জেদটাই বজায় রেখেছেন। ম্যাডাম যে রাহুলস্যারকে আর ক্ষমা করবেন না, কাল ম্যাডামের কষ্ট দেখেই বুঝেছি। উনি রাহুলস্যারকে আর দ্বিতীয়বার এই অপকর্মের জন্য সুযোগ দিতে চান না। স্বভাবতই আজই হয়তো দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেল চিরকালের জন্য। আমি যেন এখন অনেক টেনশন মুক্ত, চিন্তামুক্ত ম্যাডামকেও নতুন রূপে দেখবো, এই আশায় দরজায় নক করলাম। দুবার আলতো করে কড়া নাড়লাম, দরজাটা খুললো না। আমার একটু চিন্তা বাড়ল। কলিংবেল টেপার চেষ্টা করলাম, দেখলাম, কলিংবেলটা বাজছে না। মনে হল কারেন্ট হয়তো নেই। ভেতর থেকে ম্যাডামের কোন সাড়া পাচ্ছি না। দুবার ম্যাডামকে ডাকলাম, ‘ম্যাডাম, আমি বুবাই, দরজাটা খুলবেন? আপনি কি আছেন?’
ঠিক তারপরেই ম্যাডাম ভেতর থেকে সাড়া দিল, হ্যাঁ বুবাই, আমি বাথরুমে। দাঁড়াও আমি আসছি। তার ঠিক দুমিনিট পরে এসে দরজা খুললো প্রিয়া ম্যাডাম। দেখলাম, ওনার পরণে একটা ছাপা শাড়ী। সেজেগুজে তৈরী হয়েছেন, কোথায় যাবে বলে। আমাকে বলল, তুমি ঠিক সময়েই এসেছ বুবাই। আমি আর একটু হলে তোমার গ্যারেজে যাচ্ছিলাম।
আমি বললাম, কোথাও যাবেন? সেজেগুজে তৈরী হয়েছেন?
ম্যাডাম বলল, হ্যাঁ উকিলের কাছে যাব। আমার ফোনে কথা হয়ে গেছে। ও আমাকে বলেছে, ডিভোর্সের ফাইল স্যুট করতে। প্রথমে কিছুতেই রাজী হচ্ছিল না। পরে মিউচাল ডিভোর্সে যেতে রাজী হল। আমি বললাম, আমার টাকাপয়সার কোন দরকার নেই, তুমি আমাকে চিরকালের মতন রেহাই দাও। আমি অসহ্য এই বিবাহিত জীবন থেকে মুক্তি পেতে চাই। আর তোমাকে আমায় নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। আমি চাকরি করি। নিজের দুবেলা অন্ন আমি ঠিকই জুটিয়ে নিতে পারবো। আর খুব শীগগীর আমি এই ফ্ল্যাটটাও চেঞ্জ করবো, এ পাড়া থেকে আমি অন্য পাড়ায় চলে যেতে চাই।
আমি বললাম, তারপর কি হল?
বুবাই বলল, ম্যাডামের সন্মন্ধে আমি ঠিক অত ভালো তার আগে জানতাম না। ম্যাডামই বলল, রাহুলের যা রোজগার, ম্যাডামের রোজগার নাকি তার থেকে অনেক বেশি। যে গাড়ীটা নিয়ে রাহুল ঘুরে বেড়াত। ওটা নাকি ম্যাডামের টাকাতেই কেনা। বউয়ের পয়সায় ফুটানি মারতো, অপয়া স্বামী। এখন ম্যাডাম, সবকিছুই আবার নতুন করে শুরু করতে চায়। পুরোনো জীবন ভুলে গিয়ে আবার নতুন করে জীবন শুরু।
ফ্ল্যাটের ভেতরে ঢোকার পর, ম্যাডাম আমাকে কিছুক্ষণ বসতে বলল। আমি অপেক্ষা করছি, ম্যাডাম একটু পরেই অ্যাডভোকেট এর চেম্বারে যাবে। সঙ্গে আমিও যাব। শোবার ঘরের বিছানার ওপরই কিছুক্ষণ বসে রইলাম। এই ঘরেতেই কাল সারারাত্রি ম্যাডামের পাশে শুয়েছিলাম। ঠিক ভোর হওয়ার সাথে সাথেই ম্যাডামের ফ্ল্যাট ছেড়ে আমি চলে গেছি। গত রাত্রের ওই মিলনের কথা চিন্তা করে মনটা কেমন পুনরায় আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছিল। ভাবলাম, কাল হয়তো খেলার ছলেই সবকিছু হয়েছে। সকালে উঠে ম্যাডাম হয়তো ভেবেছে, রাগের বশে কি ছেলেমানুষি করেছেন উনি। একটা লো ক্লাস ছেলের হাতে নিজের নগ্ন শরীরটা তুলে দিয়েছেন। ছেলেটাও ওই সুযোগে তাকে চরম ভাবে ভোগ করেছে। এসব আবেগ অনুভূতি মানুষকে অনেক অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। নিশ্চই নিজের এই ছেলেমানুষির জন্য উনি এখন আফসোস করছেন। শেষে কিনা বুবাইয়ের মত ছেলে ম্যাডামকে চরমভাবে ভোগ করল? সুখ তো নয়, এ যেন চরম সুখ।
অনেক ভেবেচিন্তে ঠিক করলাম, যা করেছি, করেছি। দ্বিতীয়বার ওই ভুল আর করতে যাবো না। আমি ম্যাডামের সঙ্গে কিছুতেই এই অপকর্মে লিপ্ত হতে পারিনা। ম্যাডামের একটা স্ট্যাটাস আছে, ক্লাস আছে। আমার কি আছে? আমি তো সামান্য একটা গ্যারেজ চালাই। না আছে আমার শিক্ষাদীক্ষা না আছে আমার টাকা পয়সা। আমিও ম্যাডামের নখের যুগ্যিও নই। বড্ড সুযোগসন্ধানীর মত আমিও এখন বারে বারে আসতে শুরু করেছি এখানে। রাহুল স্যারের সঙ্গে ম্যাডামের ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। এই সুযোগে আমারও যেন ডানা গজাতে শুরু করেছে। রাহুল স্যারের জায়গাটা আমি নিজে নেওয়ার চেষ্টা করছি, কতবড় আহাম্মক আমি। ঠিক করলাম, না এই আমার শেষ আসা। আর কখনও ম্যাডামের ফ্ল্যাটে আসব না। ম্যাডাম আমাকে ডাকলেও আসব না। নিজের দূর্বলতা আমাকে এভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ম্যাডামও যাতে কোন ভুল না বোঝেন, আমি কোন অ্যাডভানটেজ নিচ্ছি, তারজন্য আমাকেই সচেষ্ট হতে হবে। এইভেবে বিছানা ছেড়ে আমি উঠে পড়লাম।
ম্যাডাম বলেছিল, আমাকে দুমিনিট বসতে। পাশের ঘরে উনি কাকে ফোন করছিলেন। হয়তো সেই উকিলকেই, যার সাথে উনি অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ফিক্স করেছেন। আমি মুখ বাড়িয়ে বললাম, ম্যাডাম আমি যাই, আপনি বরং একা ঘুরে আসুন। গ্যারেজে কিছু কাজ ছিল, তাহলে ওইগুলো সেরে নিতাম।
প্রিয়া ম্যাডাম অবাক হল আমার কথা শুনে। হেসে বলল, এখন আবার গ্যারেজে কি কাজ? সারাদিন তো অনেক কাজই হল। এই দেখছো না অ্যাডভোকেটের সাথে কথা বলছি, যাব আর আসব। আসবার সময় হোটেল থেকে রাতের খাবারটা কিনে নেব। তুমি আজ রাতটাও আমার সাথেই থাকবে। ভয় নেই, রাহুল আর ফিরে আসবে না। আজকের মত ভোরবেলা আর তোমায় বিদায় করবো না। ইস ব্যাচারার কি কষ্ট। কাল রাত অত কিছুর পর, সাতসকালে ম্যাডাম তোমাকে ভাগিয়ে দিল। খুব খারাপ লেগেছে, না? ম্যাডাম কথা দিচ্ছে, এই ভুল আর করবে না দ্বিতীয়বার।
বুবাই বলল, ম্যাডামের ওই কথা শুনে আমি রীতিমতন অবাক হয়ে যাচ্ছি। এ তো পুরো উল্টোকথা বলছে ম্যাডাম। আজ রাতেও ম্যাডাম আমাকে পাশে নিয়ে শুতে চায়। তাহলে কি চরম সুখ এখনও শেষ হয়নি। এই সুখ কতদিন চলবে? অনাদি, অনন্ত কাল? আমার শরীরের ভেতরটা এবার উত্তেজনায় থরথর করে উঠতে লাগল। চোখের সামনে ভেসে উঠল গতরাত্রে, ম্যাডামের সঙ্গে সেই যৌনমিলনের দৃশ্য। ম্যাডাম আমাকে চুমু খাচ্ছে, আমিও ম্যাডামকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত কামনার ঝড় তুলে দিয়ে ম্যাডামকে পুরোদস্তুর ভোগ করলাম আমি। আবার কি হবে, সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি?
পুরো স্ট্যাচুর মত হয়ে আমি দাঁড়িয়ে আছি। ম্যাডাম সেই সময় উঠে আমার কাছে এসে দাঁড়াল। ম্যাডামের চোখের ভাষা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না। আচমকাই আমার গাল দুটো ধরে আমার ঠোঁটে একটা ঘন চুমু খেয়ে বসল ম্যাডাম। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ম্যাডামের দিকে। ম্যাডাম আমাকে বলল, ‘বিয়ের পর থেকে একদিনও যে সুখ আমি পাইনি। কাল তা ষোলোআনায় পূর্ণ করে দিয়েছ তুমি। এরপরে আর ম্যাডামের তোমাকে ছাড়া একদিনও কি চলতে পারে? বোকা ছেলে। এইটুকুও কি বুঝিয়ে দিতে হয়?
তখনও স্ট্যাচুর মতই দাঁড়িয়ে আছি আমি। ম্যাডাম আমার সারা মুখে চুমু আর চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছেন। সোহাগ আর আদরে আমি জর্জরিত। হঠাৎই আমার হাতদুটো নিজের কোমরের ওপর তুলে দিয়ে ম্যাডাম বলল, এই বুবাই, জড়িয়ে ধরো আমায়। কালরাতে তো কি সুন্দর আদর করছিলে, ওইরকমই আদরটা করো না একবার।-প্রিয়া ম্যাডাম, আমি?
ম্যাডাম বলেছিল, আমাকে দুমিনিট বসতে। পাশের ঘরে উনি কাকে ফোন করছিলেন। হয়তো সেই উকিলকেই, যার সাথে উনি অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ফিক্স করেছেন। আমি মুখ বাড়িয়ে বললাম, ম্যাডাম আমি যাই, আপনি বরং একা ঘুরে আসুন। গ্যারেজে কিছু কাজ ছিল, তাহলে ওইগুলো সেরে নিতাম।
প্রিয়া ম্যাডাম অবাক হল আমার কথা শুনে। হেসে বলল, এখন আবার গ্যারেজে কি কাজ? সারাদিন তো অনেক কাজই হল। এই দেখছো না অ্যাডভোকেটের সাথে কথা বলছি, যাব আর আসব। আসবার সময় হোটেল থেকে রাতের খাবারটা কিনে নেব। তুমি আজ রাতটাও আমার সাথেই থাকবে। ভয় নেই, রাহুল আর ফিরে আসবে না। আজকের মত ভোরবেলা আর তোমায় বিদায় করবো না। ইস ব্যাচারার কি কষ্ট। কাল রাত অত কিছুর পর, সাতসকালে ম্যাডাম তোমাকে ভাগিয়ে দিল। খুব খারাপ লেগেছে, না? ম্যাডাম কথা দিচ্ছে, এই ভুল আর করবে না দ্বিতীয়বার।
বুবাই বলল, ম্যাডামের ওই কথা শুনে আমি রীতিমতন অবাক হয়ে যাচ্ছি। এ তো পুরো উল্টোকথা বলছে ম্যাডাম। আজ রাতেও ম্যাডাম আমাকে পাশে নিয়ে শুতে চায়। তাহলে কি চরম সুখ এখনও শেষ হয়নি। এই সুখ কতদিন চলবে? অনাদি, অনন্ত কাল? আমার শরীরের ভেতরটা এবার উত্তেজনায় থরথর করে উঠতে লাগল। চোখের সামনে ভেসে উঠল গতরাত্রে, ম্যাডামের সঙ্গে সেই যৌনমিলনের দৃশ্য। ম্যাডাম আমাকে চুমু খাচ্ছে, আমিও ম্যাডামকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত কামনার ঝড় তুলে দিয়ে ম্যাডামকে পুরোদস্তুর ভোগ করলাম আমি। আবার কি হবে, সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি?
পুরো স্ট্যাচুর মত হয়ে আমি দাঁড়িয়ে আছি। ম্যাডাম সেই সময় উঠে আমার কাছে এসে দাঁড়াল। ম্যাডামের চোখের ভাষা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না। আচমকাই আমার গাল দুটো ধরে আমার ঠোঁটে একটা ঘন চুমু খেয়ে বসল ম্যাডাম। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ম্যাডামের দিকে। ম্যাডাম আমাকে বলল, ‘বিয়ের পর থেকে একদিনও যে সুখ আমি পাইনি। কাল তা ষোলোআনায় পূর্ণ করে দিয়েছ তুমি। এরপরে আর ম্যাডামের তোমাকে ছাড়া একদিনও কি চলতে পারে? বোকা ছেলে। এইটুকুও কি বুঝিয়ে দিতে হয়?
তখনও স্ট্যাচুর মতই দাঁড়িয়ে আছি আমি। ম্যাডাম আমার সারা মুখে চুমু আর চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছেন। সোহাগ আর আদরে আমি জর্জরিত। হঠাৎই আমার হাতদুটো নিজের কোমরের ওপর তুলে দিয়ে ম্যাডাম বলল, এই বুবাই, জড়িয়ে ধরো আমায়। কালরাতে তো কি সুন্দর আদর করছিলে, ওইরকমই আদরটা করো না একবার।-প্রিয়া ম্যাডাম, আমি?
কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে, তখনও গাল আর ঠোঁটের ওপর চুমুর প্রলেপ চলছে। ইচ্ছে হচ্ছিল কাল রাতের মতন আবার একটু হিংস্র আর বেপোরোয়া হয়ে উঠি। কিন্তু এবার যা করবার ম্যাডামই নিজে থেকে করতে লাগল। আমার মাথাটাকে জড়িয়ে ধরল নিজের বুকে। ঘনঘন উত্তেজনার নিঃশ্বাস। ম্যাডামের বুকটা তখন হাপরের মতন উঠছে নামছে। মূহূর্তে উনি যেন অ্যাডভোকেটের কাছে যাওয়াটা ভুলে গেলেন। আমাকে সোহাগে আর আদরে ভরিয়ে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। একটা সাড়াজাগানো চুমু খেয়ে উনি আমার দিকে মুচকি মুচকি হাসছেন। তারপরই ব্লাউজের বোতামে হাত লাগালেন। আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ব্লাউজটা খুলতে লাগলেন।
আমি অবাক বিস্ময়ে ম্যাডামের হাবভাব দেখে ক্রমশই বিচলিত হয়ে পড়ছি। চুমু খেতে গিয়ে উনি উকিলের কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করলেন, এখন দু’হাত বাড়িয়ে ওনার নগ্ন বুকে আশ্রয় নিতে বলছেন। শিরদাঁড়ায় অসম্ভব একটা ঝাঁকুনি খেলাম। শরীরের শিরা উপশিরার মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল অসম্ভব পরিমানে বেড়ে গেছে। ম্যাডাম বক্ষ সম্পদ উন্মুক্ত করে আমার মধ্যে পশু মনোভাবটা আবার কালকের মতন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে উনি বললেন, ‘উকিলের কাছে এক দুঘন্টা পরে গেলেও তো হবে। এসো না দুজনে আবার হারিয়ে যাই, কালকের মতন। শুধু তুমি আর আমি।’
ম্যাডাম চেয়ে আছেন আমার দিকে একদৃষ্টে। আমিও ওনার চোখের সাথে চোখ মেলাচ্ছি। বেশ কিছুক্ষণ জড়সড় হয়ে বসে থাকার পর ম্যাডাম বললেন, ‘কি হল? বুবাই? এসো। তুমি আসছো না কেন? একদিনেই ম্যাডামকে ভুলে গেলে? আজ যখন আমার কোন বাঁধা নেই, স্বামীর অত্যাচারের জুলুম নেই, তুমি আমাকে নিজের করে নিতে পারছো না? না সকাল সকাল বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি বলে, এখনও আমার ওপর রেগে আছো? জানো? আমি এখন কত দুশ্চিন্তামুক্ত। আমায় ওই অপদার্থটা আর জ্বালাবে না। রাত দুপুরে মাতাল হয়েও আসবে না। একটা রাতজাগা পাখীর মতন গুমড়ে গুমড়ে মরেছি এতদিন। আজ আমার সব জ্বালা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি। আমি জানি বুবাইই আমাকে নতুন জীবনের আলো দেখিয়েছে। এই বুবাই আমাকে বাকী জীবনের পথ দেখাবে। আমার আর কাউকে দরকার নেই। শুধু তুমি আর আমি। বুবাই আমার পাশে থাকলেই আমার বাকী জীবন নিশ্চিন্তে কেটে যাবে।’
অবাক হয়ে বললাম, ‘সে কি রে বুবাই? ম্যাডাম তো তোকে একেবারে পারমানেন্ট সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। এক রাতে অমন কান্ড হয়ে যাবার পরও তোকে নিয়ে আবার শুতে চাইছে? মহিলা কি তোকেই বাকী জীবনের জন্য সিলেক্ট করে নিল? তার মানে এখনও কি তুই প্রিয়া ম্যাডামের সাথে?-
আমার কথা শুনে দেখি বুবাই হাসছে। এবার কিছুটা গদগদ। গ্যারেজের একটা সাধারণ ছেলেকে ম্যাডাম মনের কোঠায় স্থান দিয়েছে, আনন্দ হওয়াটা স্বাভাবিক। অন্য যে কেউ হলে বর্তে যেত। আমাকে হাসতে হাসতে বুবাই বলল, ‘কেন? তুই কি ভেবেছিলিস বাপ্পা? যে ম্যাডাম আমাকে তাড়িয়ে দেবে?’আমি বললাম, ‘না ঠিক তা নয়। তবে এত তাড়াতাড়ি? তুই যেতে না যেতেই ম্যাডাম আবার মিলনের আগ্রহ প্রকাশ করে ফেললেন? ভীষন লাকি ব্যাপার। আমি তাই একটু অবাক হচ্ছি।’
বুবাই বলল, ‘হ্যাঁ। এদিক দিয়ে আমি বেশ লাকি বলতে পারিস। এতটা আমিও আশা করিনি। আমার কপালে চরম সুখ দ্বিতীয় দিনেও যে নিদারুন ভাবে অপেক্ষা করছে, স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি চটজলদি ম্যাডামের কাছে পুনরায় আত্মসমর্পণ করার আগে সেভাবে ভাববারও সময় পাইনি। সবই যেন কেমন একটা ঘোরের মধ্যে হয়ে গেল। প্রথম দিনের থেকেও দ্বিতীয় দিন, আরো চুড়ান্ত, নিজেকে ম্যাডামের কাছে উজাড় করে মেলে ধরবার প্রয়াস, ম্যাডামেরও তাই। মূহূর্তের মধ্যে দুজনে দুজনকে জড়াজড়ি করে সেক্সের সূচনা হল। এমন ভাবে ম্যাডামকে ভোগ করা শুরু করলাম। দাপাদাপিটা আগের দিনের রাতের থেকেও ব্যাপক ভাবে ছাড়িয়ে গেল।
আমি এবার মুখটা নিচু করলাম। বুবাইকে বললাম, ব্যাপক সঙ্গম?
বুবাই বলল, ‘ব্যাপক সঙ্গম আর চরম সুখ। আমি ম্যাডামকে এই নিয়ে পরপর দুদিনে দেখাতে শুরু করেছি আমার কত পুরুষালী ক্ষমতা। আমি ওনার স্বামীর মতন ধ্বজভঙ্গ নই। আমার এই বয়সে যা পুরুষালী ক্ষমতা আছে, অনেকের আমার থেকে বড় হয়েও তা নেই।’
মুখটা তখনও নিচু করে রয়েছি বলে, বুবাই বলল, মন খারাপ করছিস? আমার কথা শুনে এখন তোর খুব হিংসে হচ্ছে, তাই না? ভাবছিস বুবাইয়ের কপালটা কি ভাল। সুন্দরী ম্যাডামকে একা পেয়ে এখন দেদারে ভোগ করে যাচ্ছে। গ্যারেজে কাজ করে যার সারা দিনে সামান্য কিছু অর্থ জোটে, সে এখন হাতে চাঁদ পেয়েছে। ম্যাডামকে নিয়ে বুবাইও এখন স্বপ্ন দেখছে, কি কপাল ছেলেটার। সত্যি কি কপাল।’
আমি বললাম, ‘ না ঠিক তা নয়। শুধু ভাবছি। সবই মেঘ না চাইতে জল জুটে যাবার মতন আপনা আপনি সব জুটে যাচ্ছে। শুরুতেই তুই বলে আসছিস, তোর মনের মধ্যে কোন পাপ নেই, ম্যাডামেরও তাই। অথচ তারপরেই কেমন চরম সুখটা হল। ম্যাডাম এর পরের দিনও তোকে বুকে টেনে নিতে চাইছেন, আগের দিনের যৌনসঙ্গমের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাইছেন। রহস্যটা কি? এর মধ্যে আমি কোন সূত্র খুঁজে পাচ্ছি না। সবই কি অটোমেটিক হয়? কি করে হয়? আমার তো কিছুই মাথায় ঢুকছে না।’
বুবাই বলল, ‘বুঝতে পারছি, তোর মাথাটা আমিই চটকে দিয়েছি। এখন তুইও সব ভুলে ম্যাডামকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছিস। আপাতত ম্যাডামের গল্পটা তাহলে এখানেই শেষ হল। নটে গাছটি মুরোলো। আমার কথাটিও ফুরোলো।’
আমি বললাম, ‘ না, না তুই বল। আমার শুনতে বেশ লাগছে। তারপর কি হল? ম্যাডামের সঙ্গে দ্বিতীয় দিন চরম সুখ কিভাবে উপভোগ হল। আমি শোনবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’আমি বেশ ভালমতনই বুঝতে পারছি, তলে তলে বুবাই ম্যাডামকে চরম ভাবে ভোগ করেছে। ম্যাডাম কোন না কোন কারনেই হোক, বুবাইয়ের ওপর দারুন ভাবে আকৃষ্ট। আগের দিন রাত্রিবেলা ওইভাবে ব্যাপক সঙ্গম। ম্যাডাম এখন রক্তের স্বাদ পেয়ে গেছেন। বুবাইকে দিয়ে বারে বারেই মনো্স্কামনা পূরণ করতে চাইছেন। আর বুবাইও, বাধ্য ছেলের মতন ম্যাডামের ওই সাধ পূরণ করছে।
আমি বুবাইকে বললাম, সত্যি করে বলতো বুবাই। তোর সাথে কি ম্যাডামের এখনও? মানে দৈহিক কার্যকলাপে তুই লিপ্ত আছিস? ম্যাডাম কি তারপর থেকে বারে বারেই তোকে বাড়ীতে অর্থাৎ ফ্ল্যাটে ডেকে পাঠায়? তুই বোধহয় ম্যাডামের সঙ্গে নিষিদ্ধ একটা সম্পর্ক গড়ে তুলেছিস? পরপর দু রাত্রি ম্যাডামের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করেছিস, আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না। আমার মনে হচ্ছে তুই বোধহয় এখনও ম্যাডামের সাথে খেল চালিয়ে যাচ্ছিস।
বুবাই দেখলাম, কিছু একটা বলতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত বলল না। আমাকে বলল, সবকথা তোকে অকপটে স্বীকার করতে পারি। তবে তুই কি এরপরেও ম্যাডামের ওখানে ড্রাইভারের কাজটা করতে রাজী হবি? আমাকে এর উত্তর আগে তোকে দিতে হবে।
আমি বললাম, ভেবে দেখতে পারি। এখনই না বলছি না। তবে তুই তো আগে বল, এরপরে আর কি কি ঘটনা ঘটল?
বুবাই বলল, অদ্ভূত ব্যাপার। ম্যাডাম আমাকে ওই আকুতি দৃষ্টি দিয়ে এমন ভাবে সন্মোহন করে ফেলেছেন, তখন আমি শুধু ম্যাডামের ইচ্ছাকে রূপান্তরিত করবার জন্য উনি যা বলছেন, আমি তাই করতে বাধ্য হচ্ছি।
আমি বললাম, সেটা কি রকম?
বুবাই বলল, ম্যাডাম এরপরেই আমার হাতটা ধরে টানলেন। ইচ্ছে, আমাকে বিছানায় নিয়ে একসাথে জড়াজড়ি করে, বুকের মধ্যে টেনে, কামনার রতিখেলা শুরু করবেন। উনি শুয়ে পড়লেন, আগে। আমাকে বললেন, বুবাই এবার তুমিও এসে শোও। আমি দেখছি ঘনঘন নিঃশ্বাসে ওনার স্তন ওঠানামা করছে। যৌন উদ্দীপনা আমাকে দেখার পর থেকেই ওনার সারা শরীরে যেন গ্রাস করেছ। ম্যাডাম আমার লিঙ্গকে নিজের শরীরে গ্রহণ করবার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। সঙ্গম সুখে ভাসতে ভাসতে এবার উনি মনে হয়, কাল যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই আবার শুরু করবেন। একমূহুর্ত তর সইছে না। আমাকে বললেন, বুবাই আর দেরী নয়। এবার প্লীজ এসো বুবাই, আর দেরী কোরো না।
বুবাই বলল, চুলোয় গেল উকিলের সাথে ম্যাডামের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট। একবার সেই যে ম্যাডামের শরীরের ভেতরে আমি প্রবেশ করলাম। চরম সুখ পেতে পেতে ম্যাডাম অ্যাডভোকেটের কাছে যাওয়াটাই ভুলে গেলেন। ঘন্টাব্যাপী আমাদের যৌনসঙ্গম চলতে লাগল। লাগাতার সঙ্গম। প্রবিষ্ট হচ্ছি, আর ম্যাডামের শরীরকে আমিও তখন সমান ভাবে ভোগ করে চলেছি।
এ যেন নিদারুন এক সুখের মূহূর্ত। বুবাই বলল, ম্যাডাম আমাকে জড়িয়ে রেখেছেন, আর আমি শিহরণ জাগানো একের পর এক ঠাপ দিয়ে যাচ্ছি ম্যাডামের শরীরে। আমার ঠোঁটে চুমু খেয়ে ম্যাডাম বললেন, বুবাই আমি যখন তোমার কাছে সুখ চাইব, তুমি কখনও না করবে না। তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না বুবাই, চলতে পারে না। আমি এইভাবেই তোমাকে বারে বারে নিজের মধ্যে শুধু পেতে চাই।আজ আর এই ফ্ল্যাটে, প্রিয়া ম্যাডামের স্বামীর আসার কোন সুযোগ নেই। কেউ হঠাৎই এসে পড়বে না, সুতরাং চিন্তা করারও কোন অবকাশ নেই। আমি ওনার শরীরটাকে চরম ভাবে উপভোগ করতে লাগলাম। যৌনমিলনের তীব্রতা ক্রমশই বাড়িয়ে তুলতে লাগলাম।
বুবাই বলল, জীবনে এই প্রথম কোন মেয়েমানুষের যোনির ক্ষিধের সঙ্গে আমিও সমানভাবে পাল্লা দিচ্ছি। নগ্ন অবস্থায় প্রিয়া ম্যাডামের শরীরটাকে সেইসময় এত সুন্দর দেখাচ্ছিল, আমি যৌনতৃপ্তি শুধু পাচ্ছিলাম না, উলঙ্গ দেহটা সব দিক থেকেই আমাকে চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছিল। লিঙ্গটা ফাটলের মধ্যে বারে বারে বিদ্ধ হচ্ছে, প্রিয়া ম্যাডামের ক্ষুধার্ত যৌনাঙ্গের ওপর আমি বারে বারে আছড়ে পড়ছি, যোনীগর্ভে তোলপাড় হওয়ার সাথে সাথে ভেতর থেকে ক্রমশই রস নিঃসরণ হচ্ছিল। লিঙ্গ দিয়ে ভেতরে ঢেউ তুলছিলাম। দেখলাম প্রবিষ্ট লিঙ্গ প্রিয়া ম্যাডামের নিঃসারিত রসের সাথে মিলে মিশে একেবারে ভিজে গেছে। তীব্র যৌনকামনা আর যৌনক্ষুধায় জর্জরিত ম্যাডাম, আমাকেও একনাগাড়ে চুমু খেয়ে উত্তেজিত করবার চেষ্টা করছে।
বুবাই বলল, তারপরই আমি ম্যাডামকে ঠাপ দিতে দিতে মুখ নিচু করে বুকের ওপর ঝুঁকে পড়লাম। মুখের মধ্যে ওনার একটা স্তনের বোঁটা পুরে চুষতে শুরু করলাম। আলতো করে কামড়াতে লাগলাম বোঁটাটা। সারা দেহে আনন্দের কম্পন অনুভূত হচ্ছে। প্রাণভরে স্বর্গসুখের আনন্দ পাচ্ছি। হঠাৎই দেখলাম, বিশাল বেগে বিস্ফোরিত হতে শুরু করেছে প্রিয়াম্যাডামের যোনীরস। আমি লিঙ্গটা তখন ভেতর থেকে বার করে নিয়েছি। দেখছি হু হু করে বাঁধ ভেঙে তোড়ে ভেসে যাওয়ার মতন ভেতর থেকে কামরস নিঃসরণ হচ্ছে। ম্যাডাম বলল, দীর্ঘদিন ধরে যে সুখ আমি পাইনি, তুমি দুদিনেই আমাকে তার ষোলআনা পূরণ করে দিলে? এ যে কত সুখকর মূহুর্ত। যার মধ্যে হয়, সেই শুধু বোঝে।
বুবাই বলল, যৌনমিলনের তীব্রতা তখন এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, আমার বীর্যপাতের আগেই ম্যাডামের শরীরে তখন পুলকের জাগরণ ঘটে গেছে। উনি আমাকে বললেন, আর তোমাকে ছেড়ে থাকা যাবে না বুবাই। তোমার যৌনপারদর্শীতায় আমি সত্যিই মুগ্ধ।
আমি বললাম, এরপরে তুই আর ম্যাডামের শরীরে বীর্যপাত ঘটাসনি?
বুবাই বলল, অবশ্যই। ম্যাডাম কি অতসহজে আমাকে মুক্তি দেবেন? হতে পারে ওনার অর্গাজম আগেই হয়ে গেছে। কিন্তু উনি তো জানেন, বোঝেন, যৌনমিলন সুখকর হয় তখনই, যখন দুজনেই দুজনকে সমান ভাবে নিংড়ে নিয়ে চরম উন্মাদনায় মেতে ওঠে। ম্যাডামের ওইরকম রসঃক্ষরণ দেখে আমার উন্মাদনাও এবার চরমে উঠল। নির্লজ্জ্ব ভাবে মুখটাকে নিয়ে গেলাম যোনি ফাটলের ওপর। ম্যাডাম আমার দূঃসাহসকে আরও প্রশ্রয় দিল। ওই অবস্থায় আমার লকলকে জিভ ম্যাডামের নিম্নাঙ্গের লাল আবরণকে জিভ দিয়ে টেনে যা খুশি তাই করতে আরম্ভ করলো, জিভটা ক্রমশই ভেতরে আরও প্রবিষ্ট হতে হতে লাল ফাটলের সাথে মিশে গেল। ম্যাডামের শরীরের ওপর নিচ দুইই তখন থর থর করে কাঁপছে। ওই অবস্থায় ম্যাডাম চাইছিল, আমি যেন এই খেলা এখনই শেষ করে না দিই। জিভের খেলা চলতে থাকুক আরো আরও।
এমন ভাবে গর্বের সাথে চরম সুখের কথা শোনাচ্ছিল বুবাই, আমার সত্যি এবারে হিংসে হচ্ছিল। বুবাই বলল, বাপ্পা, তোকে এতক্ষণ বলিনি, আমাদের শারীরিক সম্পর্কের সেই যে শুরু। খেলা কিন্তু এখনও চলছে। আমি প্রায় একদিন ছাড়া ছাড়াই ম্যাডামের সঙ্গে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হই। কামনার নেশা কাকে বলে, সত্যি তার আগে কোনদিন বুঝিনি। প্রিয়াম্যাডামের সঙ্গে প্রায়শই যৌনসঙ্গম চরিতার্থ করার সুযোগ আমার সামনে। প্রিয়া ম্যাডাম জানে, এই চরম সুখ বুবাই ই কেবল দিতে পারে, আর কেউ নয়।আমি বললাম, প্রিয়া ম্যাডাম তো তাহলে তোর ওপর রীতিমতন ফিদা। আর তোর কাছে ম্যাডামের শরীরটা? এই উপলব্ধিটা?
বুবাই বলল, প্রিয়াম্যাডামের শরীরের স্বাদ তো অবশ্যই উপভোগ্য। নইলে আমিই বা ম্যাডামের ইচ্ছার কাছে বারবার আত্মসমর্পণ করব কেন? নিয়মিত যৌনসঙ্গম না হলেও মাঝে মধ্যেই ম্যাডাম আমাকে ভীষন ফিল করে। যখনই তলব পড়ে, কাজ সেরে ম্যাডামের কাছে চলে যাই। ম্যাডামও তখন কাজ সেরে বাড়ী ফিরে আসেন, তারপরে আমরা।
আমি এবার সত্যি বুঝতে পারছিলাম, বুবাইয়ের কাছ থেকে চরম সুখের গল্প শুনে, ওর আর ম্যাডামের যৌনসঙ্গমের বিবৃতি শুনে, আমার লিঙ্গও তালগাছের মতন অসম্ভব শক্ত হয়ে উঠেছে। আমার জাঙিয়ার ভেতরে আটকা পড়েছে লিঙ্গ। আবার সেই অস্বস্তি। যে অস্বস্তিটা আমার খুবই হয়। ঠিক সেই সময় বুবাই একটা কান্ড ঘটালো। আমাকে বলল, সবই তো শুনলি। এবারে আসল রহস্যটা কি? সেটা কি একবার চাক্ষুস দেখবি? তাহলে বুঝতে পারবি কেন প্রিয়া ম্যাডামের ওপর আমার একটা অধিকার জন্মে গেছে। আর ম্যাডামই বা বুবাই বলতে কেন এত পাগল। দেখবি? দেখবি কিনা বল? দেখবি?
আমি অবাক হয়ে চেয়ে রয়েছি বুবাইয়ের দিকে। দেখলাম, ও হঠাৎই প্যান্টের চেনটা খুলে ফেললো। জাঙিয়ার ভেতর থেকে হাত দিয়ে টেনে বার করল ওর অস্বাভাবিক দীর্ঘকায় লিঙ্গ। দৈর্ঘ্যে প্রস্থে এতটাই বড়, সাধারণ অবস্থাতেই লম্বায় প্রায় ছ ইঞ্চি মতন হবে। আমার তো চক্ষু চড়কগাছ। বুবাই বলল, এই যে দেখছিস, আমার গর্বের ধোনটাকে। জানিস, এটা যখন উত্তেজনায় ফুলে ওঠে, আর লম্বায় কত ইঞ্চিতে গিয়ে ঠেকে? ঠিক সাড়ে আট ইঞ্চি মতন। সুতরাং শুধু প্রিয়া ম্যাডাম কেন? এমন লিঙ্গের গাঁথুনি আর চরম সুখ সাথে পেলে, অনেকেই আমার ফিদা হয়ে যাবে। অতি সাধারণ একটা গ্যারেজের ছেলেকে তখন কিন্তু আর কষ্ট করে গ্যারেজও চালাতে হবে না। রাহুল স্যারের যেটা একেবারেই ছিল না, আমার ঠিক তার বিপরীত। সুতরাং প্রিয়া ম্যাডাম যে আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না, এটাই তো স্বাভাবিক।
আমার মুখে সেইসময় কোন কথা নেই। শুধু ভাবছি, এরপরেও ড্রাইভারের চাকরিটা নেওয়া কি আমার পক্ষ্যে সত্যিই ঠিক হবে। আমার পুরুষাঙ্গও তালগাছের মতন ফুলে উঠে জাঙিয়ার মধ্যে প্রায় বেঁকে গিয়েছে। শুধু তফাৎ এটাই। বুবাই ওটা উন্মুক্ত করে আমার সামনে দেখাতে পেরেছে। কিন্তু আমি কিছুতেই বুবাইকে আমারটাও দেখাতে পারছি না।
Hello Fellas If You Find This Story Incomplete Then Kindly Visit The Author's Page For More Update.Happy Reading.
No comments:
Post a Comment